বাংলাদেশের বহু অঞ্চল থেকে আমাদের কাছে ফোন করে আপনারা বিভিন্ন তথ্য জানতে চান এবং ভিসা সংক্রান্ত ব্যপারে আমাদের সহায়তা চান। যেহেতু VISASFORYOU সৃষ্টি হয়েছে কোন প্রকার লাভ ছাড়াই আপনাকে সহায়তা করার জন্য এবং আমরা কয়েকজন ব্লগার মিলেই এই সাইট এবং প্রতিষ্ঠানটি চালাই তাই আমাদের সহায়তা করাও আপনাদের প্রয়োজন। নিচে যে সকল ভিসার কপি আপনারা দেখেছেন তা আমরা আমাদের বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে পেয়েছি এবং এরা সকলে আমাদের ভিসা ক্লাবের সদস্য। আপনার যদি বিদেশে চাকরি, ভ্রমন, ইমিগ্রেশন, পড়াশোনা ইত্যাদি ব্যপারে আমাদের সাহায্য চান তবে কয়েকটা বিষয় আপনাকে স্মরন রাখতে হবে।
১। আমরা যা কিছু করি তা আমাদের ভেরিফায়েড এজেন্টের সাহায্য নিয়ে করে থাকি। এসব এজেন্ট একেবারে ধোয়া তুলসিপাতা তা বলবোনা কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে ও রাষ্টীয় বিধিমালায় এই ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে যে সকল কাগজপত্র ও লাইসেন্স প্রয়োজন হয় তা এদের আছে। অভিজ্ঞতা আছে। সততা আছে। সর্বপরি এরা ভিসা অর্জনের ব্যপারে পরিক্ষীত। এদের অফিস আছে, এদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, অনেকেরই ম্যানপাওয়ার লাইসেন্স আছে, এরা নিজস্ব ও কোম্পানীর টিন সার্টিফিকেটে সরকারকে বাৎসরিক ট্যাক্স প্রদান করে। তাই এদেরকে আমরা ভেরিফায়েড এজেন্ট বলি। এদেরকে ভেরিফাই করা আমাদের কম্ম নয়। যেহেতু সরকারীভাবে ভেরিফায়েড ও ভিসা তোলার ব্যপারে পরিক্ষীত তাই এরাই আমাদের ভেরিফায়েড এজেন্ট।
২। কখনও আমাদের অফিসে আসতে চাইবেন না, কারন আমরা ভিসা এজেন্ট নই। আমরা ভিসার কাজ করিনা। খেয়াল রাখবেন একজন এজেন্ট যেমন করেন, টেবিলে বসে ক্যান্ডিডেটের সাথে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন তা আমাদের সম্ভব নয়। তাই আমাদের অফিসে ভ্রমন প্রয়োজন নেই। আমরা পুরোপুরিই অনলাইন ভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এখানে কেউ আপনার সাথে মুখোমুখি বসে কথা বলার মতো সময় পায়না। যা জানতে চাইবেন তা উপরে দেয়া নাম্বারে জানতে চাইবেন। আমাদের একটাই নাম্বার। লাইন বিজি না থাকলে প্রথম ফোনেই আমাদের একজন অপারেটর কল ধরবেন।
৩। আপনি যদি মনে করেন বিদেশে যাওয়া আপনার একান্ত প্রয়োজন। যদি মনে করেন এমন কাউকে পাচ্ছেন না যাকে বিশ্বাস করা যায়। এমন কোন এজেন্ট পাচ্ছেন না যে পরীক্ষিত। জব ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ইমিগ্রেশন ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা সেটা যাই হোক আমাদের ভিসা ক্লাবের সদস্য হয়ে যান। ভিসা ক্লাবের সদস্য না হলে আমরা আপনাকে সার্ভিস দিতে পারবোনা। আমাদের সাইটে ভিসা ক্লাবের ফর্ম পুরন করুন। প্রদেয় নাম্বারে ৩০০ টাকা বা ৪০০ টাকা বিকাশ করুন। যদি ছয় মাসের জন্য সদস্য হতে চান তবে ৩০০ টাকা ও এক বছরের জন্য ৪০০ টাকা বিকাশ করুন। বিকাশ করার পর আপনার ই-মেইল আইডিতে একটি মেম্বারশিপ কার্ড ও একটি সিরিয়াল নম্বর প্রদান করা হবে। ওটিই আপনার মেম্বারশিপ কনফার্মেশন কোড।পাশে দেখানো শুধুমাত্র মেম্বারগন যোগাযোগ করুন বাটনটি ব্যবহার করে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ ও আবেদন করতে পারবেন ও আবেদন করতে পারবেন। ভিসা ক্লাবের সিরিয়াল নম্বর না থাকলে আপনি আমাদের মাধ্যমে ভিসা সংক্রান্ত ব্যপারে কোন প্রকার সহায়তা পাবেন না।
৪। খেয়াল রাখবেন, আমাদের এজেন্টগন ভেরিফায়েড কিন্তু আপনি কি ভেরিফায়েড? অবশ্যই না। দেখা গেল সিলেটের কোন এক গ্রাম থেকে এসেছেন আপনি, আপনার পাসপোর্ট খালি- সেখানে কোন ভিসা নেই।ভিসা হবার পর আপনি টাকা দিতে পারবেন এমন নিরাপত্তা আপনি দিতে পারছেন না। আপনি যখন ভিসা প্রসেসিং করতে চাইবেন এজেন্ট তার নিরাপত্তার কারনে কিছু সিকিউরিটি ডিপোজিট চাইবে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার। আপনি সিকিউরিটি না দিলে কোন এজেন্টের পক্ষে আপনার পেপার প্রসেস করা সম্ভব নয়। আপনি বলবেন আপনার পাসপোর্ট যেহেতু এজেন্ট রেখে দিয়েছেন তাই ওটাই ডিপোজিট। কিন্তু না, আপনার পাসপোর্টই কেবল আপনার দেয়া সিকিউরিটি হতে পারেনা। VISASFORYOU বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি সিকিউরিটি ডিপোজিট সম্পর্কে তুলে ধরলোঃ
ক। অর্থিক ডিপোজিটঃ আপনি যেহেতু নিশ্চিত ভিসা হবার পর আপনি ভিসার জন্য ধার্যকৃত অর্থ এজেন্টকে প্রদান করতে সক্ষম এবং মানসিকভাবেও প্রস্তুত ভিসা পেলে যাবার ব্যপারে তাই এজেন্ট চাইলে একটা সিকিউরিটি ডিপোজিট আপনাকে প্রদান করতে হবে। কারন এজেন্ট যখন ভিসা করে দেবেন তখন আপনি যদি মত বদলে ফেলেন বা ফোনটার সিম বদলে ফেলেন এজেন্টের লগ্নিকৃত পুরো টাকাটাই জলে যাবে।তাই দেখা যায়, বাংলাদেশের বড়ো বড়ো ভিসা এজেন্টগন বিনা আর্থিক ডিপোজিটে কোন কাজই করেন না। ছোট ছোট ফার্মগুলো অল্প লাভের জন্য কোন ডিপোজিট না নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ে যায়। তাই মনে রাখবেন, আপনি যাবেন এটা নিজে নিশ্চিত কিন্তু এজেন্ট নিশ্চিত হবে তখন যখন আপনি ডিপোজিট দিয়ে কাজ শুরু করবেন। আপনি যদি যাবার ব্যপারে শতভাগ নিশ্চিত হন তবে আর্থিক ডিপোজিট দিতে আপনার নারাজ হবার কথা নয়।
খ। এগ্রিমেন্ট এগেন্সট চেক বা চেকের বীপরিতে চুক্তিনামাঃ আপনি যেহেতু জামানত দিতে নারাজ তাই আপনাকে একটি চেক দিতে হবে যার নাম্বারটি চুক্তিনামায় উল্লেখ থাকবে। আপনার এ্যাকাউন্টে অবশ্যই পুরো টাকা থাকতে হবে, অর্থাৎ যে টাকার ওপর আপনার চুক্তি হয়েছে। এবং পুরো টাকার ওপর চেক প্রদান করতে হবে। ধরুন কন্ট্রাকট হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। পাঁচ লাখ টাকা আপনার এ্যাকাউন্টে থাকতে হবে এবং আপনাকে চেকও দিতে হবে পাঁচলাখ টাকার। শুধুমাত্র চেকের ডেট থাকবে ভবিষ্যতে, অর্থাৎ চেকটি হবে ফিউচার ডেটেড। এই ডেটটি আপনাকে দেবেন এজেন্ট। ভিসা হবার সময় নির্ধারন করে এই চেকের তারিখটি আপনি বসাবেন। আপনি ভয় পেতে পারেন যে, এজেন্ট আপনার সই নকল করে তারিখটি কেটে তার নিচে আপনার সই জাল করে টাকা তুলে ফেলতে পারেন। এজন্য আপনি ব্যাংকে একটি আবেদন করে রাখুন যেন নির্দিষ্ট তারিখের আগে কেউ টাকা তুলতে না পারেন। আবার ধরুন আপনি এক মাস পরের ডেট দিয়েছেন চেকে। এক মাস পেরিয়ে যেতে বসেছে কিন্তু আপনার ভিসা হচ্ছেনা, তখন আপনি এজেন্টকে আরেকটি চেক প্রদান করে আগের চেকটি ফিরিয়ে নিন ও ব্যাংকে আরেকটি আবেদন করুন।
গ। বিশিষ্ট ব্যাক্তির নিকট থেকে প্রত্যয়নপত্রঃ আপনি যদি উপরের কোনটি পছন্দ না করে থাকেন তবে এই সিকিউরিটি ডিপোজিটটি দিতে পারেন। যদিও এই সিকিউরিটি বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছে VISASFORYOU, তারপরও এটি বেশ নির্ভরযোগ্য সিকিউরিটি। আপনাকে নিশ্চয় আপনার এলাকার ইউপি মেম্বার বা কাউন্সিলরগন চেনেন। তাদের নিকট থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র আনবেন যে তিনি আপনাকে চেনেন এবং টাকা দেবার সামর্থ আছে এবং ভিসা হবার পর আপনি আমাদের টাকা প্রদান করবেন। আপনি যদি না করেন তবে তিনি তার দায়িত্ব নেবেন। আশাকরি, এবার আপনি সকল ঝামেলা থেকে মুক্ত। প্রত্যয়নপত্র দেবার পর VISASFORYOU নিজের দায়িত্বে আপনার এলাকায় যাবে এবং প্রত্যয়নপত্রটি ভেরিফাই করে এজেন্টের মাধ্যমে কাজ শুরু করবে।
যদি এব্যপারে আরও কোন প্রশ্ন থাকে তবে প্রশ্ন করুন 01772369451 এ।
0 Reviews:
Post a Comment