পোল্যান্ড সম্পর্কে অনেকের প্রশ্ন ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাদের পোল্যান্ড সম্পর্কে কিছু কথা এখানে লিখতেই হচ্ছে যা না লিখলে বরং আপনারা অনেক বিষয়েই অজ্ঞ থেকে যাবেন। পোল্যান্ড এমন এক ইউরোপিও দেশ যার কথা গ্রামের সাধারন একজন মানুষ জানে। হয়ত: সে দেশটার নাম ভালভাবে উচ্চারন করতে পারেনা তারপরও সেই দেশে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করে। আর এটাই হলো আমাদের বাংলাদেশী আদমদের মুল সমস্যা। সে যাই হোক, সাধারন সেই মানুষটা হয়ত: এদেশে কিভাবে যেতে হয় তা মোটেও জানেনা। সে শুধু জানে টাকা দিলে ভিসা করানো যায়। আর তাই সে ভিটে মাটি বিক্রি করে দালালের হাতে টাকাটা তুলে দেয়। আসলে প্রসেসিংটুকু জানলে হয়ত কাউকে আর এমন সর্বসান্ত হতে হয়না।
পোল্যন্ড ইউরোপিও দেশ হলেও দেশটা কৃষিনির্ভর এবং অগ্রগামী। শিল্পন্নোত দেশের কাতারে পোল্যান্ডকে ফেলা যায়না যেমন চেক রিপাবলিককে ফেলা যায়। তাই আমার মনে হয় পোল্যান্ডের চেয়ে চেক রিপাবলিক হতে পারে আপনাদের বিদেশের চাকরির জন্য নিরাপদ আশ্রয় কেননা চেক রিপাবলিকের ভিসা কখনও রিফিউজ হয়না যদি আপনার ওয়ার্ক পার্মিট ঠিক থাকে।
প্রশ্ন হতে পারে ওয়ার্ক পারমিট কি?
মনে করুণ, একজন বিদেশী যখন পোল্যান্ডে আসতে চান, তখন তার পোল্যান্ডে আসার জন্য একটি নিমন্ত্রণ পত্র লাগে। স্টুডেন্টদের জন্য এই নিমন্ত্রণ পত্রটি হল ইউনিভার্সিটির অ্যাডমিশন লেটার, ওয়ার্কারদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোন পোলিশ নিয়োগকর্তা (employer) সরাসরি বিদেশী (Non-EU) ওয়ার্কারদের রিক্রুট করতে পারে না। এটা না পারার অনেকগুলো কারণ আছে কি। পোলিশ কোম্পানিগুলোর শ্রমিক দরকার হলে, প্রথমে, ওই জব অফারগুলো স্থানীয় সরকারের লেবর অফিসে জমা দিতে হয়। ২ সপ্তাহ ধরে, বেকারত্ব দফতর (Unemployment Office) ওই জব অফার গুলোকে প্রচারিত করে। এই সময়ের মধ্যে, স্থানীয় শ্রমবাজার থেকে শ্রমিক পাওয়া না গেলে, লেবর অফিস কোম্পানিগুলোকে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করার অনুমতি দেয়। এটিকে লেবর মার্কেট টেস্ট বলে।
এরপর, প্রদত্ত লেবর মার্কেট টেস্ট সার্টিফিকেটের (এটিকে সোজা বাংলায় অনুমতিপত্রও বলা যায়) আওতায়, একজন এমপ্লয়ার, সম্ভাব্য বিদেশী শ্রমিকের (যার নামে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা হবে) নাম, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্য পোলিশ সরকারের রিজিওনাল অফিসে জমা দিয়ে, নিমন্ত্রণ পত্র ইস্যু করার জন্য আবেদন করে। সকল তথ্য যাচাই করে, রিজিওনাল অফিস খুশি হলে, উক্ত বিদেশীকে পোল্যান্ডে আসার জন্য নিমন্ত্রণ পত্র ইস্যু করে! এটাই হল ওয়ার্ক পারমিট। ওয়ার্ক পারমিটের চেয়ে বড়ো ব্যপার হলো সময়। কতো সময় লাগতে পারে ভিসা পেতে বা দিল্লীতে অবস্থিত পোলিশ হাইকমিশন থেকে ডেট পেতে? পোল্যান্ডের ইমিগ্রেশন এবং লেবর অফিসের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিলে, এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই।
গত বছরের আগের বছর ৬ সপ্তাহের মধ্যে আমরা টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট-এর ডিসিশন পেতাম। আর ভিসা পেতেও এক মাস। সব মিলিয়ে দুই মাসের মধ্যে ভিসা পাওয়া যেত।এখন খুব কম এ্যাপ্লিকেন্টই ৬ মাসে ডিসিশন পায়! তাও ৬ মাসে যে হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায়না। তারওপর আছে ধান্দাবাজি। এসব ধান্দাবাজী অবশ্য দিল্লী থেকেই পাচার হয়ে আসে যেমন ভুয়া পোলিশ এ্যাপয়েন্টমেন্ট, ভুয়া ভিসা স্টিকার। এসব দিল্লীর দালালদের কাজ। তাদের নিঁখুত ভিসা স্টিকার চেনার ক্ষমতা বাংলাদেশের ভিসা এজেন্টদেরও নেই। তাই এজেন্টরাও এসব দিল্লীর দালালদের কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপদে পড়ে যাচ্ছে। তবে টাকা দিয়ে যে পোল্যান্ডের এ্যাপয়েন্টমেন্ট কেনা যায়না তা আমি বলছিনা। তবে উপযুক্ত সোর্স লাগে যারা টাকা মেরে দেবে না। তবে সর্বশেষ সাজেশন হতে পারে পোল্যান্ডে আবেদন না করে কাছাকাছি কোন যেমন চেক রিপাবলিক এ আবেদন করা। ইদানিং চেক রিপাবলিক ভিসা সহজ হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব শিঘ্রী নতুনভাবে চেক রিপাবলিকের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। মেম্বার হয়ে আবেদন করে রাখুন।
গত বছরের আগের বছর ৬ সপ্তাহের মধ্যে আমরা টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট-এর ডিসিশন পেতাম। আর ভিসা পেতেও এক মাস। সব মিলিয়ে দুই মাসের মধ্যে ভিসা পাওয়া যেত।এখন খুব কম এ্যাপ্লিকেন্টই ৬ মাসে ডিসিশন পায়! তাও ৬ মাসে যে হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায়না। তারওপর আছে ধান্দাবাজি। এসব ধান্দাবাজী অবশ্য দিল্লী থেকেই পাচার হয়ে আসে যেমন ভুয়া পোলিশ এ্যাপয়েন্টমেন্ট, ভুয়া ভিসা স্টিকার। এসব দিল্লীর দালালদের কাজ। তাদের নিঁখুত ভিসা স্টিকার চেনার ক্ষমতা বাংলাদেশের ভিসা এজেন্টদেরও নেই। তাই এজেন্টরাও এসব দিল্লীর দালালদের কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপদে পড়ে যাচ্ছে। তবে টাকা দিয়ে যে পোল্যান্ডের এ্যাপয়েন্টমেন্ট কেনা যায়না তা আমি বলছিনা। তবে উপযুক্ত সোর্স লাগে যারা টাকা মেরে দেবে না। তবে সর্বশেষ সাজেশন হতে পারে পোল্যান্ডে আবেদন না করে কাছাকাছি কোন যেমন চেক রিপাবলিক এ আবেদন করা। ইদানিং চেক রিপাবলিক ভিসা সহজ হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব শিঘ্রী নতুনভাবে চেক রিপাবলিকের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। মেম্বার হয়ে আবেদন করে রাখুন।
0 Reviews:
Post a Comment