রোমানিয়া বললে আমার কাছে যে সবচেয়ে বড়ো বিষয়টি উঠে আসে তা হলো কাউন্ট ড্রাকুলার প্রাসাদ। ব্রাম স্টোকার রোমানিয়ার ট্রানসিলভ্যানিয়া, বুকোভ্যানিও ও মলডাভিয়ার সীমান্তপ্রদেশে অবস্থিত কার্পেথিয়ান পর্বতমালায় কাউন্ট ড্রাকুলার নির্জন পোড়ো দুর্গের কথা উল্লেখ করেছেন। অবশ্য রোমানিয়ার বেশীরভাগ বাড়িঘরই এখনও এমনই দেখতে। তবে ব্রাম স্টোকার যেমন লিখেছিলেন আসলে রোমানিয়ার মানুষজন কিন্তু তেমনই।এখনও তারা বড়ো বেশী কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও আমুদে। তারা যেমন অতিথি পছন্দ করেন তেমন পানশালাগুলোতেও অতিথির অভাব নেই। পুরো রোমানিয়াই যেন আনন্দের স্বর্গরাজ্য। তবে রোমানিয়ার সব অঞ্চলের মানুষ এমন নয়। বুঝতে হবে এটি ইউরোপিও দেশ, ইউরোপিয়ান দেশের স্পর্শ তো এখানে থাকবেই। আপনি যদি ঘুরতে এখানে আসেন তবে বলবো আপনি সঠিক জায়গাটিতেই এসেছেন।ঘুরতে আসলে রোমানিয়া হলো স্বর্গ। আর টাকা কামাতে এলে আমি বলবো এখানে থেকে ভাষাটা শিখুন তাহলেই মানুষ আপনাকে কাজ দেবে। অন্ততঃ চলতে পারার মতো কিছুটা ভাষা আপনার জানা দরকার কারন রোমানিয়ার মানুষ ইংরেজী বোঝে না।তবে আপনি কাজ করতে চাইলে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন এখানে। ২০১৬ সালে আমরা যখন রোমানিয়ায় যাই তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল দেশে আর না ফিরে এখানেই বিয়ে করে সেটেল্ড হয়ে যাই। এখানকার মেয়েরা এতো সুন্দরী যে না দেখলে অনুমান করতে পারবেন না। আর তাদের ব্যবহারও অতুলনীয়।আপনি খুব সহজে তাদের সাথে আন্তরিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারবেন ও তাদের কাছ থেকে বিদেশে থাকার ব্যপারে সহায়তা নিতে পারবেন। শুধু রোমানিয়া নয়, পূর্ব ইউরোপিও অঞ্চলে আপনি যদি স্থায়ী হতে চান তবে নারীরাই আপনাকে প্রকৃত সহায়তা দিতে পারবে।
রোমানিয়াতে শহরের চেয়ে গ্রামের সংখ্যাই বেশী, তবে আপনি সেগুলোকে শহর ভেবে ভুল করবেন। প্রতিটা গ্রামই ছবির মতো সুন্দর। শহরের রাস্তার ডান পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হয় বিধায় প্রথমে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে যদি আপনি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে এখানে আসেন বা এখানে গাড়ি কেনেন। আপনি দক্ষ ড্রাইভার হলেও এখানে গাড়ি চালনা আবার শিখতে হবে আপনাকে।
রোমানিয়া পৃথিবীতে মদ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে বিধায় এখানকার মানুষজনের প্রায় সকলেই মদ পান করে।আর রোমানিয়ার মদ বা ওয়াইন পৃথিবীর চমৎকার পানীয় হিসাবে গন্য হয়ে থাকে। আপনার যদি চাকরি করার ইচ্ছে থাকে তবে প্রথমেই এসব শুঁড়িখানার চাকরিই আপনি পাবেন কেননা এসব চাকরি এখানে বেশী পাওয়া যায়। তবে চাকরির অভাব নেই এখানে।অটোমোবাইল, টেক্সটাইল, চামড়াশিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স, আইটিসহ প্রভৃতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের সাথে রোমানিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার কারনে সেখানে যাবার জন্য আমাদের দিল্লী গিয়ে ভিসা আবেদন করতে হয়।
অনেকেই তার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারে রোমানিয়া বাজে দেশ, প্রতারকদের দেশ ইত্যাদি।কিন্তু আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি মোটেও তা নয়। বসবাসের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ও আরামদায়ক রাজধানী হলো বুখারেস্ট।আর আপনি যদি রোমানিয়ার কোন পতিতালয়ে গিয়ে ধোকা খেয়ে আসেন বা কোন মদ পান করতে গিয়ে মাতালের সাথে মারামারি করে আসেন তবে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা হবে আমার চেয়ে ভিন্ন। কেউ যদি টাকা আয় করার জন্য রোমানিয়ায় আসে তবে অবশ্যই আপনার স্বপ্ন ব্যর্থ হবেনা। আসার আগে মুক্তমন নিয়ে আসবেন এবং কিছুটা স্মার্ট হয়ে আসবেন এবং আপনার বিষয়ভিত্তিক কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবেন তাহলে আপনি পৃথিবীর যেকোন জায়গায় গিয়ে সফল হতে পারবেন। ২০ সালের জুলাই মাস থেকে পুনরায় রোমানিয়ার ওয়ার্ক পার্মিটের কাজ শুরু হয়েছে। খরচ হবে ৭ লাখ টাকা। অনেকেই আপনাকে আরও কম খরচের অফার দেবে। বিশ্বাস করবেন না তাদেরকে। কারন তারা একটা ওয়ার্ক পারমিট দশ জনের নামে বানিয়ে ভিসা করতে চায়। এটা গ্যাম্বলিং। ভিসা হয়ে গেলে তো সে অর্ধ কোটি টাকা আয় করে নিল। আর যদি ধরা খেয়ে যায় তবে আপনাদের পাসপোর্টগুলো সব বাতিল হবে ও ইউরোপিও দেশে আগামী দশ বছরেও ঢুকতে পারবেন না। তাই যারা বেশী টাকার অফার দেয় তাদের নিকট থেকেই আবেদন করুন।
অনেকেই তার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারে রোমানিয়া বাজে দেশ, প্রতারকদের দেশ ইত্যাদি।কিন্তু আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি মোটেও তা নয়। বসবাসের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ও আরামদায়ক রাজধানী হলো বুখারেস্ট।আর আপনি যদি রোমানিয়ার কোন পতিতালয়ে গিয়ে ধোকা খেয়ে আসেন বা কোন মদ পান করতে গিয়ে মাতালের সাথে মারামারি করে আসেন তবে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা হবে আমার চেয়ে ভিন্ন। কেউ যদি টাকা আয় করার জন্য রোমানিয়ায় আসে তবে অবশ্যই আপনার স্বপ্ন ব্যর্থ হবেনা। আসার আগে মুক্তমন নিয়ে আসবেন এবং কিছুটা স্মার্ট হয়ে আসবেন এবং আপনার বিষয়ভিত্তিক কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবেন তাহলে আপনি পৃথিবীর যেকোন জায়গায় গিয়ে সফল হতে পারবেন। ২০ সালের জুলাই মাস থেকে পুনরায় রোমানিয়ার ওয়ার্ক পার্মিটের কাজ শুরু হয়েছে। খরচ হবে ৭ লাখ টাকা। অনেকেই আপনাকে আরও কম খরচের অফার দেবে। বিশ্বাস করবেন না তাদেরকে। কারন তারা একটা ওয়ার্ক পারমিট দশ জনের নামে বানিয়ে ভিসা করতে চায়। এটা গ্যাম্বলিং। ভিসা হয়ে গেলে তো সে অর্ধ কোটি টাকা আয় করে নিল। আর যদি ধরা খেয়ে যায় তবে আপনাদের পাসপোর্টগুলো সব বাতিল হবে ও ইউরোপিও দেশে আগামী দশ বছরেও ঢুকতে পারবেন না। তাই যারা বেশী টাকার অফার দেয় তাদের নিকট থেকেই আবেদন করুন।
0 Reviews:
Post a Comment