ইউনিভার্সিটি আর কলেজের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইউনিভার্সিটি আর কলেজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। শুধু ইউকেতে নয় বাংলাদেশেও কলেজ আর ইউনিভার্সিটির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ইউনিভার্সিটি হলো একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যেখানকার চ্যান্সেলর হলেন দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ইংল্যান্ডে রানী। একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে যেমন হয় তেমনি এর কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
পক্ষান্তরে, কলেজ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আনুষ্ঠানিভাবে কোন ডিগ্রী প্রদানের ক্ষমতা রাখেনা। আর কলেজ যে কেউ যখন তখন প্রতিষ্ঠা করতে পারে যদি টাকা থাকে। ইউকের ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের মতোই।
কলেজ আর ইউনিভার্সিটির মধ্যে তফাৎ অনেক। ইউনিভার্সিটির খরচ অনেক। কিন্তু কলেজের খরচ কম।
ইউকের একটি কলেজ আপনার পরীক্ষা নেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। অর্থাৎ পরীক্ষার জন্য কলেজগুলো ইউনিভার্সিটির মুখাপেক্ষি। এর মানে হলো, কলেজ আপনাকে পড়াতে পারবে কিন্তু পরীক্ষা নিতে পারবেনা। পরীক্ষা নেবে ইউনিভার্সিটি। ওখানে ইউনিভার্সিটিগুলো শুধু পড়ায়না এটি এ্যাওয়ার্ডিং বডিও।
প্রতিটি ইউনিভার্সিটি কোননা কোনভাবে এ্যাওয়ার্ডিং বডি। অর্থাৎ এটি টেস্ট টেকার। তার পরীক্ষা নেবে এবং সার্টিফিকেটও দেবে। আপনি যে কোন কলেজে ভর্তি হোন না কেন ঐ কলেজ আপনাকে সার্টিফিকেট দিতে পারবেনা। আপনার সার্টিফিকেটে ঐ কলেজের নামও থাকবেনা। নাম থাকবে ঐ কলেজ যে ইউনিভার্সিটির সাথে এফিলিয়েটেড সেই ইউনিভার্সিটির। তাই আপনি যেকোন কলেজে ভর্তি হতে পারেন তবে শুধু যে কলেজে ভর্তি হবেন দেখে নিন সেটি কোন ইউনিভার্সিটির সাথে এফিলিয়েটেড।
অনেক কলেজ আছে যারা সেমিস্টার পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়ারও ক্ষমতা রাখেনা। বাংলাদেশের কলেজগুলোও তাই। তারা কোননা কোনভাবে ইউনিভার্সিটির সাথে এফিলিয়েটেড। আপনি বাংলাদেশের যে কোন কলেজে পড়তে পারেন কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে সার্টিফাই করছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো আপনার কলেজের এ্যাওয়ার্ডিং বডি অর্থাৎ ওই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে এ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে বা সার্টিফাই করছে।
ইউকেতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রচুর। কলেজগুলো যে কারিকুলাম মেনে চলে ইউনিভার্সিটিগুলো সে কারিকুলাম মেনে চলতে নাও পারে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধাও রয়েছে। কলেজে টিউশন ফি কম কিন্তু সব ইউনিভার্সিটিতে টিউশন ফি কলেজের ফির দ্বিগুন। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমান ছাত্র ছাত্রী ইউকেতে যায় তাদের পঁচানব্বই ভাগই যায় কলেজে। এর কারন মুলত দুটিঃ
১। টিউশন ফি কম
২। কাজ করার সুবিধা
তবে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলে আপনার ভিসা পেতে সুবিধা হয়। মুলতঃ কলেজগুলো নানারকম অসদুপায় অবলম্বন করে টকইঅ এর চক্ষুশুল হয়েছিল। তাই টকইঅ এর কলেজগুলোকে তিনভাগে ভাগ করে দিয়েছেঃ
১। হাইলি ট্রাস্টেড কলেজ
২। ট্রাস্টেড কলেজ বা এ রেটেড কলেজ, ও
৩। বি রেটেড কলেজ
হাইলি ট্রাস্টেড কলেজ বা উচ্চমাত্রার বিশ্বস্ত কলেজসমুহ তাদের কাজের মাধ্যমে এবং আর্থিক সংগতির মাধ্যমে এই ক্যাটাগরি লাভ করেছে। এ সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের যদিও নয় তবুও কলেজ ক্যটাগরিতে সর্বোচ্চ খেতাবের অধিকারী। এ ধরনের কলেজ আপনার কাছ থেকে অনেক তথ্য নেবে এবং নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দেবে ভর্তির জন্য। যেহেতু হাইলি ট্রাস্ট্রেড কলেজ তাই তাদের ভিসার রেটও বেশী। ইউকেতে হাইলি ট্রাস্টেড কলেজের সংখ্যা ট্রাস্টেড কলেজের চেয়ে কম।
ট্রাস্টেড কলেজ বা এ রেটেড কলেজ হলো প্রাইভেট কলেজ যা কলেজ ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে। এই সমস্ত কলেজ সাধারন ক্যাটাগরির কলেজের পর্যায়ে পড়ে। এ ধরনের কলেজে ভর্তির জন্য বিশেষ কোন বাধ্যবাধকতার দরকার হয়না।
বি রেটেড কলেজ হলো বি গোত্রের। এ সমস্ত কলেজ খুব কম সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী সংগ্রহ করতে পারে। তাদের ভিসা রেটও কম অন্যান্য কলেজের তুলনায়।
ইউনিভার্সিটিতে এ ধরনের কোন ক্যাটাগরি নেই। এরা সাবজেক্ট প্রদানের বিষয়ে সম্পুর্ন স্বাধীন। আপনি ইউনিভার্সিটিতে প্রচুর সাবজেক্ট পাবেন যা কলেজে পাবেননা। ইউকের বেশীরভাগ কলেজেই বিজ্ঞানের সাবজেক্ট পাবেননা। যেমন ফিজিকস কেমিসট্রি বা ম্যাথমেটিকস এর উপর পড়তে গেলে আপনার ইউনিভার্সিটি যাওয়া লাগবে। এসব বিষয়ে আপনি কলেজের ওপর মোটেও নির্ভর করতে পারবেননা। কারন কলেজে ওসব সাবজেক্ট নেই। তাই দেখা যায় আপনি যদি পড়াশোনার জন্যই ইউকে তে যেতে চান তবে আপনাকে ইউনিভার্সিটিতেই যেতে হবে। বেশীরভাগ ছাত্র ছাত্রীই এ বিষয়টি জানেনা। তাই তাদেরকে ঘুরতে হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ ছাত্র ছাত্রীই বর্তমানে বানিজ্য বা কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করে। তাই বর্তমান পৃথিবীর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে কলেজগুলোকে এ ধরনের বিষয়গুলো পড়াতে হয়।
ইউনিভার্সিটি আর কলেজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। শুধু ইউকেতে নয় বাংলাদেশেও কলেজ আর ইউনিভার্সিটির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ইউনিভার্সিটি হলো একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যেখানকার চ্যান্সেলর হলেন দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ইংল্যান্ডে রানী। একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে যেমন হয় তেমনি এর কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
পক্ষান্তরে, কলেজ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আনুষ্ঠানিভাবে কোন ডিগ্রী প্রদানের ক্ষমতা রাখেনা। আর কলেজ যে কেউ যখন তখন প্রতিষ্ঠা করতে পারে যদি টাকা থাকে। ইউকের ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের মতোই।
কলেজ আর ইউনিভার্সিটির মধ্যে তফাৎ অনেক। ইউনিভার্সিটির খরচ অনেক। কিন্তু কলেজের খরচ কম।
ইউকের একটি কলেজ আপনার পরীক্ষা নেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। অর্থাৎ পরীক্ষার জন্য কলেজগুলো ইউনিভার্সিটির মুখাপেক্ষি। এর মানে হলো, কলেজ আপনাকে পড়াতে পারবে কিন্তু পরীক্ষা নিতে পারবেনা। পরীক্ষা নেবে ইউনিভার্সিটি। ওখানে ইউনিভার্সিটিগুলো শুধু পড়ায়না এটি এ্যাওয়ার্ডিং বডিও।
প্রতিটি ইউনিভার্সিটি কোননা কোনভাবে এ্যাওয়ার্ডিং বডি। অর্থাৎ এটি টেস্ট টেকার। তার পরীক্ষা নেবে এবং সার্টিফিকেটও দেবে। আপনি যে কোন কলেজে ভর্তি হোন না কেন ঐ কলেজ আপনাকে সার্টিফিকেট দিতে পারবেনা। আপনার সার্টিফিকেটে ঐ কলেজের নামও থাকবেনা। নাম থাকবে ঐ কলেজ যে ইউনিভার্সিটির সাথে এফিলিয়েটেড সেই ইউনিভার্সিটির। তাই আপনি যেকোন কলেজে ভর্তি হতে পারেন তবে শুধু যে কলেজে ভর্তি হবেন দেখে নিন সেটি কোন ইউনিভার্সিটির সাথে এফিলিয়েটেড।
অনেক কলেজ আছে যারা সেমিস্টার পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়ারও ক্ষমতা রাখেনা। বাংলাদেশের কলেজগুলোও তাই। তারা কোননা কোনভাবে ইউনিভার্সিটির সাথে এফিলিয়েটেড। আপনি বাংলাদেশের যে কোন কলেজে পড়তে পারেন কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে সার্টিফাই করছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো আপনার কলেজের এ্যাওয়ার্ডিং বডি অর্থাৎ ওই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে এ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে বা সার্টিফাই করছে।
ইউকেতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রচুর। কলেজগুলো যে কারিকুলাম মেনে চলে ইউনিভার্সিটিগুলো সে কারিকুলাম মেনে চলতে নাও পারে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধাও রয়েছে। কলেজে টিউশন ফি কম কিন্তু সব ইউনিভার্সিটিতে টিউশন ফি কলেজের ফির দ্বিগুন। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমান ছাত্র ছাত্রী ইউকেতে যায় তাদের পঁচানব্বই ভাগই যায় কলেজে। এর কারন মুলত দুটিঃ
১। টিউশন ফি কম
২। কাজ করার সুবিধা
তবে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলে আপনার ভিসা পেতে সুবিধা হয়। মুলতঃ কলেজগুলো নানারকম অসদুপায় অবলম্বন করে টকইঅ এর চক্ষুশুল হয়েছিল। তাই টকইঅ এর কলেজগুলোকে তিনভাগে ভাগ করে দিয়েছেঃ
১। হাইলি ট্রাস্টেড কলেজ
২। ট্রাস্টেড কলেজ বা এ রেটেড কলেজ, ও
৩। বি রেটেড কলেজ
হাইলি ট্রাস্টেড কলেজ বা উচ্চমাত্রার বিশ্বস্ত কলেজসমুহ তাদের কাজের মাধ্যমে এবং আর্থিক সংগতির মাধ্যমে এই ক্যাটাগরি লাভ করেছে। এ সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের যদিও নয় তবুও কলেজ ক্যটাগরিতে সর্বোচ্চ খেতাবের অধিকারী। এ ধরনের কলেজ আপনার কাছ থেকে অনেক তথ্য নেবে এবং নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দেবে ভর্তির জন্য। যেহেতু হাইলি ট্রাস্ট্রেড কলেজ তাই তাদের ভিসার রেটও বেশী। ইউকেতে হাইলি ট্রাস্টেড কলেজের সংখ্যা ট্রাস্টেড কলেজের চেয়ে কম।
ট্রাস্টেড কলেজ বা এ রেটেড কলেজ হলো প্রাইভেট কলেজ যা কলেজ ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে। এই সমস্ত কলেজ সাধারন ক্যাটাগরির কলেজের পর্যায়ে পড়ে। এ ধরনের কলেজে ভর্তির জন্য বিশেষ কোন বাধ্যবাধকতার দরকার হয়না।
বি রেটেড কলেজ হলো বি গোত্রের। এ সমস্ত কলেজ খুব কম সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী সংগ্রহ করতে পারে। তাদের ভিসা রেটও কম অন্যান্য কলেজের তুলনায়।
ইউনিভার্সিটিতে এ ধরনের কোন ক্যাটাগরি নেই। এরা সাবজেক্ট প্রদানের বিষয়ে সম্পুর্ন স্বাধীন। আপনি ইউনিভার্সিটিতে প্রচুর সাবজেক্ট পাবেন যা কলেজে পাবেননা। ইউকের বেশীরভাগ কলেজেই বিজ্ঞানের সাবজেক্ট পাবেননা। যেমন ফিজিকস কেমিসট্রি বা ম্যাথমেটিকস এর উপর পড়তে গেলে আপনার ইউনিভার্সিটি যাওয়া লাগবে। এসব বিষয়ে আপনি কলেজের ওপর মোটেও নির্ভর করতে পারবেননা। কারন কলেজে ওসব সাবজেক্ট নেই। তাই দেখা যায় আপনি যদি পড়াশোনার জন্যই ইউকে তে যেতে চান তবে আপনাকে ইউনিভার্সিটিতেই যেতে হবে। বেশীরভাগ ছাত্র ছাত্রীই এ বিষয়টি জানেনা। তাই তাদেরকে ঘুরতে হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ ছাত্র ছাত্রীই বর্তমানে বানিজ্য বা কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করে। তাই বর্তমান পৃথিবীর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে কলেজগুলোকে এ ধরনের বিষয়গুলো পড়াতে হয়।
0 comments:
Post a Comment