আমাদের কাছে প্রতিদিন শতাধিক ফোন আসে এবং কিছু বিরক্তিকর ও গরম প্রশ্নের নরম জবাব দিতে গিয়ে আমাদের অপারেটরগন ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এক, ভাই আপনাদের কি এ্যাম্বাসি আছে? দুই, ভাই কোন কোন দেশে লোক পাঠান? তিন, ভাই আমারে চিনেন? চার, আমি পনেরো লাখ টাকা দিমু, আমারে আমেরিকার ভিসা করাই দিতে পারবেন? পাঁচ, ভাই আপনাদের অফিস কোথায়? ঠিকানাটা বলেন, আমি টাকা নিয়া আসতাছি। ভাই, আমারে সুদানের ভিসা করাই দিতে পারবেন? ছয়, আমি ফ্রান্স যাবো। আমারে তুরস্কের ভিসা করাই দেবেন সেখান থেকে আমি ফ্রান্সে চলে যাব। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ সময় নিয়ে কথা বলতে চান। মনে রাখা উচিৎ আপনার কলটি দীর্ঘ হলে আরেকজন কথা বলতে পারবেন না। অল্প সময় নিয়ে ফোনে কথা বলুন। অন্যকে কথা বলার সুজোগ দিন। যারা আমাদের ভিসা ক্লাবের মেম্বার তাদের আগে সুজোগ দিতে হবে।
যাইহোক, বলছিলাম জব ভিসার কথা। একটা সময় ছিল যখন আমরা ইউরোপের জব ভিসার জন্য তীর্থের কাকের মতো বসে থাকতাম। একটা ইউরোপের ভিসার জন্য পনেরো বা সতেরো লাখ টাকা খরচ করতে রাজী ছিলাম। তখন আমাদেরও বেশ সংকট যাচ্ছিল। ইউরোপের ভিসা করানো অনেকটাই কঠিন ছিল আমাদের জন্য। আর এখন ইউরোপের জব ভিসা হচ্ছে যথেষ্ঠ, এখন মানুষের আগ্রহ অন্য কিছু। এটাই সম্ভবত বাংলাদেশীদের অভ্যাস। সময় থাকতে সঠিক জিনিষটা বেছে নিতে পারার অক্ষমতা। অনেকে বলছে ইউরোপে জব নেই। অভাব আছে। এটা আসলে আমাদের এক ধরনের উদ্ভট মানসিকতা। বাংলাদেশে গাদাগাদি করে বাস করি আমরা, দারিদ্রের কষাঘাতে ক্লিষ্ট, বসবাসের মাপকাঠিতে সর্বনিম্ন স্তরে, সর্বনিম্ন পরিবেশে ও নিকৃষ্ট জলবায়ুতে হতাশাগ্রস্থ বহু পরিবারের মানুষ অনোন্যপায় হয়ে পার্শবর্তী দেশ ভারতে চলে যাচ্ছে চাকরির আশায়। সেখানে ইউরোপকে আমরা বলছি দরিদ্র। চাকরি নেই সেখানে। তারা দরিদ্র নয়, দরিদ্র আমাদের মানসিকতা। ইউরোপ এখনও অনন্য। সবদিক থেকে। পড়াশোনা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, চেতনার গভীরতা, মনুষত্ব, টাকা পয়সা তো আছেই। সবচেয়ে বড়ো কথা আমেরিকা বা কানাডায় আপনি বন্ধুত্বপূর্ন মানুষ পাবেন না। কিন্তু ইউরোপের নারী-পুরুষ সবখানেই খুবই বন্ধুবৎসল।
সময় থাকতে ইউরোপে জব ভিসায় চলে যান। ইউরোপের সেনজেন দেশসমূহ একটি সেনজেন চুক্তিতে পরিচালিত হয় যেকারনে এক দেশের ভিসা অন্য দেশের ক্ষেত্রে ভ্যালিড বলে গন্য করা হয়। সেনজেন দেশ সমূহের মধ্যে বর্ডারলেস জোন চুক্তি থাকায় আপনি এক দেশের জব ভিসা নিয়ে অন্য দেশে গিয়ে খুব সহজে কাজ নিতে পারবেন ও ওয়ার্ক পারমিটটি সেদেশের ওয়ার্ক পারমিটে রূপান্তরে যথেষ্ঠ সহায়তা পাবেন।
পোল্যান্ডের জব ভিসার জন্য আবেদন করবেন না। দিল্লী থেকে এখন জব ভিসা ইস্যু হচ্ছেনা।
চেক রিপাবলিক বা স্লোভাকিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করুন।
আবেদন করতে পারেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে ফিজির জন্যও।
আবেদন করার জন্য www.visa24bd.com এ যান ও সাইন আপ করে নিজের বায়োডাটা আপ করুন। তারপর আপনার পছন্দসই ভিসা বেছে নিয়ে আবেদন করুন। অনলাইনে আবেদনের স্বাদ না পেয়ে থাকলে বুঝবেন না ভিসা পাওয়া কতো সহজ বিষয়, যদি সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করা হয়।
0 Reviews:
Post a Comment