মেডিক্যাল কোথায় করবেন এবং কিভাবে করবেন?
আমি আগেই বলেছি আপনি যখনই ইংল্যান্ডে বা যে দেশেই যাবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন তখনই আপনি পাসপোর্ট বানিয়ে রাখবেন কেননা সবকিছুতেই পাসপোর্ট একটা ফ্যাকটর। এমনকি মেডিক্যাল করাবার সময়ও আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি ভাববেননা যে যেকোন মেডিক্যল থেকে একটা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে নিলেই হবে। ইংল্যান্ডের মেডিক্যাল চেক আপ এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ঠ একটা মেডিক্যাল সেন্টারে যেতে হবে।
মেডিক্যাল চেক আপের জন্য যা যা লাগবেঃ
১। আপনার পাসপোর্ট।
২। তিন কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৩। পাসপোটের্র প্রথম তিন পৃষ্ঠার ফটোকপি, এমআরপি হলে প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি।
৪। পাঁচ হাজার টাকা।
আর মেডিক্যাল করাতে হবে মেডিনোভা ধানমন্ডি শাখায়। তবে হুট করে টাকা পয়সা নিয়ে সেখানে চলে যাবেননা যেন। আপনার মেডিক্যাল চেক আপের জন্য দরকার আগে থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট।
হ্যাঁ, আপনি মেডিক্যাল করতে চাইলে মেডিনোভার ধানমন্ডি শাখায় টেলিফোন করে আগে থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এ্যাপয়েন্টমেন্ট না করে আপনি মেডিক্যাল করতে পারবেননা। তাই ফোনে এ্যাপয়েন্টমেন্ট করে তারপর তাদের দেয়া তারিখ অনুসারে সেখানে যান। তবেই মেডিক্যাল করতে পারবেন।
ভয় পাবেননা। আপনার রক্ত নেয়া হবেনা বা এন্ডোসকপিও করা হবেনা। কেবল আপনার বুকের এক্সরে করা হবে। এটা ব্রিটিশদের একটা ফর্মালিটি। আমার ব্যক্তিগত ধারনা যেহেতু হেপাটাইটিস, এইডস, চিকেন পক্স এধরনের বড়ো রোগের জীবানু টেস্ট না করে শুধু এক্সরে করে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের ইংল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য পারমিশন দেয়া হচ্ছে, এটা তাদের এক ধরনের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি। এতে করে মেডিক্যাল কতৃপক্ষ যেমন লাভবান হচ্ছে তেমন ব্রিটিশরাও লাভবান হচ্ছে।
আরেকটা বিষয় নিশ্চিত হয়ে নিন। মেডিক্যাল মেডিনোভাতেই হবে তবে সাধারন রোগীদের জন্য দোতলা এবং ইংল্যান্ডের স্টুডেন্টদের জন্য তিন তলায় যেতে হবে আপনাকে। এটি অন্য একটি প্রতিষ্ঠান আইওএম (ওঙগ = ওঘঞঊজঘঅঞওঙঘঅখ ঙজএঅঘওতঅঞওঙঘ ঋঙজ গওএজঅঞওঙঘ) এর সাথে যুক্ত। আইওএম এর সাথেই এ্যপয়েন্টমেন্ট করতে হবে আপনাকে। তাদের দেয়া ডেট অনুসারে সেখানে যেতে হবে।
আপনি যখন টেলিফোন করে তাদের কাছ থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন তখন তারা আপনার কাছ থেকে পাসপোর্ট নাম্বার, নাম আর ডেট অব বার্থ নিয়ে নেবে। তারা এটাও জানতে চাইবে যে আপনি স্কলারশিপে যাচ্ছেন কিনা। স্কলারশিপে না গেলে অবশ্যই তা বলে দিন।
আপনার এ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে আইওএম একটা নাম্বার আপনাকে দেবে। এই নাম্বারটা সংরক্ষন করুন।
এ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন আপনি সোজা মেডিনোভার তিনতলায় আইওএম এর কাউন্টারে চলে যান। সেখানে প্রচুর ছাত্রছাত্রী সবসময় ভিড় করে বসে থাকে মেডিক্যাল করার আশায়। এই বিষয়টিও সময় সাপেক্ষ।
পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা লাগতে পারে। প্রথমে সেখানে পৌছার পর একটা লিস্ট থেকে আপনার নাম আর পাসপোর্ট নাম্বার খুঁজে নিয়ে আপনি প্রথমে চলে যান কাউন্টারে। সেখানে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার ও নাম লিখে জমা দিন। তার আগে একটা ফর্ম ফিল আপ করতে হবে আপনাকে। এক পৃষ্ঠার একটা ফর্ম। ফর্মে আপনার ছবিও লাগাতে হবে।
ফর্ম ফিল আপ করার সময় কোন কলেজে যাচ্ছেন, ঠিকানা, ইত্যাদি লাগবে। তাই সাথে করে কলেজের নাম, ঠিকানা নিয়ে যান। ফর্ম ফিল আপ করে তার সাথে পাসপোর্টের ফটোকপি স্টেপল করে তা কাউন্টারে জমা দিন। এরপর আপনার সিরিয়াল নম্বর নিয়ে অপেক্ষা করার পালা।
আপনার কল এলে দোতলায় চলে যান। সেখানে আপনাকে সাধারনভাবে এক্সরে করা হবে। এক্সরে করার পর তারা পরের দিন যাবার ডেট দিয়ে দেবে। পরেরদিন আপনি আবার মেডিনোভার নিচতলার যাবেন। সেখানে কাউন্টার থেকে আপনার মেডিক্যাল রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন।
ভয় পাবার কারন নেই। মেডিক্যাল রিপোর্টে আপনার খারাপ কোন অসুখ দেখা যাবেনা। আমার দশ বছরের ভিসা প্রসেসিং এর অভিজ্ঞতায় কাউকে মেডিক্যাল রিপোর্টের কারনে বাদ পড়তে দেখিনি। আর যদি আপনার ভাগ্য খারাপ হয়ে যায়। যদি খারাপ কোন রিপোর্ট দেখা যায় তবেও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তারা প্রেসক্রিপশন দিয়ে দেবে। ওষুধের নাম দিয়ে দেবে। ওষুধ খেয়ে তিন সপ্তাহ পর তাদের সাথে আবার দেখা করুন। নিশ্চিতভাবেই আপনার খারাপ কোন রিপোর্ট আসবেনা।
রিপোর্টটা হলুদ কাগজে ছাপা। এককোনে একটা হলোগ্রামের মতো একটা জিনিষ চোখে পড়বে আপনার। সেটিতে হাত দেবেননা। এই মেডিক্যাল রিপোর্টটা আপনাকে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে হাইকমিশনে জমা দিতে হবে। এবং এই মেডিক্যাল রিপোর্ট হিথ্রো এয়ারপোর্টে চেক করা হবে।
আমি আগেই বলেছি আপনি যখনই ইংল্যান্ডে বা যে দেশেই যাবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন তখনই আপনি পাসপোর্ট বানিয়ে রাখবেন কেননা সবকিছুতেই পাসপোর্ট একটা ফ্যাকটর। এমনকি মেডিক্যাল করাবার সময়ও আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি ভাববেননা যে যেকোন মেডিক্যল থেকে একটা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে নিলেই হবে। ইংল্যান্ডের মেডিক্যাল চেক আপ এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ঠ একটা মেডিক্যাল সেন্টারে যেতে হবে।
মেডিক্যাল চেক আপের জন্য যা যা লাগবেঃ
১। আপনার পাসপোর্ট।
২। তিন কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৩। পাসপোটের্র প্রথম তিন পৃষ্ঠার ফটোকপি, এমআরপি হলে প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি।
৪। পাঁচ হাজার টাকা।
আর মেডিক্যাল করাতে হবে মেডিনোভা ধানমন্ডি শাখায়। তবে হুট করে টাকা পয়সা নিয়ে সেখানে চলে যাবেননা যেন। আপনার মেডিক্যাল চেক আপের জন্য দরকার আগে থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট।
হ্যাঁ, আপনি মেডিক্যাল করতে চাইলে মেডিনোভার ধানমন্ডি শাখায় টেলিফোন করে আগে থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এ্যাপয়েন্টমেন্ট না করে আপনি মেডিক্যাল করতে পারবেননা। তাই ফোনে এ্যাপয়েন্টমেন্ট করে তারপর তাদের দেয়া তারিখ অনুসারে সেখানে যান। তবেই মেডিক্যাল করতে পারবেন।
ভয় পাবেননা। আপনার রক্ত নেয়া হবেনা বা এন্ডোসকপিও করা হবেনা। কেবল আপনার বুকের এক্সরে করা হবে। এটা ব্রিটিশদের একটা ফর্মালিটি। আমার ব্যক্তিগত ধারনা যেহেতু হেপাটাইটিস, এইডস, চিকেন পক্স এধরনের বড়ো রোগের জীবানু টেস্ট না করে শুধু এক্সরে করে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের ইংল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য পারমিশন দেয়া হচ্ছে, এটা তাদের এক ধরনের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি। এতে করে মেডিক্যাল কতৃপক্ষ যেমন লাভবান হচ্ছে তেমন ব্রিটিশরাও লাভবান হচ্ছে।
আরেকটা বিষয় নিশ্চিত হয়ে নিন। মেডিক্যাল মেডিনোভাতেই হবে তবে সাধারন রোগীদের জন্য দোতলা এবং ইংল্যান্ডের স্টুডেন্টদের জন্য তিন তলায় যেতে হবে আপনাকে। এটি অন্য একটি প্রতিষ্ঠান আইওএম (ওঙগ = ওঘঞঊজঘঅঞওঙঘঅখ ঙজএঅঘওতঅঞওঙঘ ঋঙজ গওএজঅঞওঙঘ) এর সাথে যুক্ত। আইওএম এর সাথেই এ্যপয়েন্টমেন্ট করতে হবে আপনাকে। তাদের দেয়া ডেট অনুসারে সেখানে যেতে হবে।
আপনি যখন টেলিফোন করে তাদের কাছ থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন তখন তারা আপনার কাছ থেকে পাসপোর্ট নাম্বার, নাম আর ডেট অব বার্থ নিয়ে নেবে। তারা এটাও জানতে চাইবে যে আপনি স্কলারশিপে যাচ্ছেন কিনা। স্কলারশিপে না গেলে অবশ্যই তা বলে দিন।
আপনার এ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে আইওএম একটা নাম্বার আপনাকে দেবে। এই নাম্বারটা সংরক্ষন করুন।
এ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন আপনি সোজা মেডিনোভার তিনতলায় আইওএম এর কাউন্টারে চলে যান। সেখানে প্রচুর ছাত্রছাত্রী সবসময় ভিড় করে বসে থাকে মেডিক্যাল করার আশায়। এই বিষয়টিও সময় সাপেক্ষ।
পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা লাগতে পারে। প্রথমে সেখানে পৌছার পর একটা লিস্ট থেকে আপনার নাম আর পাসপোর্ট নাম্বার খুঁজে নিয়ে আপনি প্রথমে চলে যান কাউন্টারে। সেখানে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার ও নাম লিখে জমা দিন। তার আগে একটা ফর্ম ফিল আপ করতে হবে আপনাকে। এক পৃষ্ঠার একটা ফর্ম। ফর্মে আপনার ছবিও লাগাতে হবে।
ফর্ম ফিল আপ করার সময় কোন কলেজে যাচ্ছেন, ঠিকানা, ইত্যাদি লাগবে। তাই সাথে করে কলেজের নাম, ঠিকানা নিয়ে যান। ফর্ম ফিল আপ করে তার সাথে পাসপোর্টের ফটোকপি স্টেপল করে তা কাউন্টারে জমা দিন। এরপর আপনার সিরিয়াল নম্বর নিয়ে অপেক্ষা করার পালা।
আপনার কল এলে দোতলায় চলে যান। সেখানে আপনাকে সাধারনভাবে এক্সরে করা হবে। এক্সরে করার পর তারা পরের দিন যাবার ডেট দিয়ে দেবে। পরেরদিন আপনি আবার মেডিনোভার নিচতলার যাবেন। সেখানে কাউন্টার থেকে আপনার মেডিক্যাল রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন।
ভয় পাবার কারন নেই। মেডিক্যাল রিপোর্টে আপনার খারাপ কোন অসুখ দেখা যাবেনা। আমার দশ বছরের ভিসা প্রসেসিং এর অভিজ্ঞতায় কাউকে মেডিক্যাল রিপোর্টের কারনে বাদ পড়তে দেখিনি। আর যদি আপনার ভাগ্য খারাপ হয়ে যায়। যদি খারাপ কোন রিপোর্ট দেখা যায় তবেও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তারা প্রেসক্রিপশন দিয়ে দেবে। ওষুধের নাম দিয়ে দেবে। ওষুধ খেয়ে তিন সপ্তাহ পর তাদের সাথে আবার দেখা করুন। নিশ্চিতভাবেই আপনার খারাপ কোন রিপোর্ট আসবেনা।
রিপোর্টটা হলুদ কাগজে ছাপা। এককোনে একটা হলোগ্রামের মতো একটা জিনিষ চোখে পড়বে আপনার। সেটিতে হাত দেবেননা। এই মেডিক্যাল রিপোর্টটা আপনাকে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে হাইকমিশনে জমা দিতে হবে। এবং এই মেডিক্যাল রিপোর্ট হিথ্রো এয়ারপোর্টে চেক করা হবে।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসায় মেডিকেল সার্টিফিকেট এ ইউনিভার্সিটির নাম ও অবস্থান পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যাবে?
ReplyDeleteআমার রিপোর্টের মেয়াদ ২৬ জুলাই ২০২২,আমি এখন সেপ্টেম্বর সেশনের জন্য ভিসা এপয়েন্টমেন্ট নিতে চাচ্ছি,
ReplyDeleteআমি ভিসা(সম্ভাব্য ফ্লাইখ ডেইট ২০ আগস্ট দিয়েছি (কিন্তু আমার রিপোর্টের মেয়াদ ২৬ জুলাই)
এ মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে কি আমি এপয়েন্টমেন্ট জমা দিতে পারবো প্লিজ..?
আর এটার কারণে কি ভিসার পাওয়ার কোন সমস্যা হবে এবং হিথ্রোতে চেক আপে কোন সমস্যা হবে কি প্লিজ জানাবেন।
ইউকের জন্য মেডিকেল টেস্ট কখন করানোর প্রয়োজন হয়।
ReplyDelete