এস্তোনিয়ায় গেলে সুবিধা কি?

ইউরোপের নতুন দেশ গুলোর মধ্যে সম্ভাবনার দেশ বললে এস্তনিয়ার নাম নিতে হবে , লিথুয়ানিয়ার নাম আসবে পরে।
প্রথমত এস্তনিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। জব মার্কেটের অবস্থা ও দিন দিন ভালর দিকে যাচ্ছে। অভিবাসন নীতি একটু সহজতর করায় অনেক বিদেশি এখন এস্তনিয়ায় বিজনেস স্থাপন করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। অপরদিকে লিথুয়ানিয়ার অবস্থাও একই। লিথুয়ানিয়া ও এস্তনিয়ায় স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কেউ চাইলে বিজনেস পারমিট নিতে পারবে যদি ওই দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেখাতে পারে। ইনভেস্টর হিসাবে ৫ বছরের পারমিট পেতে পারে এস্তনিয়া তে যদি আপনি মিনিমাম ১০ হাজার ইউরো (প্রায় ৯ লাখ) তাদের দেশে ইনভেস্ট করেন। প্রতিবেশি দেশ লাটভিয়ার অবস্থা এবং আইন কানুন খুবই ই কড়া। এমনকি লাটভিয়ান বিয়ে করে কেউ পাসপোর্ট নিতে চাইলে লাটভিয়ায় ১০ বছর থাকতে হবে এখন থেকে (২০১৬ এর এপ্রিল এর নতুন রুলস) তথ্য প্রজুক্তিতে ও এস্তোনিয়ান ও লিথুয়ানিয়ানরা খুবই এগিয়ে আছে। লিথুয়ানিয়া পৃথিবীর প্রথম দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি পাবলিক WiFi Router স্থাপন করেছে । ২য় পজিশনে আছে এস্তোনিয়া। অর্থাৎ এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়ানরা সবচেয়ে বেশি পাবলিক ওয়াইফাই স্থাপন করেছে পৃথিবীর মধ্যে। আর সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম Skype এর জন্ম এস্তনিয়াতেই। স্টুডেন্ট হিসাবে বা জব পারমিট নিয়ে কেউ ৫ বছর কনটিনিউ থাকতে পারলে PR- পার্মানেন্ট রেসিডেন্স এর আবেদন করতে পারবেন। এস্তনিয়া ও লিথুনিয়ার অভিবাসন নীতি অনেকটা একই রকম।

কম খরচে থাকা খাওয়ার সুবিধা আছে। তুলনামূলক অন্যান্য দেশের চেয়ে টিউশন ফী অনেক কম ।
‪#‎এস্তনিয়ান‬ নাগরিকত্ত নিতে চাইলে আপনাকে টোটাল ৬ বছর বৈধভাবে থাকতে হবে ।
‪#‎লিথুয়ানিয়ান‬ নাগরিকত্ত নিতে চাইলে আপনাকে টোটাল ৮ বছর বৈধভাবে থাকতে হবে।
# পার্মানেন্ট রেসিডেন্স – PR আবেদন করতে চাইলে উভয় দেশে ৫ বছর বৈধভাবে থাকতে হবে + সাথে ওই দেশের ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। 

যারা ইউরোপে শুধু কোন ভাবে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পনা করে তারা এই সকল দেশ কে বেছে নিতে পারেন। এই দেশ গুলো কে ইউরোপের Gatway হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। স্টুডেন্ট ভিসায় এত বেশি জটিলতা না থাকায় চাইলে যে কেউ নুন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভিসা পেয়ে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য ইতালি,জার্মান,ফ্রান্স,সুইজারল্যান্ড সহ সমগ্র ইউরোপের যেকোনো বিষয়, যেমন ভিসা সংক্রান্ত ও মাইগ্রেসন বিষয়ে সকল তথ্য,ইউরোপের দেশ গুলোতে কিভাবে সরাসরি সরকারী বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত হয়ে লিগ্যাল ভাবে আসা যায়? ও আসার পর আপনার করনীয় কি? কোথায় যাবেন? কিভাবে কি করবেন? ইউরোপের প্রবাস জীবন যাপন সম্পর্কে যেকোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগীতা পেতে আমাদের পেইজ লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যেতে এখানে ক্লিক করুন।