স্পনসরের জন্য কত টাকা লাগতে পারে?
মেডিক্যাল তো হলো এবার কি? আপনার রিপোর্ট খারাপ আসেনি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন? কিন্তু মেডিক্যাল করাবার আগে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী নজর দেয়ার দরকার ছিলো তা হলো আপনার স্পনসর।
স্পনসর মানে হলো যে টাকা দিয়ে আপনি ইংল্যান্ড, আমেরিকায় পড়তে যাবেন তা শো করা। আরো স্পষ্ট কথা হলো ইংল্যান্ডে পড়তে যাবার মতো সামর্থ আপনার আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই স্পনসর সিস্টেম। ইংল্যান্ডে পড়তে গেলে অনেক খরচ। ব্রিটিশ হাইকমিশন দেখতে চায় আপনার সে সামর্থ আছে কিনা। যদি থাকে তবে আপনাকে ভিসা দেয়া হবে।
স্পনসর কেন দেখাতে হয়? কারন ভিসা অফিসার মনে করে যে, আপনি বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেননা। যাচ্ছেন চাকরি করতে। তাই আপনাকে প্রমান করতে হবে যে, আপনি সত্যিই পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন এবং আপনার সামর্থ্য আছে তাই আপনি দেশে না পড়াশোনা করে বিদেশে যাচ্ছেন।
কত টাকা দেখাতে হবে? হ্যাঁ, এই বিষয়টির মধ্যে একটু হিসাব নিকাশের ব্যপার আছে। শুধু টাকা দেখালেই হবেনা, তা আপনার নিজের এ্যাকাউন্টে দেখাতে হবে। টাকাটা আপনার বাবার হলেও চলবেনা। মানে তার এ্যাকাউন্টে থাকলেও চলবেনা। আপনার এ্যাকাউন্টে থাকতে হবে। এর মানে কি? এর মানে হলো এই টাকা যদি আপনার এ্যাকাউন্টে থাকে তবে তারা ধরে নেবে এ টাকা আপনার এবং এর মালিক আপনি নিজে। আপনার বাবার এ্যকাউন্টে টাকা থাকার অর্থ হলো এ টাকার মালিক তিনি, আপনি নন। তাই টাকাটা তিনি আপনার জন্য খরচ নাও করতে পারেন।
কত টাকা দেখাতে হবে এটা জানার আগে ইংল্যান্ডের হোম অফিসের একটা আইন সম্পর্কে জেনে নেই। টায়ার-৪ নামে যে ভিসা পদ্ধতি চালু হয়েছে সেই অনুসারে কিছুদিন আগেও লন্ডনের ভিতরের লিভিং এক্সপেন্সেস ছিলো ৭২০০ পাউন্ড। আর লন্ডনের বাইরে ছিলো ৫৪০০ পাউন্ড। আর এখন তা বেড়ে হয়েছে লন্ডনের ভিতর ৯০০০ পাউন্ড আর লন্ডনের বাইরে ৭২০০ পাউন্ড। এর মানে কি?
লন্ডনের হোম অফিস টায়ার-৪ ভিসা সিস্টেমের সময় একটা নিয়ম করে। তারা হিসাব নিকাশ করে দেখে একজন ছাত্রের লন্ডনের ভিতরে থাকতে বছরে খরচ হয় ৭২০০ পাউন্ড এবং লন্ডনের বাইরে থাকতে ৫৪০০ পাউন্ড। এটি তার টিউশন ফির খরচের বাইরে ধরা হয়। যেমন সে লন্ডনে এক বছর থাকবে, খাবে, যাওয়া আসা করবে, তার হাত খরচ সব ধরেই তারা এই হিসাবটা বের করেছে। যদিও এক বছরে একজন সুস্থ সবল বাংলাদেশী মানুষ লন্ডনে থাকা খাওয়া ও হাত খরচ বাবদ বড়জোর খরচ করতে পারে ৬০০০০০ থেকে ৬৫০০০০ টাকা যা তাদের পাউন্ডে কনভার্ট করলে আসে ৫০০০ পাউন্ড। এবং লন্ডনের বাইরে এই খরচ আসে ৩০০০ পাউন্ডের মতো। তারা যে হিসাবে লিভিং কস্ট বের করে তা হলো ব্রিটিশ সিস্টেম। বাংলাদেশীরা তো আর লন্ডনে হ্যামবার্গার খেতে যায়না। তারা যায় হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ভাগ্যের চাকা ফেরাতে। তাই ব্রিটিশদের লিভিং কস্টের বোঝা চাপিয়ে দেয়াটা নেহায়েত একটা খারাপ কাজ।
এবছর থেকে এই বোঝাটা আরেকটু বাড়িয়ে তারা করলো লন্ডনের ভিতরের লিভিং কস্ট ৯০০০ পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে বর্তমানের কনভার্সন রেট অনুসারে আসে ১১৭০০০০ টাকার কাছাকাছি। আর লন্ডনের বাইরের লিভিং কস্ট আসে ৭২০০ মানে ৯৩৬০০০ টাকার মতো।
ধরুন আপনি একটা কলেজ থেকে কাস লেটার পেয়েছেন যেটা লন্ডনের ভিতরে অবস্থিত। এর মানে আপনাকে লন্ডনের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে। তাই ইংল্যান্ডের নিয়ম অনুসারে আপনার বাৎসরিক লিভিং কস্ট আসছে লন্ডনের ভেতর ১১৭০০০০ বাংলাদেশী টাকা। এই টাকাটা থাকতে হবে আপনার এ্যাকাউন্টে। প্লাস, আপনি কাস লেটারের জন্য যেটাকা কলেজে দিয়েছিলেন তা যদি পুরো এক বছরের টিউশন ফি না হয়ে থাকে তবে বাকি টাকাও আপনার এ্যাকাউন্টে রাখতে হবে।
এর মানে ধরুন,
লন্ডন রিডিং কলেজের এক বছরের টিউশন ফি হলো ৩০০০ পাউন্ড।
কিন্তু আপনি দিয়েছেন ১৫০০ পাউন্ড।
অবশিষ্ঠ রয়ে গিয়েছিলো ১৫০০ পাউন্ড।
এই বাকি ১৫০০ পাউন্ডও রাখতে হবে আপনার এ্যাকাউন্টে। এটা কিন্ত আপনার ডিডি করার সময় যে এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন সেই এ্যাকাউন্ট নয়। এটা অন্য ব্যাংকের কথা বলছি। যে ব্যাংকে আপনার এ্যাকাউন্টে টাকা আছে বা রাখবেন সেই এ্যাকাউন্টের কথা বলছি। আগে হিসাব করে নিন কতো টাকা আপনাকে স্পন্সর দেখাতে হবে।
তাহলে,
আপনার এ্যাকাউন্টে রাখতে হবে লন্ডনের ভিতরের লিভিং কস্ট ১১৭০০০০ টাকা।
এবং কলেজের অবশিষ্ঠ টিউশন ফি ১৫০০ পাউন্ড বা বাংলাদেশী ১৯৫০০০ টাকা।
এবং আপনি যে বিমানের টিকিট কাটবেন সেই টাকা মিনিমাম ৫০০০০ টাকা।
সর্বোমোট আপনার এ্যাকাউন্টে স্পনশর দেখাতে হচ্ছে ১৪১৫০০০ টাকা। রাউন্ড ফিগারে আপনার এ্যাকাউন্টে স্পনসর দেখাতে হচ্ছে ১৫০০০০০ টাকা। এই রাউন্ড ফিগার ১৫০০০০০ টাকা আপনার এ্যাকাউন্টে রাখতে হবে প্রায় ২৮ দিন। যেকোন ব্যাংকে একটা সেভিংস এ্যাকাউন্ট খুলে আপনি প্রথম দিনেই জমা করে দিন ১৫০০০০০ লাখ টাকা। এরপর এই এ্যাকাউন্ট থেকে কোন টাকা তুলবেননা। ২৮ দিন এভাবেই থাকবে টাকাটা আপনার নিজের এ্যাকাউন্টে।
২৮ দিন পর আপনার ব্যাংক থেকে একটা স্টেটমেন্ট ও একটা সলভেন্সি সার্টিফিকেট নেবেন এই সম্পুর্ন টাকা যা ২৮ দিন ধরে ব্যাংকে রয়েছে। এই স্টেটমেন্ট ও সলভেন্সি সার্টিফিকেটই হলো আপনার স্পনসর। এরপর এই দুটো কাগজ স্পনসর হিসাবে জমা দিতে হবে সব কাগজের সাথে।
মনে রাখবেন ২৮ দিন পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেননা। এবং ২৮ দিনের পর হাইকমিশনে জমা দেয়ার পরও তা তুলতে পারবেননা। পারবেননা যতদিন পর্যন্ত না আপনি ভিসা পান। ভিসা হয়ে গেলে আপনি এই টাকা তুলে নিতে পারবেন। এই এ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন কিন্তু ১৫০০০০০ টাকা থেকে তুলতে পারবেননা। যদি এই পরিমানের অধিক টাকা থাকে আপনার এ্যাকাউন্টে তাহলে তুলতে পারবেন কিন্তু ১৫০০০০০ টাকার নিচে যেন তা না নামে।
এটাই স্পনশর যা এতোদিন বুঝতে পারেননি তা আজ পানির মতো সোজা হয়ে গেল। যা এতোদিন ঢাকার কোন ভিসা পরামর্শদাতা আপনাকে বোঝাননি তা আমি বুঝিয়ে দিলাম। আসলে কাউকে অন্ধকারে রেখে লাভের অঙ্ক হাতিয়ে নেয়া ঠিক নয়। আমি নিজে ভিসা প্রসেসিং করি তবে আগে ছাত্র ছাত্রীকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেই প্রতিটি বিষয় তারপর তার সাথে কাজ করি। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, একসাথে ছয় জনের ভিসা হয়েছে একই কলেজে। আমি তাদের নিয়ে চলে গিয়েছি লন্ডনে। তাদের থাকা খাওয়া এবং চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছি সেখানে। দু’মাস আগেও তিনজনকে নিয়ে গেলাম লন্ডনে। তাদের থাকার ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে নিয়েছিলো কিন্তু চাকরির দরকার ছিলো। লন্ডন শহর আমার কাছে ঢাকা শহরের মতোই চেনা। প্রচুর ব্রিটিশ বন্ধু বান্ধবও আছে সেখানে। আমি রিচার্ড হফম্যান নামে আমার এক ফ্রেন্ডকে ধরে তাদের তিনজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দিলাম। আমার মাধ্যমে যারা প্রসেসিং করে তাদের আমি সর্বোচ্চ সাহায্য করতে চাই। হ্যাঁ, লাভ থাকতে হবে ব্যবসায় তবে তা যেন কাউকে ক্ষতি করে না আসে এ ব্যপারে আমি সচেতন।
মেডিক্যাল তো হলো এবার কি? আপনার রিপোর্ট খারাপ আসেনি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন? কিন্তু মেডিক্যাল করাবার আগে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী নজর দেয়ার দরকার ছিলো তা হলো আপনার স্পনসর।
স্পনসর মানে হলো যে টাকা দিয়ে আপনি ইংল্যান্ড, আমেরিকায় পড়তে যাবেন তা শো করা। আরো স্পষ্ট কথা হলো ইংল্যান্ডে পড়তে যাবার মতো সামর্থ আপনার আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই স্পনসর সিস্টেম। ইংল্যান্ডে পড়তে গেলে অনেক খরচ। ব্রিটিশ হাইকমিশন দেখতে চায় আপনার সে সামর্থ আছে কিনা। যদি থাকে তবে আপনাকে ভিসা দেয়া হবে।
স্পনসর কেন দেখাতে হয়? কারন ভিসা অফিসার মনে করে যে, আপনি বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেননা। যাচ্ছেন চাকরি করতে। তাই আপনাকে প্রমান করতে হবে যে, আপনি সত্যিই পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন এবং আপনার সামর্থ্য আছে তাই আপনি দেশে না পড়াশোনা করে বিদেশে যাচ্ছেন।
কত টাকা দেখাতে হবে? হ্যাঁ, এই বিষয়টির মধ্যে একটু হিসাব নিকাশের ব্যপার আছে। শুধু টাকা দেখালেই হবেনা, তা আপনার নিজের এ্যাকাউন্টে দেখাতে হবে। টাকাটা আপনার বাবার হলেও চলবেনা। মানে তার এ্যাকাউন্টে থাকলেও চলবেনা। আপনার এ্যাকাউন্টে থাকতে হবে। এর মানে কি? এর মানে হলো এই টাকা যদি আপনার এ্যাকাউন্টে থাকে তবে তারা ধরে নেবে এ টাকা আপনার এবং এর মালিক আপনি নিজে। আপনার বাবার এ্যকাউন্টে টাকা থাকার অর্থ হলো এ টাকার মালিক তিনি, আপনি নন। তাই টাকাটা তিনি আপনার জন্য খরচ নাও করতে পারেন।
কত টাকা দেখাতে হবে এটা জানার আগে ইংল্যান্ডের হোম অফিসের একটা আইন সম্পর্কে জেনে নেই। টায়ার-৪ নামে যে ভিসা পদ্ধতি চালু হয়েছে সেই অনুসারে কিছুদিন আগেও লন্ডনের ভিতরের লিভিং এক্সপেন্সেস ছিলো ৭২০০ পাউন্ড। আর লন্ডনের বাইরে ছিলো ৫৪০০ পাউন্ড। আর এখন তা বেড়ে হয়েছে লন্ডনের ভিতর ৯০০০ পাউন্ড আর লন্ডনের বাইরে ৭২০০ পাউন্ড। এর মানে কি?
লন্ডনের হোম অফিস টায়ার-৪ ভিসা সিস্টেমের সময় একটা নিয়ম করে। তারা হিসাব নিকাশ করে দেখে একজন ছাত্রের লন্ডনের ভিতরে থাকতে বছরে খরচ হয় ৭২০০ পাউন্ড এবং লন্ডনের বাইরে থাকতে ৫৪০০ পাউন্ড। এটি তার টিউশন ফির খরচের বাইরে ধরা হয়। যেমন সে লন্ডনে এক বছর থাকবে, খাবে, যাওয়া আসা করবে, তার হাত খরচ সব ধরেই তারা এই হিসাবটা বের করেছে। যদিও এক বছরে একজন সুস্থ সবল বাংলাদেশী মানুষ লন্ডনে থাকা খাওয়া ও হাত খরচ বাবদ বড়জোর খরচ করতে পারে ৬০০০০০ থেকে ৬৫০০০০ টাকা যা তাদের পাউন্ডে কনভার্ট করলে আসে ৫০০০ পাউন্ড। এবং লন্ডনের বাইরে এই খরচ আসে ৩০০০ পাউন্ডের মতো। তারা যে হিসাবে লিভিং কস্ট বের করে তা হলো ব্রিটিশ সিস্টেম। বাংলাদেশীরা তো আর লন্ডনে হ্যামবার্গার খেতে যায়না। তারা যায় হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ভাগ্যের চাকা ফেরাতে। তাই ব্রিটিশদের লিভিং কস্টের বোঝা চাপিয়ে দেয়াটা নেহায়েত একটা খারাপ কাজ।
এবছর থেকে এই বোঝাটা আরেকটু বাড়িয়ে তারা করলো লন্ডনের ভিতরের লিভিং কস্ট ৯০০০ পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে বর্তমানের কনভার্সন রেট অনুসারে আসে ১১৭০০০০ টাকার কাছাকাছি। আর লন্ডনের বাইরের লিভিং কস্ট আসে ৭২০০ মানে ৯৩৬০০০ টাকার মতো।
ধরুন আপনি একটা কলেজ থেকে কাস লেটার পেয়েছেন যেটা লন্ডনের ভিতরে অবস্থিত। এর মানে আপনাকে লন্ডনের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে। তাই ইংল্যান্ডের নিয়ম অনুসারে আপনার বাৎসরিক লিভিং কস্ট আসছে লন্ডনের ভেতর ১১৭০০০০ বাংলাদেশী টাকা। এই টাকাটা থাকতে হবে আপনার এ্যাকাউন্টে। প্লাস, আপনি কাস লেটারের জন্য যেটাকা কলেজে দিয়েছিলেন তা যদি পুরো এক বছরের টিউশন ফি না হয়ে থাকে তবে বাকি টাকাও আপনার এ্যাকাউন্টে রাখতে হবে।
এর মানে ধরুন,
লন্ডন রিডিং কলেজের এক বছরের টিউশন ফি হলো ৩০০০ পাউন্ড।
কিন্তু আপনি দিয়েছেন ১৫০০ পাউন্ড।
অবশিষ্ঠ রয়ে গিয়েছিলো ১৫০০ পাউন্ড।
এই বাকি ১৫০০ পাউন্ডও রাখতে হবে আপনার এ্যাকাউন্টে। এটা কিন্ত আপনার ডিডি করার সময় যে এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন সেই এ্যাকাউন্ট নয়। এটা অন্য ব্যাংকের কথা বলছি। যে ব্যাংকে আপনার এ্যাকাউন্টে টাকা আছে বা রাখবেন সেই এ্যাকাউন্টের কথা বলছি। আগে হিসাব করে নিন কতো টাকা আপনাকে স্পন্সর দেখাতে হবে।
তাহলে,
আপনার এ্যাকাউন্টে রাখতে হবে লন্ডনের ভিতরের লিভিং কস্ট ১১৭০০০০ টাকা।
এবং কলেজের অবশিষ্ঠ টিউশন ফি ১৫০০ পাউন্ড বা বাংলাদেশী ১৯৫০০০ টাকা।
এবং আপনি যে বিমানের টিকিট কাটবেন সেই টাকা মিনিমাম ৫০০০০ টাকা।
সর্বোমোট আপনার এ্যাকাউন্টে স্পনশর দেখাতে হচ্ছে ১৪১৫০০০ টাকা। রাউন্ড ফিগারে আপনার এ্যাকাউন্টে স্পনসর দেখাতে হচ্ছে ১৫০০০০০ টাকা। এই রাউন্ড ফিগার ১৫০০০০০ টাকা আপনার এ্যাকাউন্টে রাখতে হবে প্রায় ২৮ দিন। যেকোন ব্যাংকে একটা সেভিংস এ্যাকাউন্ট খুলে আপনি প্রথম দিনেই জমা করে দিন ১৫০০০০০ লাখ টাকা। এরপর এই এ্যাকাউন্ট থেকে কোন টাকা তুলবেননা। ২৮ দিন এভাবেই থাকবে টাকাটা আপনার নিজের এ্যাকাউন্টে।
২৮ দিন পর আপনার ব্যাংক থেকে একটা স্টেটমেন্ট ও একটা সলভেন্সি সার্টিফিকেট নেবেন এই সম্পুর্ন টাকা যা ২৮ দিন ধরে ব্যাংকে রয়েছে। এই স্টেটমেন্ট ও সলভেন্সি সার্টিফিকেটই হলো আপনার স্পনসর। এরপর এই দুটো কাগজ স্পনসর হিসাবে জমা দিতে হবে সব কাগজের সাথে।
মনে রাখবেন ২৮ দিন পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেননা। এবং ২৮ দিনের পর হাইকমিশনে জমা দেয়ার পরও তা তুলতে পারবেননা। পারবেননা যতদিন পর্যন্ত না আপনি ভিসা পান। ভিসা হয়ে গেলে আপনি এই টাকা তুলে নিতে পারবেন। এই এ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন কিন্তু ১৫০০০০০ টাকা থেকে তুলতে পারবেননা। যদি এই পরিমানের অধিক টাকা থাকে আপনার এ্যাকাউন্টে তাহলে তুলতে পারবেন কিন্তু ১৫০০০০০ টাকার নিচে যেন তা না নামে।
এটাই স্পনশর যা এতোদিন বুঝতে পারেননি তা আজ পানির মতো সোজা হয়ে গেল। যা এতোদিন ঢাকার কোন ভিসা পরামর্শদাতা আপনাকে বোঝাননি তা আমি বুঝিয়ে দিলাম। আসলে কাউকে অন্ধকারে রেখে লাভের অঙ্ক হাতিয়ে নেয়া ঠিক নয়। আমি নিজে ভিসা প্রসেসিং করি তবে আগে ছাত্র ছাত্রীকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেই প্রতিটি বিষয় তারপর তার সাথে কাজ করি। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, একসাথে ছয় জনের ভিসা হয়েছে একই কলেজে। আমি তাদের নিয়ে চলে গিয়েছি লন্ডনে। তাদের থাকা খাওয়া এবং চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছি সেখানে। দু’মাস আগেও তিনজনকে নিয়ে গেলাম লন্ডনে। তাদের থাকার ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে নিয়েছিলো কিন্তু চাকরির দরকার ছিলো। লন্ডন শহর আমার কাছে ঢাকা শহরের মতোই চেনা। প্রচুর ব্রিটিশ বন্ধু বান্ধবও আছে সেখানে। আমি রিচার্ড হফম্যান নামে আমার এক ফ্রেন্ডকে ধরে তাদের তিনজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দিলাম। আমার মাধ্যমে যারা প্রসেসিং করে তাদের আমি সর্বোচ্চ সাহায্য করতে চাই। হ্যাঁ, লাভ থাকতে হবে ব্যবসায় তবে তা যেন কাউকে ক্ষতি করে না আসে এ ব্যপারে আমি সচেতন।
http://how-to-get-bangla.blogspot.com/
ReplyDeleteভিসা হয়ে যাবার পর পুরো টাকা মানে ১৫লাখ তুলে নিলে কিছু হবে?
ReplyDelete