চীনে এমবিবিএস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইইই, হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয়ে পড়া যায়। এমবিবিএসে পড়া কিছুটা ব্যয়বহুল। কারণ, অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশিদের স্কলারশিপ দেওয়া হলেও এমবিবিএসে সবাইকে দেওয়া হয় না। তবে প্রতিবছর বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো করলে এমবিবিএসে কাউকে কাউকে স্কলারশিপ দেয়। পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন।প্রথমে এসএসসি ও এইচএসসির মার্কসিট, সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অফার লেটারের জন্য আবেদন করতে হবে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট চায়নিজ ভাষায় হওয়ায় নিজে নিজে আবেদন করা কষ্টসাধ্য। এ ক্ষেত্রে চায়নিজ ভাষা জানে এমন এজেন্সির সাহায্য নেওয়া যায়। তবে প্রতারক থেকে সাবধান।
বিশ্ববিদ্যালয় কাগজপত্র পাওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে জেডব্লিউ-২০২ পাঠায়। এটা নিয়ে পরবর্তীকালে ভিসার জন্য দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার আবেদনের সঙ্গে হেলথ সার্টিফিকেট দিতে হবে। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চেকআপ করিয়ে সেখান থেকে এই সার্টিফিকেট নিতে হয়। আবেদন করার দুই দিনের মধ্যেই ভিসা পাওয়া যায়। তবে অনেকে প্রথমবার ভিসা পায় না। এ ক্ষেত্রে আবার চেষ্টা করতে হবে। ভিসা পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব চলে আসা ভালো। কারণ, ভিসার মেয়াদ এক মাস থাকে। আসার পর আবার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হয়। এটা বেশ সহজ এবং বেশি সময় লাগে না।
এবার আসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান প্রসঙ্গে। চীনে আমাদের দেশের মতো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সব সরকারি। এখানে আছে প্রায় এক হাজার ১০০ মেডিকেল কলেজ। তবে সব কটি বিদেশি শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারে না। আবার আমাদের বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল) চীনের সব মেডিকেল কলেজে পড়ার অনুমতি এবং সার্টিফিকেটের অনুমোদন দেয় না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ভালো, শুধু সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে পড়ার অনুমতি ও অনুমোদন দেয়। তাই চীনে আসার আগে অবশ্যই বিএমডিসি থেকে অনুমতি ও একটা সার্টিফিকেট আনতে হবে। এক্ষেত্রে খরচ মাত্র ১০০০ টাকা।
এখানকার একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একেক রকম। আমাদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে চুক্তি আছে সেখানে এক বছরের টিউশন ফি চীনের মুদ্রায় (আরবিএম) ২৪ হাজার। এক আরবিএম সমান বাংলাদেশের ১৩ টাকা। আবহাওয়াও একেক শহরে একেক রকম। বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করার আগে দেখতে হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রদেশে অবস্থিত, সেখানকার গড় তাপমাত্রা কত।
অনেকে বিদেশে পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করতে চান। কিন্তু চীনে এ সুযোগ নেই। এ ছাড়া যাঁরা এমবিবিএস পড়বেন, তাঁদের সারা দিন ক্লাস আর ল্যাবেই কাটাতে হবে। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থিওরির ক্লাসের চেয়ে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে অনেক বেশি মনোযোগী। সুযোগ থাকলেও এ কারণে তাঁরা খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারবেন না।বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে একবারেই সব টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এখানে তা করতে হয় না। প্রতিবছর টিউশন ফি হিসেবে পরিশোধ করতে হয়।চীনে আসার আগে রান্নাবান্নাও কিছুটা শিখে আসা ভালো। তা না হলে কয়েক দিন না খেয়ে থাকতে হবে। কারণ, প্রথমে এসে সবাই চায়নিজ খাবার খেতে পারেন না। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী-ইন্ডিয়ান ক্যানটিন আছে। তবে অনেকে বলে চায়নিজ এমবিবিএস করে এলে বাংলাদেশে চাকরি পাওয়া যায়না এটা ঠিক নয়। আপনি যদি BMDC থেকে রেজিস্ট্রেশন করে যান তবে দেশে এসে প্রাইভেট প্রাকটিশ করতে পারবেন। তবে যেকোন রেজাল্টেই BMDC এর রেজিস্ট্রেশন সম্ভব নয়। এইচএসসির ইংরেজী, কেমিস্ট্রি, ও বায়োলজিতে এপ্লাস থাকতে হবে ও এসএসসিতে এ মাইনাস থাকলে আপনি এর রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তাহলে আপনি চায়না থেকে এমবিবিএস শেষ করে দেশে এসে প্রাইভেট প্যাকটিশ ও সরকারী চাকরি করতে পারবেন।
এ ছাড়া এখানে এসে চায়নিজ ভাষা শিখতে হবে। এটা শেখাটা বাধ্যতামূলক। ভয়ের কিছু নেই, সুন্দরী নারী শিক্ষকেরা অনেক যত্ন সহকারে চায়নিজ ভাষা শেখান।
শেষের দিকে তথ্যের কিছু ভুল আছে।
ReplyDeletegreat information.for higher education pleas visit https://confardconsultancy.com
ReplyDeletegreat
ReplyDelete