এশিয়ার দেশসমূহের ভেতর মালয়শিয়াই একমাত্র দেশ যেখানে রিফিউজ হার একেবারে নেই বললেই চলে। তাছাড়া খুব অল্প টাকায় জব ভিসা পাওয়া যায় এখানে। মালয়শিয়ায় যেসব ভিসা পাওয়া যায় সেগুলো হলো এগ্রিকালচার বা পাম বাগানে চাকরি। কন্সট্রাকশন ফিল্ড। ফ্যাকটরি বা মিল কলকারখানা। এবং হোটেল বার ও রেস্টুরেন্ট। সরকারী কলিং ভিসা ছাড়াও অনেকে অবৈধভাবে মালয়শিয়া গিয়ে চাকরি করছেন। যারা অবৈধভাবে মালয়শিয়া আছেন তাদেরকে জব ভিসার ক্যাটাগরির মধ্যে কোনভাবেই ফেলা যায়না। আগেই একটু বলে রাখি মালয়শিয়ায় সবচেয়ে ভালো চাকরি হলো হোটেল বার ও রেস্টুরেন্টের চাকরি। আর সবচেয়ে বাজে হলো পাম বাগানে চাকরি। হোটেল বার রেস্টুরেন্টের চাকরি ভালো হবার কারন হলো এতে টাকা বেশী। হোটেল বার রেস্টুরেন্টের জবে থাকা ও খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে বেতনের পুরো টাকাটাই দেশে পাঠিয়ে দেয়া যায়।
বর্তমানে আমাদের এজেন্টদের মালয়শিয়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের বেশ কিছু ভিসা এসেছে। এসব ভিসায় যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের সর্বমোট খরচ হবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো। বেতন পাবেন ১২০০ রিঙ্গিত। থাকা ও খাওয়া কতৃপক্ষ দেবেন। ওভারটাইম আছে। একস্ট্রা বেনিফিট আছে। সবমিলিয়ে একজন রুম বয় বা হোটেল বয় বাংলাদেশী টাকায় বেতন পেতে পারেন ৪০ হাজার টাকা। থাকা ও খাওয়া যেহেতু লাগবে না সেহেতু তার পুরো টাকাটাই সেভ হয়ে যাবে। পদ আছে রুম বয়, ক্লিনার, রিসেপশন, হাউজ বয় ইত্যাদি।
আবেদনের সময় আছে খুবই কম। আবেদন করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যেই। ভিসার নিয়মটা জেনে নিন। প্রার্থীর প্রয়োজন হবে কেবল পাসপোর্ট ও চারকপি ছবি। প্রথমে মেডিকেল হবে মালয়শিয়ার সরকারের নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে। সেখান থেকে মেডিকেল রিপোর্ট পাবার পর ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শুরু হবে। সর্বোচ্চ সময় তিন মাস। প্রার্থীর নিজের টাকা খরচ করে মেডিকেল করতে হবে। মেডিকেলে খরচ হবে ৬০০০ টাকা। এরপর যখন প্রসেসিং শুরু হবে তখন এজেন্টকে দিতে হবে ত্রিশ হাজার টাকা। ভিসা হবার পর দিতে হবে আংশিক অর্থ এবং সবশেষে ম্যানপাওয়ার হবার পর বাকি টাকা শোধ করতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন আপনি একজন যোগ্য প্রার্থী তবে নিচের লিংকে ক্লিক করে আবেদন করুন।
0 Reviews:
Post a Comment