জার্মানিতে পড়ার জন্য সাধারণ ন্যুনতম যেসব একাডেমিক যোগ্যতা প্রয়োজন আছে, তাদের একটি তালিকা এখানে দেয়া হল। জার্মানির প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত, একারণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব রিকিউরমেন্ট থাকে যেটা কিনা শুধুমাত্র কোর্সের ওয়েব লিংকে গিয়েই দেখা যাবে। এখানে একটা সাধারণ ধারণা দেওয়া হল, কোন লেভেলে কি কি ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা আবশ্যক।
ব্যাচেলরঃ
এইচ এস সি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সার্টিফিকেট অথবা সমমানের সার্টিফিকেট
জার্মানিতে এসেসমেন্ট পরীক্ষা পাস করতে হবে। বাকি ইনফো দেখুন স্টুডেন্ট কলিগের ওয়েব সাইটে (www.studienkollegs.de/en/)
ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট বা অন্যান্যরা যারা শুধু মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে, তাদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের সমমানের সার্টিফিকেট লাগবে।
এ-লেভেল সার্টিফিকেট ইংল্যান্ডের হলে স্টুডিন্ট কলিগ প্রয়োজন নেই। খেয়াল রাখতে হবে যে, এ-লেভেলে অন্তত একটি ভাষার কোর্স নিতে হবে।
কিছু ইউনিভার্সিটি বিশেষ কিছু সার্টিফিকেট চায়, যেমনঃ
TestAS (www.testas.de)
SAT/ACT
ভাষা
জার্মান ভাষায় ব্যাচেলর করতে চাইলে টেস্টডাফ বা ডিএসহা (“TestDaF” (test of German as a foreign language) or “Deutsche Sprachprüfung für den Hochschulzugang ausländischer Studienbewerber” (DSH))
গোয়েথে থেকে সি-২ লেভেল পর্যন্ত জার্মান ভাষা শেখা থাকলে উপরোক্ত পরীক্ষা দেবার প্রয়োজন নেই।
ইংরেজিতে পড়ার জন্য টোফেল বা আইএলটিএস প্রয়োজন। একেক ইউনিভার্সিটিতে একেক রকম মার্ক বা ন্যুনতম স্কোর প্রয়োজন, কোন সাধারণ নিয়ম নেই।
মাস্টার্সঃ
এইচ এস সি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সার্টিফিকেট অথবা সমমানের সার্টিফিকেট।
রিকগনাইজড ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি। সাধারণত তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রিও গ্রহণযোগ্য।
ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট বা অন্যান্যরা যারা শুধু মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে, তাদেরকে কমপক্ষে ১৫ বছর পড়াশোনার প্রমাণ দেখাতে হবে। এসএসসি পর্যন্ত ১০ বছর এবং যদি ৩ বছরের ডিপ্লোমা হয়, তাহলে ২ বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি লাগবে। তবে সব ইউনিভার্সিটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট গ্রহণ নাও করতে পারে, এই ব্যাপারে কোন সাধারণ নিয়ম নেই।
পিএইচডিঃ
মাস্টার্সের সব যোগ্যতা এখানেও প্রযোজ্য হবে।
৪ বছরের ব্যাচেলর করেও পিএইচডিতে সুযোগ পাওয়া যেতে পারে ব্যতিক্রমী রেজাল্ট বা পাবলিকেশন থাকলে।
জার্মানিতে মাস্টার্স করা থাকলে পিএইচডিতে সুযোগ সহজ হয়।
১ স্টাডি গ্যাপ কোন সমস্যা নয়!!
২ ভর্তির জন্য ন্যূনতম বা কোন ধরণের বয়স সীমা নেই।
৩ অনেকেই প্রোফাইল দিয়ে জানতে চায়, এই প্রোফাইল দিয়ে ভর্তির সম্ভাবনা কতটুকু। আমার কাছে এমন কোন যন্ত্র বা প্রোগ্রাম নেই যেটা দিয়ে সম্ভাবনা মাপা যায়, কারও কাছে আছে বলেও জানা নেই। চান্স পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে কতজন সেই কোর্সে আবেদন করেছে তার উপর। তবে যত কম জিপিএ, তত বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
৪ ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনিক্যাল এবং ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি বা ম্যাথের স্টুডেন্টরা প্রায় সকল ক্ষেত্রেই মাস্টার্সে অন্য টেকনিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে সুইচ করতে পারবে।
৫ জিআরই বা টোফেল দিয়ে সিজিপিএ ঘোচানো যাবে না। আবার যেখানে GRE চেয়েছে, সেখানে বেশী সিজি দিয়েও কাজ হবে না, যদি না GRE থাকে।
৬ রেজাল্ট ২.৮ নিয়েও এডমিশন পাওয়া যায়। তবে সিজিপিএ কম থাকলে অন্তত ১৫-২০ টা ইউনিতে এপ্লাই করতে বলব।
৭ “IELTS/TOEFL করা কি জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক?”
না, বরং মাস্টার্স/ব্যাচেলর করতে যথেষ্ট ইংরেজি জ্ঞান আছে কি না সেটা প্রমাণ করাই মুখ্য।
৫ বছর আগের উদাহরণ দেই। আবেদনের সময় টোফেল পরীক্ষার ফলাফল তখনও হাতে এসে পৌঁছেনি। ওদিকে আবেদনের সময় পার হয়ে যাচ্ছে বলে ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি মাধ্যমের সনদ দিয়ে এক জনের জন্য আবেদন করে দিলাম। টোফেলের রেজাল্ট আসতে আসতে হাতে অফার লেটার চলে আসল। জার্মানিতে গিয়ে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির দিন টোফেল সনদ দেখাল সে। ইন্টারন্যাশনাল অফিসে যে ভদ্রলোক তার সার্টিফিকেট দেখল, তার চেয়ে আমার স্টুডেন্টের ইংরেজি খারাপ না। সুতরাং এই নিয়ে কোন বাতচিত হল না। আমার মনে হয় না এখনও এই অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে।জার্মানিতে সবাই যোগ্যতা দেখে, সার্টিফিকেট নিয়ে এখানে খুব কম ইউনিভার্সিটি মাতামাতি করে। একটা ছেলে ইংরেজিতে একটা ইমেইল করলেই আমরা বুঝতে পারি, তার ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার যোগ্যতা কতটুকু। আমেরিকা কানাডায় টোফেল, জিয়ারি জাতীয় পরীক্ষা গুলো অনেকটা ব্যবসার মত হয়ে গেছে, জার্মানিতে একারণে বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এই জাতীয় সার্টিফিকেটকে এখনও বাধ্যতামূলক না করে বরং “থাকলে ভাল” ট্যাগ দেয়। তবে কিছু কিছু জার্মান ইউনিভার্সিটি যারা কিনা অনেক বেশি আবেদনকারীর চাপে পড়ে, তারা টোফেল, জিয়ারি ইত্যাদিকে আবশ্যক হিসেবে লিখে দেয় যাতে করে আবেদন কম পড়ে।ইংরেজি মাধ্যমে ব্যাচেলর করা আছে এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেক ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করা যায়। মনে রাখতে হবে যে, IELTS করা থাকলে এবং ভাল মার্ক পেলে সেটা এই সার্টিফিকেটের চেয়ে বেশি ভাল। কোন কোন ইউনিভার্সিটিতে এই সনদ গ্রহণযোগ্য হবে, এর কোন তালিকা নেই। সরাসরি ইউনিভার্সিটিকে লিখলে জানা যেতে পারে।
৮ প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ডিপ্লোমা করেছি। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় যেতে পারব কিনা বা এর জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
উত্তরঃ “ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট বা অন্যান্যরা যারা শুধু মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে, তাদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের সমমানের সার্টিফিকেট লাগবে।” জার্মানিতে শুধুমাত্র এইচএসসি বা সাধারণ বিশবিদ্যালয়ের ব্যাচেলর সার্টিফিকেট মানদন্ড হিসেবে দেখা হয়। ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট এখনও সরাসরি রিকগনাইজড নয়। তবে এটা কোন নিয়ম নয়, বরং জার্মানির একেক ইউনিভার্সিটি একেক ভাবে একে মুল্যায়ন করে থাকে।সমাধান হল যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চান, সেখানে সরাসরি কোর্স কোওরডিনেটরকে ইমেইল করে আপনার যাবতীয় সার্টিফিকেট মার্কশিট স্ক্যান করে পাঠান। তারা জানিয়ে দিবে কোন লেভেলে ভর্তি হবার জন্য কি কি করতে হবে।
সরাসরি জার্মানিতে ব্যাচেলরে ভর্তি হবার জন্য বাংলাদেশ থেকে দুই বছর ব্যাচলর শেষ করা হয়েছে এমন সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। এখানেও ডিপ্লোমাদের জন্য একটু ট্রিকি। কারণ কেউ কেউ এসএসসির পর ৪ বছর পড়াশোনা করেছে।
মাস্টার্সের জন্য বাংলাদেশ থেকে সর্বনিম্ন ১৫ বছর পড়াশোনা দেখাতে হয়। তার মানে এইচএসসি+৩ বছরে ব্যাচেলর শেষ করা থাকতে হবে। ডিপ্লোমাদের জন্য যারা এসএসসি করে ডিপ্লোমাতে ঢুকেছে, তাদের সরাসরি মাস্টার্সে এডমিশন পাবার সম্ভাবনা তাই খুব কম।
জার্মানিতে বেশীরভাগ ইউনিভার্সিটি ভর্তির ব্যাপারে অনেক উদার। যোগ্য ছেলেমেয়েদের এখানে সবসময় সুযোগ দেয়া হয়। সুতরাং, যদি মনে করেন, জার্মানিতে সরাসরি ব্যাচেলর শুরু করার যোগ্যতা রাখেন, তাহলে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখুন।
ব্যাচেলরঃ
এইচ এস সি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সার্টিফিকেট অথবা সমমানের সার্টিফিকেট
জার্মানিতে এসেসমেন্ট পরীক্ষা পাস করতে হবে। বাকি ইনফো দেখুন স্টুডেন্ট কলিগের ওয়েব সাইটে (www.studienkollegs.de/en/)
ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট বা অন্যান্যরা যারা শুধু মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে, তাদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের সমমানের সার্টিফিকেট লাগবে।
এ-লেভেল সার্টিফিকেট ইংল্যান্ডের হলে স্টুডিন্ট কলিগ প্রয়োজন নেই। খেয়াল রাখতে হবে যে, এ-লেভেলে অন্তত একটি ভাষার কোর্স নিতে হবে।
কিছু ইউনিভার্সিটি বিশেষ কিছু সার্টিফিকেট চায়, যেমনঃ
TestAS (www.testas.de)
SAT/ACT
ভাষা
জার্মান ভাষায় ব্যাচেলর করতে চাইলে টেস্টডাফ বা ডিএসহা (“TestDaF” (test of German as a foreign language) or “Deutsche Sprachprüfung für den Hochschulzugang ausländischer Studienbewerber” (DSH))
গোয়েথে থেকে সি-২ লেভেল পর্যন্ত জার্মান ভাষা শেখা থাকলে উপরোক্ত পরীক্ষা দেবার প্রয়োজন নেই।
ইংরেজিতে পড়ার জন্য টোফেল বা আইএলটিএস প্রয়োজন। একেক ইউনিভার্সিটিতে একেক রকম মার্ক বা ন্যুনতম স্কোর প্রয়োজন, কোন সাধারণ নিয়ম নেই।
মাস্টার্সঃ
এইচ এস সি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সার্টিফিকেট অথবা সমমানের সার্টিফিকেট।
রিকগনাইজড ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি। সাধারণত তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রিও গ্রহণযোগ্য।
ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট বা অন্যান্যরা যারা শুধু মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে, তাদেরকে কমপক্ষে ১৫ বছর পড়াশোনার প্রমাণ দেখাতে হবে। এসএসসি পর্যন্ত ১০ বছর এবং যদি ৩ বছরের ডিপ্লোমা হয়, তাহলে ২ বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি লাগবে। তবে সব ইউনিভার্সিটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট গ্রহণ নাও করতে পারে, এই ব্যাপারে কোন সাধারণ নিয়ম নেই।
পিএইচডিঃ
মাস্টার্সের সব যোগ্যতা এখানেও প্রযোজ্য হবে।
৪ বছরের ব্যাচেলর করেও পিএইচডিতে সুযোগ পাওয়া যেতে পারে ব্যতিক্রমী রেজাল্ট বা পাবলিকেশন থাকলে।
জার্মানিতে মাস্টার্স করা থাকলে পিএইচডিতে সুযোগ সহজ হয়।
১ স্টাডি গ্যাপ কোন সমস্যা নয়!!
২ ভর্তির জন্য ন্যূনতম বা কোন ধরণের বয়স সীমা নেই।
৩ অনেকেই প্রোফাইল দিয়ে জানতে চায়, এই প্রোফাইল দিয়ে ভর্তির সম্ভাবনা কতটুকু। আমার কাছে এমন কোন যন্ত্র বা প্রোগ্রাম নেই যেটা দিয়ে সম্ভাবনা মাপা যায়, কারও কাছে আছে বলেও জানা নেই। চান্স পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে কতজন সেই কোর্সে আবেদন করেছে তার উপর। তবে যত কম জিপিএ, তত বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
৪ ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনিক্যাল এবং ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি বা ম্যাথের স্টুডেন্টরা প্রায় সকল ক্ষেত্রেই মাস্টার্সে অন্য টেকনিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে সুইচ করতে পারবে।
৫ জিআরই বা টোফেল দিয়ে সিজিপিএ ঘোচানো যাবে না। আবার যেখানে GRE চেয়েছে, সেখানে বেশী সিজি দিয়েও কাজ হবে না, যদি না GRE থাকে।
৬ রেজাল্ট ২.৮ নিয়েও এডমিশন পাওয়া যায়। তবে সিজিপিএ কম থাকলে অন্তত ১৫-২০ টা ইউনিতে এপ্লাই করতে বলব।
৭ “IELTS/TOEFL করা কি জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক?”
না, বরং মাস্টার্স/ব্যাচেলর করতে যথেষ্ট ইংরেজি জ্ঞান আছে কি না সেটা প্রমাণ করাই মুখ্য।
৫ বছর আগের উদাহরণ দেই। আবেদনের সময় টোফেল পরীক্ষার ফলাফল তখনও হাতে এসে পৌঁছেনি। ওদিকে আবেদনের সময় পার হয়ে যাচ্ছে বলে ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি মাধ্যমের সনদ দিয়ে এক জনের জন্য আবেদন করে দিলাম। টোফেলের রেজাল্ট আসতে আসতে হাতে অফার লেটার চলে আসল। জার্মানিতে গিয়ে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির দিন টোফেল সনদ দেখাল সে। ইন্টারন্যাশনাল অফিসে যে ভদ্রলোক তার সার্টিফিকেট দেখল, তার চেয়ে আমার স্টুডেন্টের ইংরেজি খারাপ না। সুতরাং এই নিয়ে কোন বাতচিত হল না। আমার মনে হয় না এখনও এই অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে।জার্মানিতে সবাই যোগ্যতা দেখে, সার্টিফিকেট নিয়ে এখানে খুব কম ইউনিভার্সিটি মাতামাতি করে। একটা ছেলে ইংরেজিতে একটা ইমেইল করলেই আমরা বুঝতে পারি, তার ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার যোগ্যতা কতটুকু। আমেরিকা কানাডায় টোফেল, জিয়ারি জাতীয় পরীক্ষা গুলো অনেকটা ব্যবসার মত হয়ে গেছে, জার্মানিতে একারণে বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এই জাতীয় সার্টিফিকেটকে এখনও বাধ্যতামূলক না করে বরং “থাকলে ভাল” ট্যাগ দেয়। তবে কিছু কিছু জার্মান ইউনিভার্সিটি যারা কিনা অনেক বেশি আবেদনকারীর চাপে পড়ে, তারা টোফেল, জিয়ারি ইত্যাদিকে আবশ্যক হিসেবে লিখে দেয় যাতে করে আবেদন কম পড়ে।ইংরেজি মাধ্যমে ব্যাচেলর করা আছে এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেক ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করা যায়। মনে রাখতে হবে যে, IELTS করা থাকলে এবং ভাল মার্ক পেলে সেটা এই সার্টিফিকেটের চেয়ে বেশি ভাল। কোন কোন ইউনিভার্সিটিতে এই সনদ গ্রহণযোগ্য হবে, এর কোন তালিকা নেই। সরাসরি ইউনিভার্সিটিকে লিখলে জানা যেতে পারে।
৮ প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ডিপ্লোমা করেছি। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় যেতে পারব কিনা বা এর জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
উত্তরঃ “ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট বা অন্যান্যরা যারা শুধু মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে, তাদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের সমমানের সার্টিফিকেট লাগবে।” জার্মানিতে শুধুমাত্র এইচএসসি বা সাধারণ বিশবিদ্যালয়ের ব্যাচেলর সার্টিফিকেট মানদন্ড হিসেবে দেখা হয়। ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট এখনও সরাসরি রিকগনাইজড নয়। তবে এটা কোন নিয়ম নয়, বরং জার্মানির একেক ইউনিভার্সিটি একেক ভাবে একে মুল্যায়ন করে থাকে।সমাধান হল যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চান, সেখানে সরাসরি কোর্স কোওরডিনেটরকে ইমেইল করে আপনার যাবতীয় সার্টিফিকেট মার্কশিট স্ক্যান করে পাঠান। তারা জানিয়ে দিবে কোন লেভেলে ভর্তি হবার জন্য কি কি করতে হবে।
সরাসরি জার্মানিতে ব্যাচেলরে ভর্তি হবার জন্য বাংলাদেশ থেকে দুই বছর ব্যাচলর শেষ করা হয়েছে এমন সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। এখানেও ডিপ্লোমাদের জন্য একটু ট্রিকি। কারণ কেউ কেউ এসএসসির পর ৪ বছর পড়াশোনা করেছে।
মাস্টার্সের জন্য বাংলাদেশ থেকে সর্বনিম্ন ১৫ বছর পড়াশোনা দেখাতে হয়। তার মানে এইচএসসি+৩ বছরে ব্যাচেলর শেষ করা থাকতে হবে। ডিপ্লোমাদের জন্য যারা এসএসসি করে ডিপ্লোমাতে ঢুকেছে, তাদের সরাসরি মাস্টার্সে এডমিশন পাবার সম্ভাবনা তাই খুব কম।
জার্মানিতে বেশীরভাগ ইউনিভার্সিটি ভর্তির ব্যাপারে অনেক উদার। যোগ্য ছেলেমেয়েদের এখানে সবসময় সুযোগ দেয়া হয়। সুতরাং, যদি মনে করেন, জার্মানিতে সরাসরি ব্যাচেলর শুরু করার যোগ্যতা রাখেন, তাহলে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখুন।
আমি দুই বছর ইংলিশ মিডিয়াম কোর্সে পড়েছি মানে এখানে এম.বি.এ করেছি। এখন আইএলটিএস থাকলে কি কোন বিসয়ে আবেদন করতে পারব.....?
ReplyDeleteঅবশ্যিই পারবেন। তবে ব্লক এ্যাকাউন্ট করতে হবে।
Deleteডিপ্লোমা করার পর আমাকে বাংলাদেশে আর কি করতে হবে?
ReplyDeleteআমি এইচ এস সি পাশ করে অনার্স প্রথম ইয়ার এ আছি,,তাহলে কি জার্মান ভিষার আবেদন করতে পারবো।।।01715225635
ReplyDeleteএইচএসসি জিপিএ এর কোন মিনিমাম রিকুয়ারমেন্ট আছে কি
ReplyDeleteআমি ডিপ্লোমা করে, এখন সিটি ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি করছি, আমার করনীয় কি??
ReplyDeleteআমার s.s.c=4.25 (scince) h.s.c=4.92(scince). Hon's=3.75(mathematics)
ReplyDeleteIelts score 7+ হলে আমি কি জার্মানির কোনো ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করার জন্য এপ্লাই করতে পারব??