নানা সময়ে এদেশে নানা ধরনের ভিসা প্রতারনা দেখা যায় এর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো প্রতারনাটি হলো কানাডা জব ভিসা । তবে আমরা জানতে পেরেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে জব ভিসা হয়ে থাকে এবং আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি ব্যপারটি সত্য । তবে সত্যিকার কাজ খুব কম এজেন্ট করে থাকে, বড়ো কাজ হলো নানা ধরনের কথা বলে ক্লায়েন্টদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া । অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি এখানেও কানাডা জব ভিসার মতো কিছু চক্র গড়ে উঠেছে এবং কিছুটা ভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রতারন করা হচ্ছে । কানাডা জব ভিসার প্রতারনাটি কিছু হলেও বোঝা যায় কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জব ভিসার প্রতারনা ধরা বেশ কঠিন । আমরা গবেষনামুলক তদন্ত সাপেক্ষে কিছু বিষয় তুলে ধরলাম অস্ট্রেলিয়ার জব ভিসার ব্যাপারে যা অনুসরন করলে আপনিও ধরতে পারবেন যে আপনার সাথে প্রতারনা বা স্ক্যাম করা হচ্ছে ।
এজেন্ট আপনার নিকট থেকে সিকিউরিটি মানি নিতে পারে, এটা অস্বাভাবিক নয় কেননা এজেন্ট এর একটি স্থায়ী অফিস আছে কিন্তু আপনার স্থায়ী আবাসটি পরিক্ষিত নয় । বা আপনি ভিসার পর আপনার মোবাইল নাম্বারটি পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন । তখন আপনাকে কে ধরতে পারবে । কিন্তু একজন এজেন্টকে আপনি ধরতে পারবেন । সে যাই হোক একজন প্রতারক কখনও এজেন্ট হতে পারেনা । এবং আমাদের যতোজন ভেরিফায়েড এজেন্ট আছেন তারা কখনও নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনার সাথে করবেন না ।
১ । এজেন্ট যদি বলে পুরো টাকা একসাথে দিতে হবে না হলে ভিসা হবেনা, বা টাকা অস্ট্রেলিয়ায় ট্রান্সফার করতে হবে সেক্ষেত্রে সাবধান হোন কারন অস্টেলিয়ায় যদি এই সিস্টেমটি কানাডার মতোই প্রচলিত আছে তারপরও এই ভিসার ক্ষেত্রে তার কোন নমুনা নেই ।
২ । ETA নামে একটি ভিসা আছে অস্টেলিয়ায় । এই ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি ভিসায় আপনি বড়োজোর অস্ট্রেলিয়ায় এক বছরের মধ্যে যতোবার খুশি যাওয়া আসা করতে পারবেন কিন্তু কোন কাজ করতে পারবেন না । আপনার যদি অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার একান্ত ইচ্ছে থাকে তবে আপনি এই ভিসা নিয়ে ঢুকতে পারেন ।
৩ । অস্ট্রেলিয়াতে আপনি চাকরি বা ব্যবসা উভয়েই করতে পারবেন । চাকরি করতে গেলে আপনার বিজনেস নাম্বার লাগবে না । যদি সেখানে ব্যবসা করেন আমাদের দেশে যেটাকে টিন বলা হয় সেটাকে তারা বলে এবিএন, সেটি লাগবে আপনার জন্য । তবে চাকরিদাতা কখনই আপনার নিকট থেকে এবিএন চাইবেন না ।
৪ । অস্ট্রেলিয়ার চাকরিদাতা তার কাগজপত্র কখনও হাতে লেখা অবস্থায় পাঠাবেন না । তাই কোন কাগজ যদি দেখেন হাতে লেখা বা চাকরিদাতা কোন শর্ত হাতে লিখেছেন তবে সতর্ক হবার সময় হয়েছে আপনার ।
৫ । জব ভিসার ক্ষেত্রে আপনার একটি নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল থাকে, এই মেয়াদকালের মধ্যে যদি আপনি সেখানে চাকরির বৈধতা না বাড়ান তবে আপনাকে সেদেশ থেকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে । কেউ যদি আপনাকে সেখানকার জব ভিসার সাথে পিআর এর অফার দেয় সেক্ষেত্রেও আপনার সতর্ক হবার সময় হয়েছে ।
৬ । চাকরিদাতা সংস্থার ওয়েবসাইট সবসময় ইংরেজীতে হয় (অস্ট্রেলিয়ার জন্য) এবং তাদের ওয়েব সাইটে কখনও অস্ট্রেলিয়ার প্রতীক অস্ট্রেলিয়ান কোট অফ আর্মস ব্যবহার করা হয় না । তারা যদি এটি বুঝিয়ে থাকে চাকরিদাতা সংস্থাটি সরকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত তবে মনে করবেন তারা আপনাকে ইন্টারনেটে ভুল জিনিষ দেখাচ্ছেন ।
৭ । অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিদাতা সংস্থা কখনও আপনাকে ‘ক্যাশ ইন হ্যান্ড’ বা নগদ টাকায় বেতন দেবার কথা উল্লেখ করবেনা । যদি এমন কিছু তাদের কন্ডিশন ফর্মে উল্লেখ করা হয় তবে বুঝতে হবে আপনার সাথে প্রতারনা করা হচ্ছে ।
৮। যদি বলা হয় যে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের ট্যাক্স ফাইল নাম্বার (টিএফএন)আপনার লাগবে না, তাহলে সতর্ক হন। অস্ট্রেলিয়ায় টিএফএন না থাকলে বেশি আয়কর দিতে হয়। এছাড়া, অন্যান্য সরকারি সুবিধার জন্য আবেদন করতে গেলেও টিএফএন নাম্বার লাগে। ইলেক্ট্রনিকালি ইনকাম ট্যাক্স রিপোর্ট জমা দেওয়া এবং এবিএন নাম্বারের জন্য আবেদন করতে গেলেও টিএফএন লাগে।৯ । আপনার চাকরিদাতা সংস্থার যদি এবিএন না থাকে তবে সতর্ক হোন । আপনার চাকরিদাতা যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস করছেন তাই তাদের অবশ্যই এবিএন থাকবে ।
১০ । তারা আপনাকে স্কিল নাকি ননস্কিল ভিসায় পাঠাচ্ছে জেনে নিন । কারন তারা যদি স্কিল ক্যাটাগরিতে আপনাকে পাঠায় আর আপনি যদি এসব কোন কাজই না জানেন তবে অস্ট্রেলিয়ার কতৃপক্ষ অবশ্যই আপনাকে রিটার্ন পাঠিয়ে দেবে ।
উপরের এই দশটি বিষয় খেয়াল রাখুন এবং ভিসা প্রসেস করার আগে ভিসা এজেন্টকে এই প্রশ্নগুলো করুন । আমাদের যারা ভেরিফায়েড এজেন্ট আছে তারা এসব মিথ্যা এড়িয়ে চলেন এবং সঠিক তথ্য আপনাকে প্রদান করেন । তাই আমাদের ভেরিফায়েড এজেন্টদের মাধ্যমে আপনার যেকোন ভিসা প্রসেস করলে আপনাকে ভিসা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করতে হবেনা ।
0 Reviews:
Post a Comment