এস্তোনিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম তাল্লিন। এস্তোনিয়া দেশটি বাল্টিক সাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এস্তোনিয়া বাল্টিক দেশগুলির মধ্যে ক্ষুদ্রতম এবং সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত। লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া অপর দুইটি বাল্টিক রাষ্ট্র। এস্তোনিয়ার পশ্চিমে বাল্টিক সাগরের অপর প্রান্তে সুইডেন অবস্থিত। দক্ষিণে রয়েছে লাটভিয়া, পূর্বে রাশিয়া, এবং উত্তরদিকে ফিনল্যান্ড উপসাগরের অপর তীরে ফিনল্যান্ড। দেশটির আয়তন ৪৫৩৩৯ বর্গ কিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা প্রায় ১৩১৫,৯৪৪ লক্ষ। এটি একটি সেনজেনভুক্ত দেশ।
১। আবেদনের সময়কালঃ এস্তোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বছরে ২টি সেশনে ভর্তির সুযোগ দিয়ে থাকে। আবেদনের সময়কাল ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত।
২। টিউশন ফীঃ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে প্রতি বছরে টিউশন ফি ৪০০০ থেকে ৮০০০ ইউরো পর্যন্ত লাগতে পারে। চিকিৎসা বিষয়ে সেটা ১০০০০ – ১২০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।
একাডেমিক পরীক্ষায় ৫১% নম্বর ( ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি ভ্যারি করে ) প্রয়োজন। তবে এরচেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েও আমরা ভিসার পজিটিভ ফলাফল পেয়েছি।
স্টাডি গ্যাপঃ ১০ বছর গ্রহনযোগ্য।
স্টাডি গ্যাপঃ ১০ বছর গ্রহনযোগ্য।
IELTS 5.5 -6.5 ( ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি ভ্যারি করে )। তবে এখন আমরা IELTS ছাড়াই ভিসা করছি।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় যা যা লাগবেঃ
অনলাইন অ্যাপ্লিকেশান
এইচ.এস.সি ও এস.এস.সি এর ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
০১ টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।(ছবির পিছনে অবশ্যই নিজের স্বাক্ষর থাকতে হবে)
ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি
সর্বশেষ একাডেমিক ট্র্যান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেটের নোটারাইজ কপি
মোটিভেশন লেটার অথবা থিসিস প্রপসাল। (থিসিস প্রপসাল মাস্টার ও পিএইচডি এপ্পলিকেন্টের জন্য)
ইংলিশ প্রফিসিয়ান্সি সার্টিফিকেট(আইইএলটিএস ৫.৫ অথবা যদি আপনার পূর্বের পড়াশুনার ভার্সন সম্পূর্ণ রূপে ইংলিশ হয় তার নোটারাইজ কপি)----যদি থাকে।
পাসপোর্টের কপি
ওয়ার্ক এক্সপেরিয়ান্স।( যদি থাকে )
অ্যাপ্লিকেশান ফী পরিশোধের রিসিপ্ট
উপরোক্ত ইংলিশ প্রফিসিয়ান্সি সার্টিফিকেট যদি আপনার না থাকে তারপরেও আপনি এ্যাডমিশন নিতে পারবেন,
৪। কিভাবে আপনার ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এড্রেসে পাঠাবেনঃ
ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এড্রেসে পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করবেন। যদি আপনি নিজে প্রেরক হয়ে পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই নোটারাইজ কপি পাঠাতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ নির্দেশনা থাকে এইরূপ যে, “আপনার সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনার পক্ষ থেকে ( প্রেরক হয়ে ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব খামে সকল ডকুমেন্ট(নোটারাইজ করার দরকার নেই) পোস্ট বা কুরিয়ারে এস্তোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এড্রেসে পাঠাতে হবে” তখন ব্যাক্তিগত নিজের নাম ব্যাবহার করে ডকুমেন্ট পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫। ভর্তি পরীক্ষাঃ আপনার একাডেমিক দক্ষতা ও ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্কাইপ ইন্টারভিউ নিবে।
৬। স্কাইপ ইন্টারভিউ দেওয়ার ০৩ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ই-মেইলে ভর্তির ফলাফল জানানো হবে।
যেহেতু আমাদের দেশে এস্তোনিয়ার কোন দূতাবাস বা কনস্যুলেট নেই সেহেতু আপনাকে ভিসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ায় যেতে হবে।
এস্তোনিয়ান এমব্যাসি ইন নিউ দিল্লী, ভারত এর ওয়েবসাইট ও ঠিকানাঃ
C15, Malcha Marg, Chanakyapuri New Delhi, 110 021 India
Website: http://www.newdelhi.vm.ee/
Tel +91 11 4948 8650 Tel (+372) 613 4850 (calls from Estonia)
Fax +91 11 4948 8651
ভিসা ইন্টারভিউ পর কিছুদিন পর পর আপনার ই-মেইল চেক করবেন। যাতে আপনার ইউনিভার্সিটি বা এম্বাসির কোন ই-মেইল আসলেই সাথে সাথে জবাব দিতে পারেন। কেননা অনেক সময় টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট এপ্রুভ হতে সময় বেশি নেয়। তাই অন টাইমে ক্লাস যোগদানের জন্য এম্বাসি শর্ট টার্ম ভিসা আবেদন করার পরামর্শ দিতে পারে। এম্বাসির এরকম পরামর্শ পাবার পর, অতি দ্রুত আপনাকে নিউ দিল্লি গিয়ে শর্ট টার্ম ভিসার আবেদন করতে হবে এবং শর্ট টার্ম ভিসা আপনাকে ৩ দিনের ভিতর দিয়ে দেবে। এরপর টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট কার্ড আপনাকে এস্তোনিয়া যাবার পর নিতে হবে।
এস্তোনিয়াতে বিদেশি স্টুডেন্টস দের জন্য পার্ট – টাইম জবের জন্য কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। আপনি পড়াশোনা ঠিক রেখে যত ইচ্ছা জব করতে পারবেন। লিভিং কস্ট নির্ভর করে আপনার জীবন যাপন কি রকম হবে তার উপর। এস্তোনিয়ায় ১৫০ থেকে ২০০ ইউরো প্রতি মাসে খরচ হতে পারে। আপনার টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট শেষ হওয়ার পর, আপনি ইচ্ছা করলে লঙ টার্ম রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে তার জন্য আপানকে এস্তোনিয়ার ভাষা, পার্মানেন্ট জব সহ আর কিছু রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে। পড়াশোনা শেষে আপনি ৬ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। তাছাড়া আপনি ইচ্ছে করলে পড়াশোনা না করেও ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন অস্ট্রিয়া,বেলজিয়াম ,চেক রিপাবলিক , ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইটালি লাটভিয়া, লিচেনস্টাইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালটা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল,স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন এবং সুইটজারল্যান্ড। প্রভৃতি দেশে চলে যেতে পারবেন একই ভিসায়।
ami 2008 a hsc pass korchi. amiki apply korte parbo?
ReplyDeleter ami judi estonia theke italy jete chai tahole amake ki korte hobe and koto taka khoroch hobe?
পারবেন। এস্তোনিয়া থেকে ইটালী যেতে পারবেন। খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশী টাকার মতো।
Deleteআমি একজন প্রবাসি। ২০০৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করি এরপর বি.বি.এস ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হই। এই কোর্সে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায়, জীবন ও জীবিকার তাগিদে ২০১০ সালে ব্রুনাই চলে আসি। সেই থেকে ৮ বছর যাবৎ ব্রুনাইতেই কর্মরত আছি। বর্তমানে আমার বয়স ৩০ বছর এবং আমি বিবাহিত।
ReplyDeleteআমার প্রশ্ন হচ্ছে-
১. আমার বয়স ও পড়াশোনার গ্যাপ অনুসারে আমি কি এস্তনিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের যোগ্য কি না?
২. আমার পাসপোর্টে ব্রুনাই এর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগানো আছে এমতাবস্থায় এস্তনিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে কি না?
৩. দিল্লি না গিয়ে মালয়েশিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে এস্তনিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করলে সেই ক্ষেত্রে আপনারা কি বাকি প্রসেসিং করতে পারবেন কি না?
৪. এস্তনিয়ার স্টুডেন্ট অথবা অন্য যেকোন ভিসার জন্য ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে এবং ভিসা পাওয়া গেলে এর প্রসেসিং করতে কত দিন সময় লাগে?
প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর পেলে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য যথেষ্ট উপকৃত হব।
ধন্যবাদ।
৫. ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে এস্তনিয়ায় পৌছানো পর্যন্ত সর্বমোট কত টাকা লাগবে এবং লেনদেন পক্রিয়া কি ভাবে সম্পন্ন হবে?
ReplyDelete