বাংলাদেশীদের জন্য গ্রীস খুবই উপযোগী এক নাম। আমাদের কাছে প্রতিদিন প্রচুর ফোন আসে এবং বেশীরভাগই বলে থাকেন যে তাদের গন্তব্য গ্রীস। আমাদের জানা নেই তারা গ্রীসকে কেন বেছে নেন ইউরোপে ঢোকার জন্য। তবে একটা কারন আমরা পেয়েছি যা দিয়ে বলা যায় বাংলাদেশীরা কেন গ্রীসে যেতে চায়। সবচেয়ে বড়ো কারন হলো এর তুরস্কের কাছে অবস্থান। এবং তুরস্কে ঢোকা মোটামুটি সহজ হওয়ার কারনে তুরস্ক থেকে তারা এজেন্টের মাধ্যমে গ্রীসে ঢোকার চেষ্টা করে।যদি কেউ ঘুরতে যায় তবে এর ভূমধ্যসাগরীয় তটরেখা ও বেলাভূমিগুলি খুবই বিখ্যাত। শুধু ভ্রমণপ্রিয়াসুরাই নয়, ব্যবসায়িক কাজেও প্রতি বছর অনেকে গ্রিস যান।তবে বাংলাদেশী যারা ঘোরার জন্য গ্রীস যান আমার মনে হয় তারা কোনভাবেই টুরিস্ট নন।তারা ইউরোপে কোনভাবে প্রবেশ করতে চান।বাংলাদেশ থেকে যতো মানুষ গ্রীসে ঢোকে তার ৫% ফেরৎ আসেনা। ফলে গ্রীস ভিসা বাংলাদেশীদের জন্য অনেক কঠোর। যদি কোন বাংলাদেশী নাগরিক বিদেশে ভ্রমন করতে চায় তবে তাকে দিল্লীতে অবস্থিত ‘ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার’ এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
গ্রিসের বিজনেস ভিসা আবেদনের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য:
* পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি থাকতে হবে)
পাসপোর্টে কমপক্ষে দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
* ভিসা আবেদনের ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
আবেদনের ফর্মে গ্রীসের স্থানীয় অভিভাবকের স্বাক্ষর লাগবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় অভিভাবকের স্বাক্ষর
ছাড়াও আবেদন করা যায়।
*সাম্প্রতিক তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে,
- ছবি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে
- ছবিতে আবেদনকারীর সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে
*ভিসার জন্য আবেদনের সময় ভিসা মাশুল বাবদ ৬০ ইউরো অথবা ৪৬২০ ভারতীয় রুপি অথবা প্রায় ৫২৭০ টাকা
জমা দিতে হবে। ( ডিসেম্বর ২০১৮ এর তথ্য)
*ভিসা মাশুল অফেরতযোগ্য এবং নগদ ভারতীয় রুপিতে পরিশোধ করতে হবে।
*ভিসার জন্য সার্ভিস চার্জ বাবদ আরও ৮৮৬ ভারতীয় রুপি জমা দিতে হবে।
‘নয়া দিল্লী’ ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করলে ‘আবেদনের সময় ভিসা চার্জ’ ও ‘ভিসার জন্য সার্ভিস চার্জ’ বাদে আর কোন চার্জ পরিশোধ করতে হবে না। কিন্তু ‘নয়া দিল্লী’ বাদ দিয়ে যদি মুম্বাই, জালান্দার, পুনে, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, কোচিন, কোলকাতা ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন আবেদন কেন্দ্র থেকে গ্রীসের ভিসার জন্য আবেদন করলে অতিরিক্ত মাশুল হিসেবে আরও ১৫৪০ ভারতীয় রুপি দিতে হবে। অন্যান্য ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে ‘নয়া দিল্লী’ ভিএফএস (VFS) ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ভিসা আবেদনের কুরিয়ার মাশুল বাবদ ১৫৪০ ভারতীয় রুপি নেয়া হয়।
গ্রীসের ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ
সার্ভিস
|
চার্জ
|
ভিসা আবেদনের চার্জ
|
৬০ ইউরো/
৪৬২০ ভারতীয় রুপি/ প্রায় ৫২৭০ টাকা |
ভিসার জন্য সার্ভিস চার্জ
|
৮৮৬ ভারতীয় রুপি/
প্রায় ১১১১ টাকা |
‘নিউ দিল্লী’ বাদে অন্যান্য ভিএফএস (VFS) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে কুরিয়ার চার্জ
|
১৫৪০ ভারতীয় রুপি/
প্রায় ১৯৩০ টাকা |
** ভিসা মাশুল অফেরতযোগ্য এবং নগদ ভারতীয় রুপিতে পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য খেয়াল রাখবেন নিজে নিজে ভিসার জন্য দাঁড়ালে আপনার ভিসা ৯৮% রিফিউজ হবার সম্ভাবনা। অবশ্যই একজন এজেন্টের শরনাপন্ন হোন যার গ্রীস ভিসার ব্যপারে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
Greece ভিসা নিয়ে কি করব কায নাই খব কঠিন অবস্থা আর জাই করেনকেও গ্রীস এ আইসেন্না
ReplyDeleteYou can go to other EU countries or contact our local agent for a job.
Deleteকিন্তু গ্রীসে পাঠানোর জন্য এখানে সবাই আগ্রহী ।
DeleteVery good I like those works very much
ReplyDelete