ইউরোপের ছোট দেশ এস্তোনিয়া। দেশটি ইউরোপের সেনজেন এলাকাভুক্ত হওয়ায় স্বল্প মেয়াদী ভ্রমণের ক্ষেত্রে (সর্বোচ্চ ৯০ দিন) সেনজেন ভিসা নিয়েই এস্তোনিয়া যাওয়া যায়, বাংলাদেশে এস্তোনিয়ার হাই কমিশন না থাকায় এস্তোনিয়া যেতে সেনজেন ভিসা নিতে হবে জার্মান দূতাবাস থেকে। তবে চাকরি, পড়াশোনা বা অন্য কোন প্রয়োজনে এস্তোনিয়ার দীর্ঘমেয়াদী (৯০ দিনের বেশি) ভিসার জন্য আপনাকে এস্তোনিয়ার দূতাবাসেই যেতে হবে।
এস্তোনিয়ার ভ্রমণের জন্য সেনজেন ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
o পূরণকৃত সেনজেন ভিসা আবেদন ফরম, এটি দূতাবাসে বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং ওদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
o পাসপোর্ট বা অন্য কোন ধরনের অনুমতিপত্র:
o পাসপোর্টের ফটোকপি: ব্যক্তিগত তথ্যের পৃষ্ঠা, আগে ভিসা ইস্যু হয়ে থাকলে সে পৃষ্ঠা এবং পুরনো পাসপোর্ট থাকলে তার কপি,
o অন্যান্য শর্ত: পাসপোর্ট ১০ বছরের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না। সেনজেন এলাকা ছাড়ার সময় পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৩ মাস থাকতে হবে। পাসপোর্টে অন্তত দু’টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
o সাক্ষরসহ কোন পরিচিতিপত্র,
o কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু একা কিংবা বাবা-মায়ের কোন একজনের সাথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
o জন্মসনদের কপি,
o বাবা-মা প্রত্যেকের আলাদা আলাদা পরিচিতিপত্র (সাক্ষরসহ),
o শিশুর ভ্রমণে সম্মতি আছে এই মর্মে বাবা-মা উভয়ের সাক্ষরিত সম্মতিপত্র,
o এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে বাবা অথবা মা কে শিশুর দায়িত্ব নিতে পারবেন এই মর্মে আদালতের নির্দেশের কপি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি মঞ্জুর করেছে এই মর্মে অনুমতিপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
o ছয় মাসের বেশি পুরনো নয় এমন পাসপোর্ট সাইজের (৩৫×৪৫ মিলিমিটার) ছবি।
o ট্রাভেল রিজার্ভেশন (টিকেট নয়)। প্রয়োজনে বাতিল করে দেয়া যায় এমন রিজার্ভেশন দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
o আপনি সেনজেন এলাকা ভ্রমণে শেষে কোথায় যাবেন সেটি জানাতে হবে। এজন্য পাসপোর্ট, অন্যদেশের ভিসা বা অন্য কোন ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেখাতে পারেন।
o আপনার নামে হেলথ ইনস্যুরেন্সের থাকার প্রমাণ দিতে হবে। এই ইনস্যুরেন্স সেনজেন এলাকায়ও প্রযোজ্য হতে হবে এবং অন্তত ৩০,০০০ ইউরো মূল্যের ইনস্যুরেন্স হতে হবে। হাসপাতাল ও চিকিৎসার খরচ, জরুরি চিকিৎসার খরচ এবং প্রয়োজনে দেশ ফেরত আসার খরচ ইনস্যুরেন্সের আওতায় থাকতে হবে। আপনার হেলথ ইনস্যুরেন্সের আওতায় এসব খরচ বহনের কথা না থাকলে আলাদাভাবে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স প্রয়োজন হবে।
o নিজ দেশে ফেরার নিশ্চয়তা হিসেবে:
o চাকুরিদাতার কাছ থেকে নিজ দেশে চাকরি থাকার প্রমাণ দিতে হবে,
o শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নিজে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে এমন প্রমাণ দিতে হবে,
o নিজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানেরা পড়াশোনা করছে এমন প্রমাণ দিতে হবে,
o স্থাবর সম্পদ আছে এমন প্রমাণ দেখাতে হবে।
o ভ্রমণের সময় হোটেল রিজার্ভেশনের প্রমাণ দিতে হবে।
o ১ টি সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
o চাকুরীজীবী হলে ছুটি দেয়া হয়েছে এই মর্মে ঘোষণাপত্র প্রয়োজন হবে।
ব্যবসা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বা অন্যান্য কাজে সেনজেন ভিসার আবেদন করলে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
• হোটেলে থাকার পরিকল্পনা করলে হোটেল রিজার্ভেশনের প্রমাণপত্র,
• এস্তোনিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র,
• আপনার চাকুরী এবং এস্তোনিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে চাকুরীদাতার দেয়া পত্র,
• সর্বোপরি ভ্রমণব্যায় আপনি না আমন্ত্রণকারী কে বহন করছেন তা স্পষ্ট হতে হবে,
• সেলফ এমপ্লয়েড হলে ট্যাক্স নম্বর, বিজনেস লাইসেন্স এবং আয়কর রিটার্নের কপি প্রয়োজন হবে।
0 Reviews:
Post a Comment