মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত আছে। গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার আলাদা অভিযানে বাংলাদেশিসহ ২৩১ জনকে আটক করা হয়েছে। অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের অস্থায়ী কাজের সুযোগ দিয়ে বৈধতা দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি ই-কার্ডে (এনফোর্সমেন্ট কার্ড) নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধনে ব্যর্থ শ্রমিকদের তাঁদের দেশে পাঠানো হবে। গত ৩০ জুন মধ্যরাতে শুরু হওয়া অবৈধ শ্রমিকবিরোধী অভিযানে গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৭৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ৮ শতাধিক।
সেখানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে জন্য শ্রমিকদের বেশি দুর্ভোগ পোহানোটা রীতিমতো অন্যায়। কারণ এ ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তাদেরও দায় আছে। নিজেদের শ্রমিকদের নিবন্ধন করানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরও সুযোগটা এসব নিয়োগ কর্তা নষ্ট করেছেন। বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সময় কেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যবহার করা হয়, সেটি অভিবাসন দপ্তরের খতিয়ে দেখা উচিত।
কুয়ালালামপুরে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকবিরোধী অভিযানে গত মঙ্গলবার ৫০ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইন্দোনেশিৃয়ার ৫২, বাংলাদেশের ১৫, মিয়ানমারের ৫, চীনের ২ ও থাইল্যান্ডের ১ জন নাগরিক রয়েছেন। তবে মালয়শিয়ায় বহু বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যারা সত্যিকার অর্থে সেখানে পড়াশোনা করতে গেছে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বহু সন্তান আছে যারা রীতিমতো IELTS/ TOEFL করে সেখানে পড়তে গেছে ভালোভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তাদের জন্য এই সংবাদ রীতিমতো লজ্জাজনক। ধরপাকড়ে অধিক পরিমানে বাংলাদেশী ধরা পড়ায় তারা এখন বিব্রত। কেননা বাংলাদেশী চোখে পড়লেই তৎপর হয়ে ওঠে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা এই দুই শ্রেনীর পার্থক্য বুঝতে পারেনা। তারা সব বাংলাদেশীদের এক চোখে দেখে। যখন তারা বলে যে তারা ঐ সব দরিদ্র লেবারদের শ্রেনীভুক্ত নয় বরং দেশের টাকা দিয়েই তারা মালয়শিয়ায় পড়াশোনা করছে এবং দেশ থেকে তাদেরকে যে পরিমান টাকা পাঠানো হয় যা একসাথে মালয়শিয়ার দশ বিশজন চাকুরে চোখেও দেখেনা তখন পুলিশ বিশ্বাস করেনা তাদের কথা। তারা ভাবে এসব ধনীর সন্তানেরাও বোধহয় মালয়শিয়ায় অবৈধভাবে কাজ করে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের ভুল ভাঙে যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন আসে।
তবে এসব ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোন ভয়ের কারন নেই। মালয়শিয়া তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়।
0 comments:
Post a Comment