এই প্রশ্নের উত্তর, হ্যাঁ, যায়। আমেরিকান অনেক প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানী আছে যারা বিদেশ থেকে লোক নিতে পারে। তবে এদের সংখ্যা খুবই কম, এবং এসব চাকুরি খুব দুর্লভ বা অল্প সময় মেয়াদী হয়ে থাকে।
আপনি যদি পিএইচডি ডিগ্রিধারী হন, তাহলে আমেরিকান কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক হিসাবে চাকুরী নিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার চাকুরীদাতা চাইলে আপনাকে J1 বা H1 ভিসা দিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। জে ভিসার বৈশিষ্ট হলো আপনাকে ইউএসএতে অবস্থান শেষে অবশ্যই নিজের দেশে ফিরে আসতে হবে।
গবেষক ছাড়া খুব ভালো একাডেমিক বা পেশাদারী দক্ষতা থাকলে আপনি কোন কোম্পানীতে জব নিয়ে যেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, আমেরিকার অভ্যন্তরীন চাকুরির বাজারও কিন্তু অনেক প্রতিযোগিতামূলক। ইউএসএ তে চাকরি করতে গেলে আপনি অনেক সময় এজেন্ট এর ওপর নির্ভর করে থাকেন। এজেন্ট কি করে?
এজেন্ট আপনার দক্ষতা অনুসারে কয়েকটি কাজ করে থাকে। আমি কিভাবে কাজ করি তার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমার কাছে যখন কেউ আমেরিকাতে চাকরি নিয়ে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করে ফোন করে তখন আমি তার সাথে দেখা করে কয়েকটি তথ্য তাকে জানাই। যেমন প্রথমত তার কিছু চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে বাংলাদেশে।তাকে মিনিমাম গ্রাজুয়েট হতে হবে। তিন আমেরিকাতে চাকরির জন্য এ্যাপ্লাই করতে হবে। সে যদি নিজে তা না করতে পারে তবে তার সমস্ত কাগজপত্র (সার্টিফিকেট, মার্কশিট, পাসপোর্ট, অভিজ্ঞতার সনদ, ইত্যাদি।) নোটারী ও দি আমেরিকান সেন্টার থেকে সত্যায়িত করে আনাতে হবে। নোটারী করতে ও সত্যায়িত করতে তার খরচ হবে। তারপর ডিএইচ এল করে সব কাগজপত্র আমেরিকার কোন চাকুরীদাতা সংস্থার কাছে পাঠাতে হবে। মোটামুটি আপনার খরচ ১০ হাজার টাকার মতো।
আমেরিকান কোম্পানী কম বেতনে বিদেশী দক্ষ শ্রমিক নেবার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। যেমন প্রথমতঃ তাদের দেশের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় যে তারা কম বেতনে আমেরিকান শ্রমিক চাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের দেশ থেকে তারা তেমন সাড়া পায়না। কেননা আমরিকায় কেউ ঘন্টা প্রতি তিন ডলারে কাজ করতে চাইবেনা। তখন তারা বিদেশী শ্রমিক নেবার জন্য সরকারকে জানাতে পারে। সরকার তাদের রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট, ট্যাক্স ও ব্যাংক সলভেন্সি ইত্যাদি পরীক্ষা করে তাদেরকে বিদেশী শ্রমিক নেবার অনুমতি প্রদান করে।অনমতি পাবার পর তারা আপনাকে জব লেটার পাঠাবে এবং স্পনসর করবে। স্পনসর বিষয়টা হলো এমন যে তারা আপনাকে আমেরিকায় নেবার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করবে। আমেরিকায় আপনার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। আমেরিকায় আপনি কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটালে তারা দায়িত্ব বহন করবে। এবং জব পিরিয়ড শেষে তারা আপনাকে দেশে পাঠাবার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করবে।
এই দুই ধরনের কাগজপত্র হাতে পাবার পর আপনি আপনার কাগজপত্র প্রস্তুত করবেন। যেমন ভিসার ফর্ম ফিল আপ করবেন। ডেট নেবেন। কেন আপনি এই ধরনের চাকরি করতে ইচ্ছুক তা কাভার লেটারে মেনশন করবেন। আপনার ন্যুনতম ব্যাংক সলভেন্সি দেখাবেন। আগে এ ধরনের চাকরি আপনি করেছেন তার প্রমানপত্র দেখাবেন। সবশেষে ইন্টারভিউ দিয়ে ভিসা নেবেন। এইচ১বি বা এইচ২বি এর ধারনা এমনই।
America job korte cai
ReplyDelete