তুরস্ক ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে এমন একটি দেশ যেখানে বইছে এশিয়া ও ইউরোপ দুই দেশের হাওয়া। অনেকে মনে করে তুরস্ক বুঝি মুসলিম দেশ। হ্যাঁ, এটি নামে একটি মুসলিম দেশ যাকে আমরা বলতে পারি মিক্সড মুসলিম কান্ট্রি। যেমন ইরানকে আমরা বলতে পারি।সেখানকার মেয়েরা মাথায় স্কার্ফ পরছে আবার জিনস প্যান্ট আর টি শার্ট পরছে। তুরস্কও এমন একটি দেশ যেখানে অনেকের মাথার চুল সোনালী আবার কারো কারো কালো। কখনও আবহাওয়া ঠান্ডা আবার কখনও গরম। পাশেই শহর ইস্তাম্বুল যেখান দিয়ে সহজেই ইউরোপের বুলগেরিয়ায় চলে যাওয়া যায়। ২০১০ এ আমরা তুরস্ক ও ইস্তাম্বুল পার হয়ে বুলগেরিয়া, তারপর সেখান থেকে রোমানিয়া, চেক রিপাবলিক ও সবশেষে জার্মানী ও ফ্রান্স পর্যন্ত ঢুকেছিলাম। যদিও থাকার ইচ্ছায় যাইনি এবং আমাদের কাছে শুধু তুরস্কের ভিসাই ছিল আমরা দেখতে চেয়েছিলাম যদি কারো ইচ্ছা থাকে তবে ইউরোপে ঢোকা ও সেনজেন কান্ট্রিগুলোতে ঢোকা অসম্ভব নয়। ইস্তাম্বুল থেকে ডিরেক্ট ট্রেন রাইডে চলে যাওয়া যায় বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়াতে।আপনি ইচ্ছে করলে বাসে করেও ইস্তাম্বুল থেকে চলে যেতে পারেন বুলগেরিয়ার প্লভডিভ সিটিতে তারপর সেখান থেকে সোফিয়া বা ইউরোপের অন্য কোথাও।
তুরস্ক থেকে ইস্তাম্বুল চলে যাওয়া যায় ঘন্টা দেড়েকেই। গোটা ইস্তাম্বুলটাই যেন বুলগেরিয়ার ভেতর ঢুকে বসে আছে। পাশেই গ্রীস, বুলগেরিয়া বা গ্রীস যেকোন দেশেই চলে যাওয়া যায় এখান থেকে। কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে গাড়ি চেক করে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে ছেড়ে দেয়া হয় তবে কাপিকুল বর্ডার যে বর্ডার যুক্ত করেছে তুরস্ক-বুলগেরিয়া-গ্রীসকে সেটা কিছুটা কঠিন মনে হয়েছে আমাদের কাছে। যাই হোক তেমন কোন চেকিং এ না পড়লে এই বর্ডার এড়িয়ে দুর দিয়ে বুলগেরিয়া ঢোকা কোন ব্যপার নয়। তাছাড়া এই বর্ডারে শত শত বড় বড় মালবাহি কন্টেইনার দাঁড়িয়ে থাকে। এদের যে কোন একটার সাথে কথা বলে নিলে এরা আপনাকে আনলোডার হিসাবে শো করে বুলগেরিয়া বা গ্রীসে ঢুকিয়ে দিতে পারে। সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হলো তুরস্কের রাজধানী এরিয়া বা ইস্তাম্বুলে ইংরেজি কিছুটা হলেও মানুষ বোঝে তবে এই এরিয়াগুলোতে একেবারে ইংরেজী জানেনা মানুষ। আপনাকে শরীর নেড়ে নেড়ে কসরৎ করে বোঝাতে হবে এদের আপনি কি বলতে চান। এসব এলাকার মানুষ টাকা খুব বেশী চেনে। টাকা দিলে এখানে কি না হয়।
তুরস্কে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গেলে আপনি খুব সহজে ইউরোপিও দেশগুলোতে যেতে পারবেন।স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ভিসাসফরইউ সরাসরি কাজ করছে তুরস্ক এ্যামবাসির সাথে। আমরা তুরস্কের ইউনিভার্সিটিগুলোতে এ্যাডমিশন থেকে শুরু করে ভিসা করা ও বিমান ভাড়াসহ ভিসার পর ৬লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করি। এই টাকার মধ্যে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি দেয়া থাকবে।আপনার এ্যাকাডেমিক রেজাল্ট এসএসসি ও এইচএসসিতে মিনিমাম ৩.০ থাকতে হবে এবং দুই বছরের বেশী ইয়ার গ্যাপ থাকতে পারবেনা।
ভিসা ক্লাবের মেম্বারশিপ নেবার পর আমাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এ যান ও আবেদন করুন। ভিসা ক্লাবের মেম্বার না হলে ওয়েব সাইট থেকে কোন আবেদনপত্র গ্রহন করা হয়না।
আমি ইন্ডিয়া যেতে চাচ্ছি।
ReplyDeleteঅনুগ্রহ করে আমাকে ট্যুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবো জানাবেন।
তুরস্কে ওয়ার্ক ভিসা করেন?
ReplyDelete