IELTS হলো ইংরেজী জ্ঞানের পরীক্ষা। IELTS -এর সম্পূর্ন অর্থ International English Language testing system যদিও এই শব্দটি Acronym নয় তবুও অনেকে ( প্রায় সকলেই) এটিকে ‘আলস্’ বলে থাকেন। এটি TOEFL-এর মতো একটি Test.
TOEFL স্কোর প্রয়োজন হয় তখন যখন আপনি আমেরিকা ও কানাডা যেতে ইচ্ছুক হন। IELTS প্রয়োজন হয় যখন আপনি গ্রেট ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা অন্যান্য ইউরোপিও দেশে উচ্চতর বিষয়ে ( Upper Intermediate level) পড়াশোনা করতে যান। এসব দেশে পড়াশোনা করতে গেলে IELTS স্কোর প্রয়োজন হয়। ইদানিং America তেও IELTS স্কোর প্রয়োজন হচ্ছে। IELTS একটি সার্টিফিকেট কোর্স মাত্র, যার অর্থ হলো আপনি ইংরেজী ভাষাভাষি দেশে পড়তে গিয়ে ক্লাস লেকচার শুনে বুঝতে পারছেন কিনা, শিট দেখে পড়তে পারছেন কিনা, গুছিয়ে লিখতে পারছেন বা বলতে পারছেন কিনা তা ওসব দেশে যাবার আগেই পরীক্ষা করে দেখা।
সবারই উচিৎ IELTS এ দক্ষতা অর্জন করা। এবং IELTS নিয়ে বিদেশে যাওয়া কেননা এটি থাকলে অনেক সুবিধা কারন এর ফলে ইংল্যান্ডের চাকরি দাতারা বুঝতে পারেন যে আপনি ইংরেজীতে দক্ষ।
IELTS / TOEFLকোনটি সহজ?
TOEFLবিষয়টি IELTS এর তুলনায় অনেক কঠিন কারণ দুটি:
১। IELTS -এ চারটি মডিউল হলেও পরীক্ষা দিতে হয় IBT (Internet Based Test) তে। এই সিস্টেমে লেখার ঝামেলা থাকে বেশী এবং খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী এতে অংশ গ্রহন করে থাকে। IELTS পরীক্ষা দিতে আপনাকে কম্পিউটার চালাতে জানতে হবে।
২। আমরা ছোটবেলা থেকেই ব্রিটিশ ইংলিশ ( Royal English ) -এ অভ্যস্ত। আমেরিকান ইংরেজীর কাঠামো ও স্পেলিং আমাদের কালচার ও পড়াশোনার জন্য সম্পূর্ন বেমানান।
IELTS বিষয়টি কিভাবে করতে হয়?
IELTS চারটি বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত- Listening, reading, writing, speaking. এই চারটি বিষয়ে আপনি কতটুকু পটু এটি নির্ধারণ করাই IELTS -এর প্রধান কাজ। এই এক একটি অংশকে মডিউল বলা হয়, যেমন: listening module, writing module, reading module, speaking module এই বিষয়টি দুভাবে করা যায়, এটি academic purpose এ, অন্যটি general purpose -এ। academic -এ বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রী IELTS করে থাকে। IELTS করার ফলে ওসব দেশের student visa পাওয়া বেশ সহজ হয়ে যায়।
আপনি যখন IELTS করবেন একটা কথা মনে রাখবেন, এই পরীক্ষা দেয়ার পর যদি কাংখিত স্কোর করেন তবে visa পাওয়া কিছুটা সহজ হবে মাত্র। এর ফলে যে ওদেশের university কম fee দিতে হবে এমন কিন্তু নয়। ওসব দেশের University -তে ভর্তির একটা Requirement হচ্ছে IELTS. তবে সব দেশের জন্য একই স্কোর প্রযোজ্য নয়। কোন দেশের জন্য কিছু কম স্কোর হলেও চলে, যেমন ৫ স্কোর পেয়ে আপনি অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। গ্রেট ব্রিটেনের জন্যও প্রয়োজন ৫.০ বা ৬ পয়েন্ট।
পয়েন্টের হিসেবটা জটিল নয়। IELTS পয়েন্ট রয়েছে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত। একেকটি পয়েন্ট একেক রকম দক্ষতা প্রকাশ করে। আপনি পরীক্ষায় ১ পান তবে বোঝা যাবে আপনি Non user, , যদি ২ পান তবে বোঝা যাবে আপনি Intermittent User,৩ পেলে Extremly Limited User, ৪ পেলে Limited User, ৫ পেলে Modest User,৬ পেলে Competent User, ৭ পেলে Good User, ৮ পেলে Very Good User, ৯ পেলে Expert User, আর শূণ্য (০) পেলে বোঝা যাবে আপনি পরীক্ষাই দেননি।
পরীক্ষা দেয়ার ১২ থেকে ১৪ দিন পর (বর্তমানে) টেস্ট রিপোর্ট পাবেন। বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য এখন দেশেই IELTS -এর খাতা দেখা হচ্ছে।
IELTS-এ পরীক্ষা দেয়ার জন্য আপনি British council-এ যোগাযোগ করে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন। ঠিকানা হলো-
Dhaka
সেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন।
অথবা, আমাদের কাছে চলে আসুন। আমাদের কাছেও রয়েছে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম। আমরা আপনার রেজিস্ট্রেশন করে দেব।
পরীক্ষা দিতে কি কি প্রয়োজন পড়বে
IELTS দিতে আপনার একটি বৈধ Passport প্রয়োজন। আর দরকার তিন কপি P. P.. সাইজ রঙ্গীন ছবি। Passport-এর প্রথম চার Page-এর Photocopy দিলেও চলে। এসব প্রয়োজন যখন আপনি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। মনে রাখবেন ছবি তোলার সময় স্টুডিও ফটোগ্রাফার কে বলে দেবেন যেন আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কালারটি সাদা হয় এবং যদি আপনার চোখে চশমা বা সানগ্লাস বা মাথায় ক্যাপ জাতীয় কিছু থাকে তবে তা খুলে তারপর ছবি তুলুন।
আপনার যা যা প্রয়োজন তাহলোঃ
১. পাসপোর্ট (ছয় মাসের ভ্যালিডিটি আছে এমন)।
২. পুরন করা IELTS ফর্ম।
৩. তিন কপি ছবি।
৪. পাসপোর্টের চার পৃষ্ঠার ফটোকপি। MRP পাসপোর্ট হলে প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি।
৫. IELTS ফি (বর্তমানের ফি ১৫২০০ টাকা)।
British council -এর কয়েকটি ভেন্যু বা কেন্দ্র আছে যেখানে IELTS নেয়া হয়। এসব কেন্দ্রে আপনার সিট পড়লে আগেই ম্যাসেজ এর মাধ্যমে তা জেনে যাবেন আপনি। British council -এ IELTS পরীক্ষা সব সময় শনিবারে হয়। Speaking Test টি অন্যদিন. শনিবারের আগে বা পরে হতে পারে।
পরীক্ষাগুলি কেমন?
আগেই বলেছি IELTS -এ চারটি মডিউল আছে:
Listening = ৩০ মিনিট
Reading = ৬০ মিনিট
Writing = ৬০ মিনিট
Speaking = ১৫ মিনিট
পরীক্ষা চলবে আধাঘন্টা। আপনি হেডফোনে শুনবেন এবং পাশাপাশি আপনার কোশ্চেন শিটে এ্যানসার করবেন। মনে রাখবেন সব পরীক্ষা আপনি দেবেন পেনসিলে। পরীক্ষা শেষে কেশ্চেন শিট থেকে এ্যানসার শিটে উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য আপনাকে বাড়তি দশ মিনিট সময় দেয়া হবে। আপনি আপনার এ্যানসার পেপারে উত্তরগুলো ট্রান্সফার করার পর আপনার লিসিনিং পর্ব শেষ হয়ে যাবে। মনে রাখবেন যে, আপনি যখন হেডফোনে শুনবেন তখনই আপনাকে উত্তরগুলো কোশ্চেন পেপারে তুলতে হবে। সরাসরি উত্তরগুলো উত্তরপত্র বা এ্যানসার পেপারে তুলবেননা। কোশ্চেন পেপারে করা উত্তরগুলো উত্তরপত্রে তোলার জন্য আপনি দশ মিনিট সময় তো পাচ্ছেন। সেই দশ মিনিট সময়েই উত্তরগুলো উত্তরপত্রে ট্রান্সফার করুন। তার আগে নয়।
IELTS এর দ্বিতীয় পর্বে থাকে রিডিং মডিউল।
লিসিনিং পর্ব শেষ হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে রিডিং পর্ব। রিডিং মডিউল হলো তিনটি প্যাসেজের সমন্বয়ে গঠিত একটি টেস্ট। রিডিং টেস্টটি হবে এক ঘন্টার একটি টেস্ট। তবে লিসিনিং মডিউলের মত পরীক্ষা শেষে আপনাকে কোন বাড়তি সময় দেয়া হবেনা উত্তরপত্রে উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য। ধরুন, আপনি এক ঘন্টার রিডিং পরীক্ষা শেষে কোশ্চেন পেপারে করা উত্তরগুলো এ্যানসার পেপারে ট্রান্সফার করতে গেলেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে কেশ্চেন পেপার কেড়ে নেয়া হবে এবং আপনি রিডিং পরীক্ষায় কেন নম্বর পেলেননা। অর্থাৎ রিডিং মডিউলে আপনি পেলেন শুন্য। ফলাফল হলো আপনি রিডিং মডিউলে খারাপ করলেন এবং আপনার মূল ব্যান্ড স্কোরটি নেমে গেল নিচে। তাই মনে রাখবেন যদিও বলা হয়ে থাকে যে, রিডিং মডিউলটি এক ঘন্টার কিন্তু আসলে সেটি পঞ্চাশ মিনিটের একটি টেস্ট। উত্তরপত্রে উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে দশটি মিনিট। তাই এটিকে পঞ্চাশ মিনিটের টেস্ট বলাই ভালো। তাই এক ঘন্টার মধ্যে আপনার উত্তরপত্রে বা এ্যানসার পেপারে এ্যানসার তোলা শেষ হতে হবে। আর একটি কাজ আপনি করতে পারেন তাতে আপনার সময়ের সাশ্রয় হবে। আপনি রিডিং পড়ার পাশাপাশি সরাসরি এ্যানসার পেপারে উত্তরগুলো তুলে ফেলবেন। তাহলে এক ঘন্টার টেস্ট আপনার জন্য এক ঘন্টারই থাকবে। আপনার বাড়তি কোন সময়ের প্রয়োজন পড়বেনা। রিডিং মডিউলের জন্য আসলে কোশ্চেন পেপারে উত্তর লেখার প্রয়োজন নেই।
IELTS এর তৃতীয় পর্বে থাকে রাইটিং মডিউল।
এ্যাকাডেমিক রাইটিং এ যে দুটি ধরনের লেখা আপনাকে লিখতে হয় তা হলো Task 1 ও Task 2 । এই মডিউলটিও এক ঘন্টার। আপনাকে প্রথমে Task 1 ও পরে Task 2 কমপ্লিট করতে হবে। Task 1 বিশ মিনিট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে ও Task 2 শেষ করতে হবে চল্লিশ মিনিট সময়ের মধ্যে। এ্যাকাডেমিক রাইটিং এর প্রথম পার্টটিকে বলা হয় ডেসক্রিপটিভ (Descriptive) বা বর্ননামূলক লেখা ও পরের পার্টটিকে বলা হয় এ্যানালিটিক্যাল (Analytical) বা ব্যাখ্যামূলক লেখা। বর্ননামূলক লেখায় আপনি সময় পাবেন বিশ মিনিট ও ব্যাখ্যামূলক লেখায় সময় পাবেন চল্লিশ মিনিট।
বর্ননামূলক লেখায় আপনাকে দেয়া হবে একটি চার্ট, গ্রাফ, ছবি বা ম্যাপ যা আপনাকে বুঝে তা লিখতে হবে কাগজে। ব্যাখ্যামূলক লেখায় আপনাকে দেয়া হবে একটি সাবজেক্ট বা বিষয় যা পড়ে আপনাকে বিষয়টির পক্ষে বা বিপক্ষে লিখতে হবে। বর্ননামূলক লেখায় আপনার সর্বনিম্ন শব্দসংখ্যা হতে হবে ১৫০টি এবং ব্যাখ্যামূলক লেখায় শব্দসংখ্যা হতে হবে ২৫০টি। অর্থাৎ প্রথম পর্বে বিশ মিনিট সময়ের ভেতর আপনাকে লিখতে হবে একটি লেখা যার শব্দসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে ১৫০টি ও দ্বিতীয় পর্বে সময় থাকবে চল্লিশ মিনিট এবং শব্দসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে ২৫০টি।
রাইটিং মডিউলের জন্যও আপনাকে একটি কোশ্চেন পেপার ও একটি এ্যানসার পেপার দেয়া হবে। রাইটিং মডিউল শেষ হবার সাথে সাথে আপনার পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে। তবে স্পিকিং মডিউলটি রয়ে যাবে। সেটি অন্য যে কোন একদিন নেয়া হবে।
স্পিকিং মডিউলের জন্য অন্য যেকোন একদিন সময় দেয়া হবে আপনাকে। হতে পারে সেটি সকালে কিংবা বিকালে। তবে আপনার জন্য সময় থাকবে মাত্র পনেরো মিনিট। এই পনেরো মিনিট সময়ের ভিতর আপনাকে মোটামুটি তিনটি ভাগে পরীক্ষা দিতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই ভাগের পরীক্ষাগুলি একনিমিষেই শেষ হয়ে যাবে যদি সঠিকভাবে আপনি প্রস্তুতি নিতে পারেন।
IELTS এর এই মডিউলটির প্রথম পরীক্ষা হলো শর্ট এ্যানসার কোশ্চেন। আপনি পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পরীক্ষক আপনার পাসপোর্ট দেখতে চাইবেন। আপনি পাসপোর্টটি ফিরিয়ে নেবার সাথে সাথে আপনার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আপনি দেখতে পাবেন আপনার সামনে টেবিলের ওপর একটি টেপরেকর্ডার রাখা আছে। আপনার ও পরীক্ষকের কথোপকথন শুরু হবার পরই এটি চালু করে দেবেন পরীক্ষক যেন আপনার কথাগুলো রেকর্ড করা যায়। এই কথাগুলো রেকর্ড করা হয় এই কারনে যে, আপনি যদি আপনার স্কোর নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ থাকেন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলকে চ্যালেঞ্জ করেন তবে এই রেকর্ডেড ক্যাসেটটিই হবে তার প্রমান। যাইহোক, আপনার পরীক্ষা শুরু হবার সাথে সাথে পরীক্ষক আপনাকে ছোট ছোট প্রশ্ন করবেন যেমন আপনি কোথায় থাকেন, বা কেন পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন ইত্যাদি। প্রশ্নগুলো অবশ্যই তিনি ইংরেজীতে করবেন এবং আপনাকেও উত্তর দিতে হবে ইংরেজীতে। আমরা এসব প্রশ্ন ও উত্তর স্পিকিং মডিউলে আলোচনা করেছি। এই পর্ব শেষ হবার পর আপনি প্রবেশ করবেন দ্বিতীয় পর্বে যেখানে আপনাকে একটি কিউ কার্ড (queue card) দেয়া হবে। এবং এক মিনিট সময় দেয়া হবে। এক মিনিট সময় এর মধ্যে আপনি উক্ত বিষয়ে কিছু ভাববেন বা চিন্তা করবেন এবং তার পরবর্তী এক কিংবা দেড় মিনিটের মধ্যে তা বলবেন। আপনি যা বলবেন তাও রেকর্ড করা হবে। এই কিউ কার্ড বিষয়টিই ছাত্র/ ছাত্রীদের মনে ভীতির সৃষ্টি করে কারন আপনাকে যা বলতে হবে তা সম্পুর্ন নতুন একটি বিষয় বলে মনে হতে পারে আপনার কাছে, যা বলতে হবে তা মাত্র একমিনিটের মধ্যে গুছিয়ে নিয়ে মাত্র এক বা দেড় মিনিটের মধ্যে বলতে হবে। অবশ্যই এটি সকল ছাত্র/ ছাত্রীর জন্য একটি কঠিন বিষয়। তবে সময় নিয়ে অনুশীলন করে আপনি এই বিষয়টিও আমার নিজের ছাত্র /ছাত্রীদের মতো একটি বিশেষ ড্রিলের মাধ্যমে প্রাকটিশ করতে পারেন। আমি এই পদ্ধতির নাম দিয়েছি বুলস আই টার্গেট এবং এই টার্গেটটি একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে আমি করাই যা’তে যে কোন প্রশ্ন আসুক আমার ছাত্র/ ছাত্রীরা তা সহজে উত্তর দিতে পারে।
যাহোক, আপনি কিউ কার্ডের ভিতর লেখা সাবজেক্টটি নিয়ে এক মিনিট বক্তব্য প্রদান করার পর তৃতীয় পর্বে প্রবেশ করবেন। এই তৃতীয় পর্বটি রিভিউ প্রশ্নের পর্ব। এরমানে আপনি কিউ কার্ডে যে বিষয়ে বলেছিলেন সেখান থেকে বেছে নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা। পরীক্ষক আপনার উত্তর এর ভিতর থেকে প্রশ্ন খুঁজে নিতে পারেন বা নিজে থেকে কোন প্রশ্ন করতে পারেন। যে প্রশ্ন করুননা কেন তৃতীয় পর্বটি স্বাভাবিকভাবেই অন্যদুটি পর্বের চেয়ে কঠিন হবে। কারন এই পর্বে পরীক্ষক একটু জটিল ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন।
এর সাথে সাথে শেষ হয়ে যাবে আপনার IELTS এর সব পরীক্ষা।
IELTS -এর Reading মডিউলটি একটু কঠিন কারণ এতে একঘন্টা সময়ের মধ্যে প্রায় চল্লিশটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। আবার Q. Paper-এ Answer লেখার পর Answer গুলি Answer sheet -এ ট্রান্সফার করতে হয়।Reading মডিউলের মূল বিষয়টি হলো আপনাকে তিনটি Passage দেয়া হবে। এই তিনটি Passage পড়ে আপনাকে অহংবিৎ করতে হবে। আগেই বলা হয়েছে যে, IELTS এর সবকটি মডিউলের মধ্যে Reading মডিউলটি সবার জন্যই বেশ কঠিন। কেন কঠিন এর কারনগুলো এক এক করে বর্ননা তো করা হবেই, পাশাপাশি এই সমস্যার সমাধানগুলোও দেয়া হবে। তাহলে আসুন, আমরা রিডিং মডিউলে চলে যাই এবং আগে দেখে নেই রিডিং মডিউলটি আমাদের কাছে কঠিন কেন মনে হয়।
১। Reading মডিউল-এ তিনটি প্যাসেজ দেয়া হয়ে থাকে এবং প্রতিটি প্যাসেজই এদিক সেদিক থেকে ৪০০০ শব্দ নিয়ে গঠিত। এর অর্থ এই যে, আপনাকে প্রায় ১২০০০ শব্দের একটি রিডিং পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হচ্ছে।
২। Reading মডিউল-এ এই ১২০০০ শব্দের পরীক্ষায় আপনাকে দেয়া হচ্ছে মাত্র ১ ঘন্টা সময় যা আপনার জন্য খুবই কম সময়।
৩। Reading মডিউলের তিনটি প্যাসেজে যে সমস্ত ভোকাবুলারী ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে হয় আপনার কাছে এর কারন এই সমস্ত শব্দ ইংরেজী ভাষাভাষী দেশসমূহে ইউনিভার্সিটির বইসমূহে থেকে থাকে।
৪। আমাদের দেশে প্রথাগত পড়াশোনায় আমরা যে ধরনের কোশ্চেন স্ট্রাকচার দেখি Reading মডিউল এ সে ধরনের স্ট্রাকচার খুব কমই আছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে প্রশ্নের উত্তর করবো তাই বুঝতে পারিনা।
৫। Reading মডিউল এর পরীক্ষায় খারাপ করার একটা বড় কারন হলো আমরা জানিনা যে পরীক্ষাটি পঞ্চাশ মিনিটে শেষ করে বাকি দশ মিনিটে এ্যানসার পেপারে উত্তর ট্রান্সফার করতে হবে। ফলে যখন ১ ঘন্টার টেস্ট শেষ হয় তখন আর উত্তরপত্রে উত্তর লেখার সময় থাকেনা।
৬। পড়ে বোঝার অক্ষমতা সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করে জবধফরহম মডিউল এ খারাপ স্কোর করার জন্য। এক্ষেত্রে স্পেলিং বড় ভুমিকা পালন না করলেও শব্দ পড়ে ভুল অর্থ করলে তা হয়ে ভিন্ন এবং মূল প্যাসেজের কাছ থেকে দুরে সরে যেতে হয়। গ্রামারের মূল কাঠামোগত অর্থ বুঝতে না পারার কারনেও আপনার অনেক মার্কস কাটা যায়।
সবারই উচিৎ IELTS এ দক্ষতা অর্জন করা। এবং IELTS নিয়ে বিদেশে যাওয়া কেননা এটি থাকলে অনেক সুবিধা কারন এর ফলে ইংল্যান্ডের চাকরি দাতারা বুঝতে পারেন যে আপনি ইংরেজীতে দক্ষ।
IELTS / TOEFLকোনটি সহজ?
TOEFLবিষয়টি IELTS এর তুলনায় অনেক কঠিন কারণ দুটি:
১। IELTS -এ চারটি মডিউল হলেও পরীক্ষা দিতে হয় IBT (Internet Based Test) তে। এই সিস্টেমে লেখার ঝামেলা থাকে বেশী এবং খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী এতে অংশ গ্রহন করে থাকে। IELTS পরীক্ষা দিতে আপনাকে কম্পিউটার চালাতে জানতে হবে।
২। আমরা ছোটবেলা থেকেই ব্রিটিশ ইংলিশ ( Royal English ) -এ অভ্যস্ত। আমেরিকান ইংরেজীর কাঠামো ও স্পেলিং আমাদের কালচার ও পড়াশোনার জন্য সম্পূর্ন বেমানান।
IELTS বিষয়টি কিভাবে করতে হয়?
IELTS চারটি বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত- Listening, reading, writing, speaking. এই চারটি বিষয়ে আপনি কতটুকু পটু এটি নির্ধারণ করাই IELTS -এর প্রধান কাজ। এই এক একটি অংশকে মডিউল বলা হয়, যেমন: listening module, writing module, reading module, speaking module এই বিষয়টি দুভাবে করা যায়, এটি academic purpose এ, অন্যটি general purpose -এ। academic -এ বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রী IELTS করে থাকে। IELTS করার ফলে ওসব দেশের student visa পাওয়া বেশ সহজ হয়ে যায়।
আপনি যখন IELTS করবেন একটা কথা মনে রাখবেন, এই পরীক্ষা দেয়ার পর যদি কাংখিত স্কোর করেন তবে visa পাওয়া কিছুটা সহজ হবে মাত্র। এর ফলে যে ওদেশের university কম fee দিতে হবে এমন কিন্তু নয়। ওসব দেশের University -তে ভর্তির একটা Requirement হচ্ছে IELTS. তবে সব দেশের জন্য একই স্কোর প্রযোজ্য নয়। কোন দেশের জন্য কিছু কম স্কোর হলেও চলে, যেমন ৫ স্কোর পেয়ে আপনি অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। গ্রেট ব্রিটেনের জন্যও প্রয়োজন ৫.০ বা ৬ পয়েন্ট।
পয়েন্টের হিসেবটা জটিল নয়। IELTS পয়েন্ট রয়েছে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত। একেকটি পয়েন্ট একেক রকম দক্ষতা প্রকাশ করে। আপনি পরীক্ষায় ১ পান তবে বোঝা যাবে আপনি Non user, , যদি ২ পান তবে বোঝা যাবে আপনি Intermittent User,৩ পেলে Extremly Limited User, ৪ পেলে Limited User, ৫ পেলে Modest User,৬ পেলে Competent User, ৭ পেলে Good User, ৮ পেলে Very Good User, ৯ পেলে Expert User, আর শূণ্য (০) পেলে বোঝা যাবে আপনি পরীক্ষাই দেননি।
পরীক্ষা দেয়ার ১২ থেকে ১৪ দিন পর (বর্তমানে) টেস্ট রিপোর্ট পাবেন। বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য এখন দেশেই IELTS -এর খাতা দেখা হচ্ছে।
কোথায় রেজিষ্ট্রেশন করবেন
IELTS-এ পরীক্ষা দেয়ার জন্য আপনি British council-এ যোগাযোগ করে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন। ঠিকানা হলো-
British
council
5.
Fuller road
সেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন।
অথবা, আমাদের কাছে চলে আসুন। আমাদের কাছেও রয়েছে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম। আমরা আপনার রেজিস্ট্রেশন করে দেব।
পরীক্ষা দিতে কি কি প্রয়োজন পড়বে
IELTS দিতে আপনার একটি বৈধ Passport প্রয়োজন। আর দরকার তিন কপি P. P.. সাইজ রঙ্গীন ছবি। Passport-এর প্রথম চার Page-এর Photocopy দিলেও চলে। এসব প্রয়োজন যখন আপনি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। মনে রাখবেন ছবি তোলার সময় স্টুডিও ফটোগ্রাফার কে বলে দেবেন যেন আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কালারটি সাদা হয় এবং যদি আপনার চোখে চশমা বা সানগ্লাস বা মাথায় ক্যাপ জাতীয় কিছু থাকে তবে তা খুলে তারপর ছবি তুলুন।
আপনার যা যা প্রয়োজন তাহলোঃ
১. পাসপোর্ট (ছয় মাসের ভ্যালিডিটি আছে এমন)।
২. পুরন করা IELTS ফর্ম।
৩. তিন কপি ছবি।
৪. পাসপোর্টের চার পৃষ্ঠার ফটোকপি। MRP পাসপোর্ট হলে প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি।
৫. IELTS ফি (বর্তমানের ফি ১৫২০০ টাকা)।
পরীক্ষা কিভাবে দেবেন?
রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার কাজ শেষ। আপনি বাড়িতে বসে Practice করতে থাকুন। পরীক্ষার আগে আপনার মোবাইল নাম্বারে British council একটি ম্যাসেজ পাঠাবে। এই ম্যসেজে পরীক্ষার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে আপনাকে। তারিখ অনুযায়ী আপনি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন।British council -এর কয়েকটি ভেন্যু বা কেন্দ্র আছে যেখানে IELTS নেয়া হয়। এসব কেন্দ্রে আপনার সিট পড়লে আগেই ম্যাসেজ এর মাধ্যমে তা জেনে যাবেন আপনি। British council -এ IELTS পরীক্ষা সব সময় শনিবারে হয়। Speaking Test টি অন্যদিন. শনিবারের আগে বা পরে হতে পারে।
পরীক্ষাগুলি কেমন?
আগেই বলেছি IELTS -এ চারটি মডিউল আছে:
Listening = ৩০ মিনিট
Writing = ৬০ মিনিট
Speaking = ১৫ মিনিট
IELTS এর পরীক্ষা শুরু হয় লিসিনিং মডিউল দিয়ে।
আপনি ব্রিটিশ কাউন্সিল হলে বা আপনার টেস্ট সেন্টারে প্রবেশ করার পর ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসারগন আপনাকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেবেন। ইন্সট্রাকশন পর্ব শেষ হলে শুরু হবে আপনার লিসিনিং টেস্ট। আপনার জন্য বরাদ্দ থাকবে একটি টেবিল একটি চেয়ার, একটি হেডফোন, একটি কোশ্চেন পেপার ও একটি এ্যানসার পেপার। হেডফোনটি ওয়ারলেস হেডফোন যা একটি রিমোট সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করে। আপনাকে যখন হেডফোনটি দেয়া হবে তখন আপনি চেক করে দেখে নেবেন যে হেডফোনটি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। কারন একবার পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলে আপনি আর কোন অভিযোগ করতে পারবেন না।পরীক্ষা চলবে আধাঘন্টা। আপনি হেডফোনে শুনবেন এবং পাশাপাশি আপনার কোশ্চেন শিটে এ্যানসার করবেন। মনে রাখবেন সব পরীক্ষা আপনি দেবেন পেনসিলে। পরীক্ষা শেষে কেশ্চেন শিট থেকে এ্যানসার শিটে উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য আপনাকে বাড়তি দশ মিনিট সময় দেয়া হবে। আপনি আপনার এ্যানসার পেপারে উত্তরগুলো ট্রান্সফার করার পর আপনার লিসিনিং পর্ব শেষ হয়ে যাবে। মনে রাখবেন যে, আপনি যখন হেডফোনে শুনবেন তখনই আপনাকে উত্তরগুলো কোশ্চেন পেপারে তুলতে হবে। সরাসরি উত্তরগুলো উত্তরপত্র বা এ্যানসার পেপারে তুলবেননা। কোশ্চেন পেপারে করা উত্তরগুলো উত্তরপত্রে তোলার জন্য আপনি দশ মিনিট সময় তো পাচ্ছেন। সেই দশ মিনিট সময়েই উত্তরগুলো উত্তরপত্রে ট্রান্সফার করুন। তার আগে নয়।
IELTS এর দ্বিতীয় পর্বে থাকে রিডিং মডিউল।
লিসিনিং পর্ব শেষ হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে রিডিং পর্ব। রিডিং মডিউল হলো তিনটি প্যাসেজের সমন্বয়ে গঠিত একটি টেস্ট। রিডিং টেস্টটি হবে এক ঘন্টার একটি টেস্ট। তবে লিসিনিং মডিউলের মত পরীক্ষা শেষে আপনাকে কোন বাড়তি সময় দেয়া হবেনা উত্তরপত্রে উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য। ধরুন, আপনি এক ঘন্টার রিডিং পরীক্ষা শেষে কোশ্চেন পেপারে করা উত্তরগুলো এ্যানসার পেপারে ট্রান্সফার করতে গেলেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে কেশ্চেন পেপার কেড়ে নেয়া হবে এবং আপনি রিডিং পরীক্ষায় কেন নম্বর পেলেননা। অর্থাৎ রিডিং মডিউলে আপনি পেলেন শুন্য। ফলাফল হলো আপনি রিডিং মডিউলে খারাপ করলেন এবং আপনার মূল ব্যান্ড স্কোরটি নেমে গেল নিচে। তাই মনে রাখবেন যদিও বলা হয়ে থাকে যে, রিডিং মডিউলটি এক ঘন্টার কিন্তু আসলে সেটি পঞ্চাশ মিনিটের একটি টেস্ট। উত্তরপত্রে উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে দশটি মিনিট। তাই এটিকে পঞ্চাশ মিনিটের টেস্ট বলাই ভালো। তাই এক ঘন্টার মধ্যে আপনার উত্তরপত্রে বা এ্যানসার পেপারে এ্যানসার তোলা শেষ হতে হবে। আর একটি কাজ আপনি করতে পারেন তাতে আপনার সময়ের সাশ্রয় হবে। আপনি রিডিং পড়ার পাশাপাশি সরাসরি এ্যানসার পেপারে উত্তরগুলো তুলে ফেলবেন। তাহলে এক ঘন্টার টেস্ট আপনার জন্য এক ঘন্টারই থাকবে। আপনার বাড়তি কোন সময়ের প্রয়োজন পড়বেনা। রিডিং মডিউলের জন্য আসলে কোশ্চেন পেপারে উত্তর লেখার প্রয়োজন নেই।
IELTS এর তৃতীয় পর্বে থাকে রাইটিং মডিউল।
এ্যাকাডেমিক রাইটিং এ যে দুটি ধরনের লেখা আপনাকে লিখতে হয় তা হলো Task 1 ও Task 2 । এই মডিউলটিও এক ঘন্টার। আপনাকে প্রথমে Task 1 ও পরে Task 2 কমপ্লিট করতে হবে। Task 1 বিশ মিনিট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে ও Task 2 শেষ করতে হবে চল্লিশ মিনিট সময়ের মধ্যে। এ্যাকাডেমিক রাইটিং এর প্রথম পার্টটিকে বলা হয় ডেসক্রিপটিভ (Descriptive) বা বর্ননামূলক লেখা ও পরের পার্টটিকে বলা হয় এ্যানালিটিক্যাল (Analytical) বা ব্যাখ্যামূলক লেখা। বর্ননামূলক লেখায় আপনি সময় পাবেন বিশ মিনিট ও ব্যাখ্যামূলক লেখায় সময় পাবেন চল্লিশ মিনিট।
বর্ননামূলক লেখায় আপনাকে দেয়া হবে একটি চার্ট, গ্রাফ, ছবি বা ম্যাপ যা আপনাকে বুঝে তা লিখতে হবে কাগজে। ব্যাখ্যামূলক লেখায় আপনাকে দেয়া হবে একটি সাবজেক্ট বা বিষয় যা পড়ে আপনাকে বিষয়টির পক্ষে বা বিপক্ষে লিখতে হবে। বর্ননামূলক লেখায় আপনার সর্বনিম্ন শব্দসংখ্যা হতে হবে ১৫০টি এবং ব্যাখ্যামূলক লেখায় শব্দসংখ্যা হতে হবে ২৫০টি। অর্থাৎ প্রথম পর্বে বিশ মিনিট সময়ের ভেতর আপনাকে লিখতে হবে একটি লেখা যার শব্দসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে ১৫০টি ও দ্বিতীয় পর্বে সময় থাকবে চল্লিশ মিনিট এবং শব্দসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে ২৫০টি।
রাইটিং মডিউলের জন্যও আপনাকে একটি কোশ্চেন পেপার ও একটি এ্যানসার পেপার দেয়া হবে। রাইটিং মডিউল শেষ হবার সাথে সাথে আপনার পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে। তবে স্পিকিং মডিউলটি রয়ে যাবে। সেটি অন্য যে কোন একদিন নেয়া হবে।
SPEAKING MODULE
স্পিকিং মডিউলের জন্য অন্য যেকোন একদিন সময় দেয়া হবে আপনাকে। হতে পারে সেটি সকালে কিংবা বিকালে। তবে আপনার জন্য সময় থাকবে মাত্র পনেরো মিনিট। এই পনেরো মিনিট সময়ের ভিতর আপনাকে মোটামুটি তিনটি ভাগে পরীক্ষা দিতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই ভাগের পরীক্ষাগুলি একনিমিষেই শেষ হয়ে যাবে যদি সঠিকভাবে আপনি প্রস্তুতি নিতে পারেন।
IELTS এর এই মডিউলটির প্রথম পরীক্ষা হলো শর্ট এ্যানসার কোশ্চেন। আপনি পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পরীক্ষক আপনার পাসপোর্ট দেখতে চাইবেন। আপনি পাসপোর্টটি ফিরিয়ে নেবার সাথে সাথে আপনার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আপনি দেখতে পাবেন আপনার সামনে টেবিলের ওপর একটি টেপরেকর্ডার রাখা আছে। আপনার ও পরীক্ষকের কথোপকথন শুরু হবার পরই এটি চালু করে দেবেন পরীক্ষক যেন আপনার কথাগুলো রেকর্ড করা যায়। এই কথাগুলো রেকর্ড করা হয় এই কারনে যে, আপনি যদি আপনার স্কোর নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ থাকেন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলকে চ্যালেঞ্জ করেন তবে এই রেকর্ডেড ক্যাসেটটিই হবে তার প্রমান। যাইহোক, আপনার পরীক্ষা শুরু হবার সাথে সাথে পরীক্ষক আপনাকে ছোট ছোট প্রশ্ন করবেন যেমন আপনি কোথায় থাকেন, বা কেন পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন ইত্যাদি। প্রশ্নগুলো অবশ্যই তিনি ইংরেজীতে করবেন এবং আপনাকেও উত্তর দিতে হবে ইংরেজীতে। আমরা এসব প্রশ্ন ও উত্তর স্পিকিং মডিউলে আলোচনা করেছি। এই পর্ব শেষ হবার পর আপনি প্রবেশ করবেন দ্বিতীয় পর্বে যেখানে আপনাকে একটি কিউ কার্ড (queue card) দেয়া হবে। এবং এক মিনিট সময় দেয়া হবে। এক মিনিট সময় এর মধ্যে আপনি উক্ত বিষয়ে কিছু ভাববেন বা চিন্তা করবেন এবং তার পরবর্তী এক কিংবা দেড় মিনিটের মধ্যে তা বলবেন। আপনি যা বলবেন তাও রেকর্ড করা হবে। এই কিউ কার্ড বিষয়টিই ছাত্র/ ছাত্রীদের মনে ভীতির সৃষ্টি করে কারন আপনাকে যা বলতে হবে তা সম্পুর্ন নতুন একটি বিষয় বলে মনে হতে পারে আপনার কাছে, যা বলতে হবে তা মাত্র একমিনিটের মধ্যে গুছিয়ে নিয়ে মাত্র এক বা দেড় মিনিটের মধ্যে বলতে হবে। অবশ্যই এটি সকল ছাত্র/ ছাত্রীর জন্য একটি কঠিন বিষয়। তবে সময় নিয়ে অনুশীলন করে আপনি এই বিষয়টিও আমার নিজের ছাত্র /ছাত্রীদের মতো একটি বিশেষ ড্রিলের মাধ্যমে প্রাকটিশ করতে পারেন। আমি এই পদ্ধতির নাম দিয়েছি বুলস আই টার্গেট এবং এই টার্গেটটি একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে আমি করাই যা’তে যে কোন প্রশ্ন আসুক আমার ছাত্র/ ছাত্রীরা তা সহজে উত্তর দিতে পারে।
যাহোক, আপনি কিউ কার্ডের ভিতর লেখা সাবজেক্টটি নিয়ে এক মিনিট বক্তব্য প্রদান করার পর তৃতীয় পর্বে প্রবেশ করবেন। এই তৃতীয় পর্বটি রিভিউ প্রশ্নের পর্ব। এরমানে আপনি কিউ কার্ডে যে বিষয়ে বলেছিলেন সেখান থেকে বেছে নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা। পরীক্ষক আপনার উত্তর এর ভিতর থেকে প্রশ্ন খুঁজে নিতে পারেন বা নিজে থেকে কোন প্রশ্ন করতে পারেন। যে প্রশ্ন করুননা কেন তৃতীয় পর্বটি স্বাভাবিকভাবেই অন্যদুটি পর্বের চেয়ে কঠিন হবে। কারন এই পর্বে পরীক্ষক একটু জটিল ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন।
এর সাথে সাথে শেষ হয়ে যাবে আপনার IELTS এর সব পরীক্ষা।
READING MODULE
(CRASH
AND OVERALL PRACTICE)IELTS -এর Reading মডিউলটি একটু কঠিন কারণ এতে একঘন্টা সময়ের মধ্যে প্রায় চল্লিশটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। আবার Q. Paper-এ Answer লেখার পর Answer গুলি Answer sheet -এ ট্রান্সফার করতে হয়।Reading মডিউলের মূল বিষয়টি হলো আপনাকে তিনটি Passage দেয়া হবে। এই তিনটি Passage পড়ে আপনাকে অহংবিৎ করতে হবে। আগেই বলা হয়েছে যে, IELTS এর সবকটি মডিউলের মধ্যে Reading মডিউলটি সবার জন্যই বেশ কঠিন। কেন কঠিন এর কারনগুলো এক এক করে বর্ননা তো করা হবেই, পাশাপাশি এই সমস্যার সমাধানগুলোও দেয়া হবে। তাহলে আসুন, আমরা রিডিং মডিউলে চলে যাই এবং আগে দেখে নেই রিডিং মডিউলটি আমাদের কাছে কঠিন কেন মনে হয়।
১। Reading মডিউল-এ তিনটি প্যাসেজ দেয়া হয়ে থাকে এবং প্রতিটি প্যাসেজই এদিক সেদিক থেকে ৪০০০ শব্দ নিয়ে গঠিত। এর অর্থ এই যে, আপনাকে প্রায় ১২০০০ শব্দের একটি রিডিং পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হচ্ছে।
২। Reading মডিউল-এ এই ১২০০০ শব্দের পরীক্ষায় আপনাকে দেয়া হচ্ছে মাত্র ১ ঘন্টা সময় যা আপনার জন্য খুবই কম সময়।
৩। Reading মডিউলের তিনটি প্যাসেজে যে সমস্ত ভোকাবুলারী ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে হয় আপনার কাছে এর কারন এই সমস্ত শব্দ ইংরেজী ভাষাভাষী দেশসমূহে ইউনিভার্সিটির বইসমূহে থেকে থাকে।
৪। আমাদের দেশে প্রথাগত পড়াশোনায় আমরা যে ধরনের কোশ্চেন স্ট্রাকচার দেখি Reading মডিউল এ সে ধরনের স্ট্রাকচার খুব কমই আছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে প্রশ্নের উত্তর করবো তাই বুঝতে পারিনা।
৫। Reading মডিউল এর পরীক্ষায় খারাপ করার একটা বড় কারন হলো আমরা জানিনা যে পরীক্ষাটি পঞ্চাশ মিনিটে শেষ করে বাকি দশ মিনিটে এ্যানসার পেপারে উত্তর ট্রান্সফার করতে হবে। ফলে যখন ১ ঘন্টার টেস্ট শেষ হয় তখন আর উত্তরপত্রে উত্তর লেখার সময় থাকেনা।
৬। পড়ে বোঝার অক্ষমতা সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করে জবধফরহম মডিউল এ খারাপ স্কোর করার জন্য। এক্ষেত্রে স্পেলিং বড় ভুমিকা পালন না করলেও শব্দ পড়ে ভুল অর্থ করলে তা হয়ে ভিন্ন এবং মূল প্যাসেজের কাছ থেকে দুরে সরে যেতে হয়। গ্রামারের মূল কাঠামোগত অর্থ বুঝতে না পারার কারনেও আপনার অনেক মার্কস কাটা যায়।
0 Reviews:
Post a Comment