আমরা বারবারই বলেছি বিদেশে গেলে সরাসরি যাবার চেষ্টা করবেন, কখনও অবৈধভাবে যাবার চেষ্টা করবেন না। অনেকেই আমাদের ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে আমরা লিবিয়ায় কাজ করছি কিনা। তাদেরকে আমরা বুঝিয়েছি যে লিবিয়ায় জনশক্তি রপ্তানী এখন বন্ধ। তারপর তারা আমাদের অনুরোধ করে আমরা যেন তাদেরকে বৈধ এজেন্টে সন্ধান দেই যারা লিবিয়ার কাজ করে। একটা কথা আবারও বলছি, ভিসা২৪বিডি অনলাইন একটি ভিসা মার্কেটপ্লেস। এটি সরকারী সব নিয়ম কানুন মেনে এজেন্টের ভিসা অফার পোস্ট করে থাকে। যে ভিসা বৈধ কেবল তাই আমরা পোস্ট করি। যে ভিসার জন্য নির্ধারিত এজেন্ট নেই বা যে এজেন্টের আরএল লাইসেন্স নেই সেই এজেন্টের কোন অফার আমরা পোস্ট করিনা। যারা লিবিয়ায় যেতে চাচ্ছেন তাদের মূল লক্ষ হলো ইউরোপ।
দালালের মাধ্যমে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করা বাংলাদেশের ২৮০ নাগরিক এখন আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। তাঁরা চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে সুদান, মিসর, আলজেরিয়া, দুবাই ও জর্ডান থেকে লিবিয়ায় জড়ো হয়েছিলেন। পরে সেখানে ধরা পড়েন। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে ২০১৫ সাল থেকে লিবিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। যাঁরা লিবিয়ায় গিয়ে ধরা পড়েছেন, তাঁদের কারও পাসপোর্টেই ওই দেশটির ভিসা ছিল না।
এসব মানব পাচারকারীদের কাজ। যারা এদেরকে পাঠাচ্ছেন তারা অবশ্যই আরএল ভুক্ত কোন এজেন্ট নন। এরা জাস্ট দালাল। এদের সাথে বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড অপরাধীচক্র জড়িত থাকে। এই অপরাধীচক্র নিরাপরাধ এসব মানুষকে আটকে রেখে মুক্তিপন দাবী করে। এদেরকে মানব পাচারকারী বলা যায় কিন্তু জনশক্তি রপ্তানীর সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই।
0 Reviews:
Post a Comment