মালয়েশিয়ার ডিপ্লোমা এসএসসি এর পরেই

আমাদের দেশে বহু ছাত্রছাত্রী এসএসসি পাশ করে কাজে লেগে পড়ে। এই অবস্থা শহরের চেয়ে গ্রামেই বেশী দৃশ্যমান। গ্রামের অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের বেশীদুর পড়াতে চায়না। কিছুটা অর্থনৈতিক কারনের পাশাপাশি সমাজের কিছু বাজে গহ্বরও থাকে যেখানে পড়ে গেলে সোজা হয়ে দাঁড়ানো সহজ হয়না। সে যাই হোক, পরে এই সব ছেলেমেয়েরা যখন শহরে আসে, শহরের ছেলেমেয়েদের দেখাদেশি পড়াশোনা করতে চায় তখন বাংলাদেশী কলেজগুলো তাদের ইয়ার গ্যাপের জন্য ভর্তি নিতে চায়না। ফলে তাদের জীবনটা তাদের কাছেই ভারবাহী হয়ে পড়ে। এই সমস্ত ছেলেমেয়েদের জন্য মালয়েশিয়া। এরা খুব সহজে কম টাকায় মালয়েশিয়া থেকে ডিপ্লোমা করতে পারে। এসএসসি এর পরেই করা যায় মালয়েশিয়ান ডিপ্লোমা। আপনি যখন মালয়েশিয়া থেকে দেড় বছরে একটি ডিপ্লোমা পাশের সার্টিফিকেটধারী হবেন তখন আপনাকে আর মালয়েশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির চিন্তা করতে হবেনা। আর মালয়েশিয়ান ডিপ্লোমা থাকলে বাংলাদেশে ফিরে এসেও আপনি যে কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন। মালয়েশিয়াতে আপনি পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। সাধারন যে কোন বাংলাদেশী প্রথম মালয়েশিয়ায় পড়তে গিয়ে যে চাকরি পাবে তার বেতন কখনও ৪০ হাজার টাকার বেশী হতে পারেনা। সারা মাস কাজ করে আপনি এই টাকা আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন যে, ছয় মাস পরে আপনার স্যালারী অবশ্যই ১০ হাজার টাকা বাড়বে। এবং দুই বছর পরে আরও বাড়বে। মালয়েশিয়াতে পার্ট টাইম কাজ খুব সহজে পাওয়া যায় এবং স্যালারীও ভালো। তাছাড়া আপনি আর একটি উপায়ে মালয়েশিয়া থেকে খুব সহজে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে চলে যেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে এসব দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া বেশ জটিল একটি বিষয় তাই বর্তমানে বহু ছাত্র ছাত্রী মালয়েশিয়াতে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে। আপনি যদি ইন্টার কমপ্লিট করে মালয়েশিয়ার কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে থাকেন তবে সেখানে প্রথম বর্ষ শেষ করার পর আপনি ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার যে কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারেন ও ভিসা পেতে পারেন। কিভাবে পরিপূর্নভাবে মালয়েশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার ভিসার জন্য পেপার প্রসেসিং করবেন কিভাবে নিশ্চিত ভিসা পাবেন তার টেকনিক পরের কোন পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।