আমেরিকা, কানাডায় একটা সুযোগ বেশী আছে ফ্যামেলীর একজন কোনভাবে সেটেল হতে পারলে আস্তে আস্তে পুরা ফ্যামেলীকে টান দেয়া যায়। ইউরোপে এরকম কোন সুযোগ নেই এখানে একমাত্র স্বামী ,স্ত্রীকে ,স্ত্রী ,স্বামীকে আনতে পারে ।তবে মা,বাবা,ভাই,বোনকে স্পসর করতে পারে টরিষ্ট ভিসার জন্য । ৬০ এর উপরে বয়স হলে তাদের নিয়ে যাওয়া সহজ হয় কারন অল্প বয়স্কদের তারা ভিসা দিতে চায় না এবং তাকে অবশ্যই ফিরত যেতে হবে না হলে ইনভাইটার কখনো কাউকে স্পসর করতে পারবে না ।
২০১০ পর্যন্ত সুইডেনে স্টুডেন্ট ভিসা খুবই সহজ ছিল কোন সেশন ফী লাগত না ২০১১ থেকে অনেক টাকা যেমন লাগে তেমনি এখানে স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি নেই । এখনো কিছু সাবজেক্ট ফ্রী আছে.আর বর্তমানে সুইডেনে যারা পি এইচ ডি পাবে পি এইচ ডি শেষে তাদের এখানে স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে ।অথবা কোথাও যদি আপনি দুই বছরের কাজের কন্ট্রাক দুই, দুই চার বছর দেখাতে পারেন তখন দেয়া হয় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি ।
বডি কন্ট্রাকটে বা অন্য কোন ভিসায় এখানে কোন ভাবে এসে এদেশের কোন কোম্পানীতে বা কোন আত্বীয় স্বজনের রেষ্টুরেন্ট বা দোকানে যদি দুই বছরের কন্ট্রক করতে পারেন তাহলে পর পর দুই বার মানে চার বছর পর স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যাবে ।এটা এখন ১২-১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ও করছে বাংলাদেশী রেষ্টুডেন্ট মালিকরা।
নিচে একটা রেস্টুরেন্টের নাম দেয়া হলো যার মালিক একজন বাংলাদেশী। তিনি বহু মানুষ সেখানে নিয়েছেন ওয়ার্ক ভিসা দেখিয়ে। এমনি আরও বহু বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট আছে যাদেরকে আপনারা খুঁজে নিতে পারেন যারা আপনাকে কিছু টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ক ভিসা করিয়ে দেবে।
Kajsas Fisk
Hotorgshallen 3, Stockholm 111 57, Sweden
এসাইলাম ভিসা : যে কোন ভিসায় এসে আপনি এসাইলাম মানে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন । টুরিষ্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা যে কোন ভাবে এসে যদি সমস্যা দেখা দেয় তখন শুধু পাসপোর্ট গায়েব করে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন ।শুধু দেশে রাজনৈতিক সমস্যা বলে একটা কাহীনি বানাতে হবে ।এর পর আপনার কেস চলা পর্যন্ত আপনার থাকা খাওয়ার দায়িত্ব এদের ।তবে এই কেস কতদিন চলবে তার নিশ্চয়তা নেই ।হতে পারে এটা ৬ মাস ----২০ বছর অনিশ্চয়তার জীবন ।অনুমতি পেলেন তো ভাল না হলে তারাই আপনাকে প্লেনে উঠিয়ে দিবে ।ষ্কান্ডিনিভিয়ার দেশ গুলোর মাঝে সুইডেন এ এটা বেশী হয় ।যদি ও দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে । তবে এই কেস চলাকালীন সময়ে আপনি থাকা খাওয়া প্রকাশ্যে ও চাকরি করতে পারেন অপ্রকাশ্যে।
ম্যারেজ ভিসা : এটা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হোক সেটা আসল বিয়ে বা কাগজের বিয়ে । বর্তমানে কাগজের বিয়ের জন্য অনেক টাকা লাগে ।এর পর স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই কারন এখানে প্রথমে দুই বছরের ভিসা দেওয়া হয় দুই বছর পর স্বামী স্ত্রী দুজনের আলাদা আলদা ইন্টার ভিও হবে দুইজনের কথার একটু গরমিল হলেই ভিসা ক্যানসেল । যদিও কয়েক বার আপিল করার সুযোগ থাকে ।আর ইন্টারভিউ সঠিক হলে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন ।যদি হয় আসল বিয়ে তাহলে তো কোন সমস্যাই নেই আর যদি হয় কাগজের বিয়ে তাহলে আপনি এবার দায় মুক্ত ।
তবে দেশে ছেড়ে যেখানেই যান প্রাথমিক কষ্ট করতেই হবে । এক তো দেশ ও পরিবার পরিজন ছেড়ে এসেছেন দুই নতুন জায়গা নতুন ভাষা নতুন পরিবেশে নিজেকে দাড় করানো কতটা কঠিন সেটা একমাত্র ভুক্ত ভুগিরাই বুঝবে । কষ্টের শেষ সীমা আপনাকে অতিক্রম করতে হবে ধৈর্য আর সাহসের সাথে ।
0 Reviews:
Post a Comment