দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি আমাদের সার্চে উঠে আসা এক নাম যে নাম দিয়ে গুগল এ প্রচুর সার্চ পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ এই দেশের ব্যপারে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বাড়বে না কেন? ইউরোপের মতো ফিজিতেও প্রচুর বাংলাদেশী চাকরি নিয়ে গেছেন যারা পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে সেটেল্ড হয়েছেন। ফিজিতেও ইউরোপের মতোই জব ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হচ্ছে যা নিয়ে কয়েক মাস সেখানে অবস্থান করে ভালো কোন দেশে ঢুকে পড়ছে মানুষ। তবে খেয়াল রাখবেন এটি একটি দ্বীপরাষ্ট। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত।এর দক্ষিণ-পশ্চিমে ক্যালাডোনিয়া, দক্ষিণ-পূর্বে নিউজিল্যান্ড, পূর্বে টোঙ্গা, উত্তরে টুভালু ও উত্তর-পূর্বে ফ্রান্স।অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ। আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দিক থেকে ফিজি অত্যন্ত সুন্দর একটি দেশ। ২০১৪ এর এক জরিপে ফিজিকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ আখ্যা দেয়া হয়েছে। সেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী দেশের তালিকায় ছিল ইরাক। বেশ কিছুদিন আগে ছোট ছোট কাজে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ফিজিতে গিয়েছিল। কাজগুলো ছিল মাছ ধরা, সেলাই এর কাজ করা, কৃষিকাজ করা ইত্যাদি। এরা অবশ্য পরে এসব কাজ করেনি। এই সমস্ত মানুষ পরে সেখানেই বড়ো বড়ো কাজে যেমন শপিং মল বা স্টার রেটেড হোটেলে বিভিন্ন পোস্টে কাজ করেছে।
মজার বিষয় হলো ফিজিতে ইংরেজী ও হিন্দী দুটোই বোঝে মানুষ ও এই দুই ভাষাতেই আপনি এখানে কাজ চালাতে পারবেন। আরও মজার বিষয় হলো এই দেশে ইনভেস্ট করার জন্য আপনাকে ডাকছে সেদেশের সরকার। তাই আপনি চাইলে সেখানে এক বছরের একটি ইনভেস্টর ভিসা নিয়ে চলে যেতে পারবেন। একটি বৈধ লাইসেন্স নিয়ে একটি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে ব্যবসা করতে পারবেন। তারপর তিন থেকে ছয় মাস পর, যখন আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এর মেয়াদ বাড়বে আপনি আবেদন করতে পারবেন অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ভিসার জন্য। ফিজিতে ইনভেস্টর ভিসার জন্য আপনার পাসপোর্টে আগের কোন ভিসার দরকার নেই। আপনার খরচ হবে মাত্র ১১ লক্ষ টাকা।
জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের খরচ কম। ৭ লাখ টাকায় আপনি ফিজিতে ৬০ হাজার টাকার একটি চাকরি পাবেন। তবে আপনাকে হাতের কাজ জানতে হবে। যেমন কাঠের কাজ, ওয়েল্ডিং এর কাজ, পেইনটার এর কাজ, এ্যালমিনিয়াম ফেব্রিকেটার, বুলডোজার ড্রাইভার ইত্যাদি।
সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২ মাস। কাজ শুরু হবে ফেব্রুয়ারীর ৪ তারিখ থেকে। আবেদন করতে চাইলে নিচের আবেদন বোতামে ক্লিক করুন।
আমি ফজিলতে যেতে চাই ওখানে শাওয়ার পর কি চাকরি পাওয়া যাবে
ReplyDelete